বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে একসময় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন আনিলা তাবাসসুম হৃদি। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন এই মডেল। ২০১৬ সালে বিয়ের পর কাজ থেকে একেবারেই দূরে সরে যান। এই সময়ই জন্ম নেয় তাঁর দুই সন্তান। সন্তানদের জন্মের পর বেশ অনেকটাই ওজন বাড়িয়েছিলেন। সন্তানেরা কিছুটা বড় হলে ২০২০ সালে আবারও কাজে ফেরার কথা ভাবতে থাকেন। তখনো তাঁর ওজন বেশ বাড়তিই ছিল।
২০২২ থেকে শুরু করেন ওজন কমানোর মিশন। এই ১ বছরে ওজন ৬৭ থেকে কমিয়ে ৫২ কেজিতে নিয়ে আসেন। এই ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি ৫টি নিয়ম অনুসরণ করে। ‘পরপর দুবার আমার সি সেকশন হয়েছে। সন্তান হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই বেশ মুটিয়ে গিয়েছিলাম। এই সময় পারিবারিকভাবেও আমার ওপর দিয়ে বড় ঝড়ঝাপটা গেছে। তারপরও সংসার, সন্তান, কাজ—সব একসঙ্গে সামলে ওজন কমানোর চেষ্টাটা অব্যাহত রাখি। আসলে দৃঢ় মনোবল নিয়ে যদি এগিয়ে যান, তাহলে কোনো কাজই ব্যাপার না’, বলছিলেন হৃদি।
নিয়মিত হাঁটা
ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত হাঁটতেন হৃদি। বিভিন্ন জায়গায় কাজে যাওয়ার জন্য কোনো পরিবহন ব্যবহার করতেন না। টাকা বাঁচানোও কারণ ছিল। এমনও হয়েছে যে মহাখালী থেকে হাঁটতে হাঁটতে চন্দ্রিমা উদ্যান পর্যন্ত চলে আসতেন। এই হাঁটার কোনো ধরাবাঁধা সময় থাকত না। তবে যেদিন কোথাও কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকত না, সে দিন বাসার সামনেই ৩০ মিনিট করে হাঁটতেন।
ডিটক্স ওয়াটার
প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ডিটক্স ওয়াটার পান করেন। একটি শসা, এক ইঞ্চি আদা ও খোসা ছাড়ানো অর্ধেক লেবু এক মগ পানিতে ব্লেন্ড করে নেন। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে থাকেন তিনি। মাঝেমধ্যে এই পানীয়তে কখনো যোগ করেন গ্রিন আপেল আর ভিনেগার। এ ছাড়া কালিজিরা, জিরা, মেথি, জৈন, চিয়াসিড (প্রতিটি এক চা চামচ করে) এক মগ পানিতে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখেন। পরদিন সেই পানি সেদ্ধ করে লেবু দিয়ে খালি পেটে পান করেন এবং ডিটক্স ওয়াটার পানের আধঘণ্টা পর খাবার খান।
পেটে বেল্ট
সি সেকশনে মা হওয়ার পর অনেকেরই পেটের চামড়া ঝুলে যায়। হৃদিও নিয়মিত পেটে বেল্ট বাঁধতেন। এখনো যেটা তিনি করেন। এ জন্য তাঁর পেটে বাড়তি মেদ জমতে পারে না।
বাইরের খাবার বর্জন
ওজন কমাতেই হবে, এই মনোবল দৃঢ় করার পর আনিলা তাবাসসুম খাবার তালিকা থেকে একেবারেই বাইরে খাবার যেমন ভাজা পোড়া আর ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে দেন। পরিবর্তে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখেন দুধ, ডিম ও কলা। ক্ষুধা লাগলে ওটস না হলে নুডলস স্যুপের মতো সবজি মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।
জিমে শরীরচর্চা
দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর জিমে ভর্তি হোন। সেখানেও করতে থাকেন ওজন কমানোর নানা কসরত।