ছয় মাস বয়স হলে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার দিতে হয়
ছয় মাস বয়স হলে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার দিতে হয়

ছয় মাস বয়স হলে শিশুকে যেসব খাবার দেবেন

ছয় মাস বয়স হলে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার দিতে হয়। তবে মনে রাখবেন, একই সঙ্গে বুকের দুধ পান অব্যাহত রাখা জরুরি। কেননা বুকের দুধ ৬ থেকে ১২ মাস বয়সে শিশুর পুষ্টি চাহিদার অর্ধেক ও ১২ থেকে ২৪ মাস বয়সে পুষ্টি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে।

যেসব খাবার যেভাবে দেওয়া উচিত

  • চটকানো কলা, আটা-ময়দা, ভাত, সুজি, সেদ্ধ ফলমূল (মিষ্টিকুমড়া, গাজর, শাক, আলু), টমেটো। শিশুকে মৌসুমি ফলমূল খাওয়াতে হবে। খাবারে ঘি বা তেল মিশিয়ে ক্যালরির ঘনত্ব বাড়ানো যায়।

  • একবারে এক উপাদানের বেশি খাওয়ানো উচিত নয়। নতুন খাবার যোগ করতে এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে। এতে কোন কোন খাবার সে সহ্য করতে পারে না, তা বোঝা যায়। যে শিশু একবারে বেশি খায় না, তাকে ফল, দুধ ও খাবার ২-৩ ঘণ্টা বিরতিতে দিতে হবে। জোর করা যাবে না।

শিশু খেতে না চাইলে চিন্তিত না হয়ে নতুন স্বাদের কোন খাবারে আগ্রহ, তা যাচাই করতে হবে
  • খেতে না চাইলে চিন্তিত না হয়ে নতুন স্বাদের কোন খাবারে আগ্রহ, তা যাচাই করতে হবে। খাওয়ানোর সময় সামান্য খাবার বাকি থেকে যায়, তবে তা শেষ করানোর জন্য জোর করা যাবে না। যখন গ্লাস হাতে নিজে নিজে পানি পান করতে পারবে, তখন তাতে উৎসাহ দিতে হবে।

  • শিশুর জন্য রান্না শাকসবজি বেশি ফোটানো ভালো নয়। ভাত বা শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে না দেওয়া উত্তম। ভালোভাবে পরিষ্কার করা তাজা ফল হাতে ধরে খেতে দিলে ভালো। বেশির ভাগ শিশু মাঝারি মাত্রার ঝাল সহ্য করতে পারে।

  • যদি পরিবারের কারও কোনো খাবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে, যেমনÑবাদাম, তবে প্রথম বছরে শিশুকে তা খেতে না দেওয়া ভালো। বেশি চিনিযুক্ত বা লবণযুক্ত খাদ্য না রাখা উত্তম। টেলিভিশন বা মুঠোফোন সামনে রেখে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।

অসুখ-বিসুখে যা খাওয়াবেন

  • অসুখ হলে শিশু খেতে চায় না। কিন্তু অসুস্থ শিশুকে বুকের দুধ পান করানো সম্ভব। এ অবস্থায় তাকে তরল ও পুষ্টিকর খাবার অল্প অল্প পরিমাণে খাওয়াতে হবে। অসুখ থেকে সেরে উঠলে তাকে এক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন অতিরিক্ত এক বা দুবার খাবার খাওয়ানো উচিত।

  • শিশুকে বোতলজাত খাবার, জুস, কোল্ড ড্রিংকস, পুষ্টি ড্রিংকস এসব দেবেন না। চা, কফি ও বিভিন্ন পানীয় কখনো নয়।

  • শিশু যেসব খাবার হাতে ধরে খেতে পারে, তা তাকে চিবিয়ে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। সম্ভব হলে শিশুর খাবার তৈরির দুই ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ানো উচিত। আর যে খাবার ফ্রিজে রাখা হয়, তা-ও এক বা দুদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।