শিশু ঠিকভাবে দুধ পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন মা এবং পরিবারের লোকজন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
দুধ খাওয়ার সময় শিশুর গাল গোল হয়ে যাবে, দেবে যাবে না।
খাওয়ার সময় শিশুর দেহ শিথিল থাকবে।
খাওয়া শেষে শিশু নিজেই স্তন থেকে মুখ সরিয়ে নেবে।
খাওয়ার পর শিশুর মুখ ভেজা থাকবে।
এসবের ব্যত্যয় হলে খেয়াল করুন, শিশুকে সঠিক ভঙ্গিতে খাওয়ানো হচ্ছে কি না। দেখুন শিশুর মুখ মায়ের স্তনে সঠিকভাবে স্পর্শ করানো হচ্ছে কি না। এ বিষয়গুলো ঠিক থাকার পরেও যদি মায়ের স্তনে কোনো ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে কিংবা শিশুর কোনো অসুস্থতা থেকে থাকে, তাহলে শিশুর খাওয়ায় সমস্যা হতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছোট্ট শিশুর পেটটাও ছোট। তাই একবারে খুব বেশি পরিমাণ দুধ খেতে পারে না। খিদে লেগে যায় বারবার। এটাই স্বাভাবিক। সারা দিনে পর্যাপ্ত প্রস্রাব হলেই বোঝা যায়, তার খাওয়া ঠিক আছে। জন্মের তিন-চার দিন পেরোনোর পর থেকে শিশু সাধারণত রোজ কমপক্ষে আটবার প্রস্রাব করে। প্রথম কয়েক দিন মায়ের দুধের পরিমাণ কম থাকতে পারে, এ সময় শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণও একটু কমই থাকে। এটা স্বাভাবিক। শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না ভেবে তাকে ফর্মুলা দুধ বা গরুর দুধ খাওয়াতে চাওয়া ঠিক নয়। মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাবার। এতেই তার প্রয়োজন মিটবে আর এতেই সে নিরাপদ থাকবে। মায়ের এক স্তনের দুধ শেষ হলে এরপর অন্য স্তনের দুধ খেতে দিতে হয় শিশুকে। তাতে দুধের পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিকভাবে পায় সে। সঠিকভাবে খাওয়ানো হলে মায়ের দুধেই বেড়ে উঠবে শিশু।
খাওয়ানোর পর শিশুকে ঢেকুর তোলাতে ভুলবেন না।