
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুর জন্যই আপনাকে কিছু না কিছু অর্থ খরচ করতে হয়। এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানিও তো বিনা মূল্যে পাওয়া মুশকিল। তাই বিনা মূল্যে পাওয়া প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকার কথায় আপনি অবাক হতেই পারেন। তবে বিনা মূল্যে পাওয়া যায় বলেই হয়তো অনেকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। ফলে ভোগেন নানান শারীরিক সমস্যায়। জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে।
রোজ সূর্য ওঠে, সূর্য ডোবে। সূর্যালোকে সময় কাটানোর জন্য আপনাকে কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। অথচ আপনি খাবার থেকে যে ক্যালসিয়াম পাচ্ছেন, তা আপনার দেহের কাজে লাগানোর জন্য চাই ভিটামিন ডি। আর আমাদের দেহে ভিটামিন ডি তৈরির জন্য সূর্যের আলো অপরিহার্য। ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে একসময় আপনার হাড় ক্ষয়ে যাবে। সুস্থ থাকতে তাই বিনা মূল্যে সূর্যালোক গায়ে মাখুন রোজ। তবে ত্বকে সানব্লক বা সানস্ক্রিনসামগ্রী থাকা অবস্থায় কিন্তু সূর্যালোকের এই উপকার খুব একটা মিলবে না।
একটি নিরাপদ আবাসস্থল থাকলে ঘুমাতে কিন্তু কোনো খরচ নেই। পয়সা খরচ করে আদতে ঘুম কেনাও যায় না। বরং ভালো ঘুমের জন্য আপনাকে রোজকার ঘুমের সময়টা নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। সকাল সকাল উঠে পড়বেন, রাতে বেশি সময় জাগবেন না। ঘুমের আগে ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে সময় কাটানো যাবে না। ঘুমের জন্য ঘর অন্ধকার করতেও কিন্তু খরচ হয় না। ঘুম আপনার দেহ, মস্তিষ্ক এবং মনের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
শরীরচর্চা মানেই তো কেবল জিমে গিয়ে শারীরিক কসরত করা নয়, বরং রোজকার জীবনে নানানভাবেই আপনি শরীরচর্চা করতে পারেন। হাঁটুন, দৌড়ান, লাফান, জগিং বা স্পট জগিং করুন কিংবা করুন পেশির স্ট্রেচিং। কোনো খরচ ছাড়াই করতে পারবেন এসব ব্যায়াম। ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারবেন বিনা খরচে। বাড়ির কাছে একখানা দারুণ জলাশয় থাকলে সাঁতার কাটাও যেতে পারে বিনা মূল্যে। অফিসে যাওয়া-আসার পথে কিছুটা হাঁটুন। দু-তিনটি তলা সিঁড়ি ভেঙে চলুন। কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান, পেশি নাড়ান, একটু হাঁটুন। ঘরের কাজ করুন নিজ হাতে। এমন সব চর্চায় কোনো খরচ নেই। এমন অভ্যাসে শরীরটা ঠিক থাকবে। হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমবে।
হাসিখুশি, চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে পয়সা খরচ করাটা জরুরি নয়। সুখী মানুষের জামার গল্পটা মনে আছে তো? সবচেয়ে সুখী ছিলেন যিনি, তাঁর কোনো জামা ছিল না। আপনজনদের সঙ্গে গল্প করুন, আড্ডা দিন। আনন্দ করুন, হাসুন। ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিন সবচেয়ে বেশি। হাসিখুশি সময় কাটান প্রিয় মানুষদের সঙ্গে। অকারণে দুশ্চিন্তা এবং জীবন নিয়ে সব নেতিবাচক ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। এমন চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে পারলে বহু রোগের ঝুঁকি কমে।
সূত্র: হেলথলাইন