কচি মুরগির স্যুপ কি রোগ সারাতে সাহায্য করে?

অসুস্থতার সময় কচি মুরগির স্যুপ একটি স্বস্তিদায়ক খাবার
ছবি: এআই

জ্বর, সর্দি, কাশি এমনকি একটু বড় ধরনের অসুখ হলেও কচি মুরগির স্যুপ খেতে বলা হয়ে থাকে। আদতে কি কচি মুরগির স্যুপ রোগ সারাতে কোনো ভূমিকা রাখে? নাকি এটি কেবলই একটি প্রচলিত বিষয়, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই?

অসুস্থতার সময় কচি মুরগির স্যুপ একটি স্বস্তিদায়ক খাবার। এটি সহজে হজম হয়। আর পুষ্টিও মেলে। কিছু রোগের উপসর্গের তীব্রতা কমাতেও খানিকটা কাজে আসে। সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা রাখে কচি মুরগির স্যুপ। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান।

খেতে অরুচি হলে স্যুপের সঙ্গে অন্য উপকরণ মিশিয়ে নিতে পারেন

পুষ্টির প্রয়োজনে

আমিষ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের চাহিদা মেটাতে মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। অসুস্থতার কারণে দেহের যে ক্ষয় হয়, তা পূরণ করতে আমিষ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতেও প্রয়োজন আমিষ। তবে অসুস্থ অবস্থায় মাংসের অন্যান্য সুস্বাদু পদ খেতে ভালো না-ও লাগতে পারে।

কিছুই যখন খেতে ইচ্ছা করে না, তখন মুরগির স্যুপ সহজে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর এক দারুণ উপায় হতে পারে। হালকা মসলায় তৈরি সুগন্ধি স্যুপ খেতে গিয়ে খাওয়ার রুচিও কিছুটা বাড়তে পারে।

আরামে, উষ্ণতায়

স্যুপ খেলে পানির চাহিদাও কিছুটা পূরণ হয়। জ্বরের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও রোগী যদি পানিশূন্যতায় ভোগেন, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। নাক বন্ধ বা সর্দির মতো সমস্যায়ও পর্যাপ্ত পানি খেতে বলা হয়। কখনো কখনো অসুস্থ অবস্থায় পানি খেতেও ভালো লাগে না।

তখন কাজে আসে স্যুপ। স্যুপের মতো পানীয় থেকে পানি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মিলবে খুব সহজেই। উষ্ণ স্যুপ খাওয়া হলে ঠান্ডা-কাশির মতো সমস্যাতেও আরাম পাওয়া যায়।

নরম মাংস দিয়ে স্যুপ করাটাও সহজ।

কেন কচি মুরগিই ভালো

দেশি কচি মুরগিতে চর্বির ঝক্কি নেই। তাই তা হজম হয় সহজে। অসুস্থ অবস্থায় খুব একটা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার হজম করা মুশকিল। তাই ছোট মুরগি বেছে নেওয়া ভালো। আর চর্বি না থাকায় স্যুপটা হয়ও চমৎকার, সুপেয়। নরম মাংস দিয়ে স্যুপ করাটাও সহজ। এত সব সুবিধা থাকাতেই অসুস্থ মানুষের জন্য কচি মুরগির স্যুপ বেছে নেওয়া হয়।

শেষ কথা

অসুস্থতার সময় কচি মুরগির স্যুপ নিঃসন্দেহেই ভালো খাবার। তবে এই খাবার কোনো রোগ সারাতে পারে না। খানিকটা স্বস্তির জন্য এ ধরনের খাবার কাজে আসে ঠিকই, পুষ্টিও মেলে। অবশ্য অন্যান্য উৎস থেকে আমিষ গ্রহণ করতে পারলে সেটিও আপনার কাজে আসবে। তা ছাড়া অন্যান্য উষ্ণ পানীয় থেকেও আপনি নানা উপকার পাবেন।