চকলেট ছোট–বড় সবার প্রিয় খাবার। তবে এটি স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চকলেটের মূল উপাদান কোকোর ওপর নির্ভর করে এর গুণাগুণ। তবে চকলেটের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
যে চকলেটে কোকোর পরিমাণ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি, তাকেই বলা হয় ডার্ক চকলেট। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ফ্ল্যাভনলস), ফাইবার, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পরিমিত ডার্ক চকলেট খাওয়া হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রাপ্তবয়স্করা দৈনিক ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত ডার্ক চকলেট (যাতে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকো থাকে) খেতে পারেন। এটি সাধারণত একটি স্ট্যান্ডার্ড চকলেট বারের দুই থেকে চারটি ছোট টুকরার সমান।
তবে এটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও কম পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
মিল্ক চকলেট ও হোয়াইট চকলেটে কোকো কম থাকে, চিনি, দুধ, ফ্যাট বেশি থাকে। ফলে এতে স্বাস্থ্য উপকারিতা কম এবং অতিরিক্ত গ্রহণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
এই অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস ও দাঁতের ক্ষয় বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালরি ও ফ্যাট ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের চকলেট নিয়মিত না খেয়ে মাঝেমধ্যে সামান্য পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের চকলেট দেওয়ার ক্ষেত্রে মা–বাবাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
১. এক বছরের কম বয়সী শিশুদের চকলেট দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে থাকা ক্যাফেইন ও অতিরিক্ত চিনি তাদের সংবেদনশীল হজমতন্ত্র এবং ঘুমে প্রভাব ফেলতে পারে।
২. দুই বছরের বেশি বয়স থেকে সামান্য পরিমাণে চকলেট দেওয়া যেতে পারে। তবে মিল্ক চকলেটের পরিবর্তে উচ্চ কোকো ও কম চিনিযুক্ত ডার্ক চকলেট অল্প পরিমাণে দেওয়া যায়।
৩. আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সের সুপারিশ অনুযায়ী ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুরা দৈনিক প্রায় ৮ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেতে পারে।
৪. ৭ থেকে ৯ বছর বয়সীরা প্রায় ১১ গ্রাম পর্যন্ত খেতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: চকলেটে থাকা উচ্চ ক্যালরি ও ফ্যাটের কারণে ওজন বেড়ে যায়।
অনিদ্রা: ক্যাফেইন থাকার কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
দাঁতের সমস্যা: চিনিযুক্ত চকলেট দাঁতের ক্ষয় করে।
অ্যালার্জি: কোনো কোনো চকলেটে বাদাম বা সয়া থাকে, যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।