হলুদ মেশানো দুধ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর
হলুদ মেশানো দুধ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর

ইউরিক অ্যাসিড কমাবে এই ৬ ঘরোয়া পানীয়

আমাদের শরীর যখন মাংস, ডাল বা কিছু নির্দিষ্ট খাবার ভাঙে, তখন তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সাধারণভাবে এই অ্যাসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এই ইউরিক অ্যাসিড যখন বেশি পরিমাণে তৈরি হয় বা ঠিকমতো নিষ্কাশিত হয় না, তখন তা জমতে থাকে শরীরে। ফলে দেখা দেয় জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা ভাব বা অস্বস্তির মতো সমস্যা। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। এর বেশি হলে তা সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। তবে প্রাকৃতিক কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে এমন ৬টি পানীয়ের কথা জেনে নিন, যেসব নিয়মিত খেলে উপকার মেলে।

১. সকালে লেবু-পানি

ঘরোয়াভাবে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দিনটা শুরু করুন লেবুর রস মেশানো এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে শরীর থেকে সহজে বের করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন সকালে অর্ধেকটা লেবুর রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।

ঘরোয়াভাবে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দিনটা শুরু করুন লেবুর রস মেশানো এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে

২. হলুদ-দুধ

হলুদ মেশানো দুধ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন শরীরের প্রদাহ কমায় ও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে শরীরে এর ইতিবাচক প্রভাব টের পাবেন ধীরে ধীরে।

৩. শসার রস

শসার রস শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। শসার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি, যা শরীরের টক্সিন ও ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শসায় পিউরিন কম থাকে, তাই এটি ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি কমায়।

তরমুজ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কাজে আসে

৪. তরমুজের রস

তরমুজও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কাজে আসে। তরমুজ পানিতে ভরপুর, যা কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। তরমুজেও পিউরিন খুব কম। তাই সুযোগ পেলেই এক গ্লাস তরমুজের রস খেলে সতেজ থাকবেন, পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সহায়ক হবে।

৫. আদা–চা

আদা–চা দারুণ স্বাস্থ্যকর। আদায় আছে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরা তাজা আদা পানিতে সেদ্ধ করে তাতে একটু মধু মিশিয়ে চা বানান, এটি জয়েন্টের ব্যথা কমায় আর শরীরের জন্যও খুব উপকারী।

নিয়মিত গ্রিন টি খেলে কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে

৬. গ্রিন টি

গ্রিন টি শুধু মন শান্ত করে না, শরীরের ভেতরটাও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে।

সূত্র: এমএসএন