মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। তবে মাইগ্রেন কেবল মাথাব্যথাই নয়। ব্যথা ছাড়াও থাকে অন্যান্য উপসর্গ। সেসব উপসর্গের ভিত্তিতে মাইগ্রেনকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা হয়। মাইগ্রেনের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা আলাদা হতে পারে। তাই ধরনটা বোঝা জরুরি। মাইগ্রেনের কয়েকটি ধরন সম্পর্কে রাফিয়া আলমকে জানালেন রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নওসাবাহ্ নূর।

মাইগ্রেনের ব্যথা শুরুর আগে থেকে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে বলা হয় ‘অরা’। চোখের সামনে বক্র রেখা, তারা বা বিন্দু দেখা যেতে পারে। আবার চোখের সামনে কিছু অংশ অন্ধকারও দেখাতে পারে। কারও আবার কানের ভেতর এমন শব্দ হতে পারে, যাতে মনে হয়, কিছু একটা বুঝি ঘুরছে কানে। অস্বাভাবিক ঘ্রাণ পেতে পারেন কেউ কেউ। কারও আবার মুখ, হাত কিংবা পা ঝিনঝিন করতে পারে। যে জিনিসে ব্যথা অনুভব করার কথা নয়, তাতে ব্যথা অনুভব করতে পারেন কেউ কেউ।
এসব উপসর্গ ছাড়া শুধু মাথাব্যথাও হয় অনেকের। মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত হয় মাথার যেকোনো একটা পাশে। ব্যথা হয় তীব্র। বমিভাব থাকতে পারে। বমিও হতে পারে। ব্যথার মুহূর্তে আলো আর শব্দ অসহ্য মনে হয়। সব ধরনের মাইগ্রেনেই মাথাব্যথা এবং ব্যথার সময়ের উপসর্গ এমন হয়ে থাকে।
যে মাইগ্রেনে কেবল অরার সময়ের উপসর্গ থাকে, তাকে সাধারণভাবে বলা হয় সাইলেন্ট মাইগ্রেন। অর্থাৎ মাথাব্যথা ছাড়া কেবল অরা থাকলে সেটি সাইলেন্ট মাইগ্রেন। ব্যথা না হলেও অরার কষ্টকর অনুভূতিতে ঠিকই ভোগেন রোগী।
এই মাইগ্রেনে অরার বিভিন্ন উপসর্গের সঙ্গে যোগ হয় মাথা ঘোরানো, কথা জড়িয়ে যাওয়া, শুনতে না পাওয়া, একটি জিনিস দুটি দেখার মতো কোনো উপসর্গ। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে অন্যান্য রোগেও। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন আদতে কোন রোগের কারণে এমন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। পরবর্তী সময়ের করণীয় সম্পর্কেও বলে দেবেন চিকিৎসক।
এ ধরনের মাইগ্রেনে দেহের যেকোনো একটা পাশ অবশ হয়ে যায়। এভাবে দেহের কোনো অংশ অবশ হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের উপসর্গ। তাই দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারও কারও এই সমস্যা থেকে যায় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও।