আলমারির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বেই। কিন্তু এর মধ্যেও আলমারি রাখতে পারেন পরিপাটি। আলমারি পরিপাটি রাখার উপায়গুলো দেখে নেওয়া যাক।
কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য সঠিকভাবে সাজানো জরুরি। প্রতিটি কাপড় ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাখলে কাপড় খুঁজে পাওয়া বেশ সহজ হবে। আলমারিতে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, জিনসের জন্য আলাদা আলাদা সারি তৈরি করুন। এতে যেকোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মানানসই কাপড় পেতে বেগ পেতে হবে না। বরং যে ধরনের কাপড় পরতে চান, সেই সারিতে গেলেই পছন্দসই কাপড় বেছে নিতে পারবেন।
আলমারিতে প্রয়োজনের বেশি কাপড় জমা হয়। একসময় নতুন কাপড়ও হয় পুরোনো। কিন্তু এই অতিরিক্ত জামাকাপড়ের ভিড়ে নতুন আর পছন্দের জামাকাপড় পড়ে যায় পেছনে বা তলানিতে। প্রয়োজনের সময়ে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যে কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় সরিয়ে আলাদা জায়গায় রাখুন। এতে পছন্দের কাপড় থাকবে হাতের নাগালে।
আলমারিতে অতিরিক্ত জামাকাপড়ের বোঝা কমাতে অনেকেই বেছে নেন ‘ওয়ান ইন ওয়ান আউট’ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটা জামা যখন ওয়ার্ডরোবে যুক্ত হয়, আরেকটি জামা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। ওয়ান ইন ওয়ান আউট পদ্ধতিতে নতুন জামা কেনার আগে পুরোনো একটি জামা সরিয়ে রাখতে হয়। এতে আলমারিতে জায়গা যেমন সমান থাকে, তেমনি পুরোনো কাপড়গুলো সহজে বের করে ফেলা যায়।
অনেকেই শুকনা কাপড় গুছিয়ে আলমারির এক জায়গায় রেখে দেন। এতে কেবল ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া কাপড়গুলোই একসঙ্গে পাওয়া যায়। কিন্তু সব ধরনের কাপড় এক জায়গায় থাকলে তা পরবর্তী সময়ে সমস্যা তৈরি করে। যে কারণে কাপড় আলমারিতে রাখার সময় ক্যাটাগরি অনুযায়ী গুছিয়ে রাখুন। এতে পরবর্তী সময়ে সমস্যা এড়ানো যাবে।
রেডিমেড আলমারিতে বেশির ভাগ সময়ই প্রয়োজন অনুযায়ী কাপড় রাখা সম্ভব হয় না। যে কারণে অর্ডার দিয়ে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা আলমারি বানাতে পারেন। এতে আলমারির সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া কাপড়ের প্রয়োজন অনুযায়ী কাপড় ভাঁজ করে কিংবা ঝুলিয়ে রেখে অনেকটা জায়গা সাশ্রয় করতে পারেন। আলমারির ভার্টিক্যাল স্পেস ব্যবহার করে, সেট কাপড় একসঙ্গে সাজিয়ে রেখে প্রচুর জায়গা যেমন সাশ্রয় করতে পারেন, তেমনি আলমারির সঠিক ব্যবহারও হতে পারে নিশ্চিত।
সূত্র: রিয়াল সিম্পল