যেভাবে খাবার ঘরে আভিজাত্য আনবেন

খাবার ঘরকে আভিজাত লুক দিতে বেছে নিতে পারেন চমৎকার দেয়ালসজ্জা ও আসবাব। যোগ করতে পারেন নানা অনুষঙ্গ। অভিজাত অন্দরসজ্জার নানা দিক নিয়ে সৃষ্টি আর্কিটেকচার অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি তাসনিম তূর্যির সঙ্গে কথা বলেছেন রাফিয়া আলম

ক্ল্যাসিক বা ধ্রুপদি ধারার অন্দরে একটু ভারী আসবাব রাখুন
ছবি: প্রথম আলো

যেমন হবে আসবাব

খাবার টেবিলের ওপরটা মার্বেল পাথর বা গ্রানাইটের হতে পারে। অথবা পুরোটাই হতে পারে সেগুন বা ওক কাঠের। সে ক্ষেত্রে টেবিলের ওপরকার কাঠের টেক্সচার হতে পারে একটু ভিন্ন। কাঠের স্বাভাবিক গড়নকে বদলে কৃত্রিম নকশার মাধ্যমে টেবিল টপের টেক্সচারে আনা যায় ভিন্ন রূপ। রঙের প্রলেপ মানসম্মত হলে ফুটে উঠবে আভিজাত্য। চেয়ারে কাপড় বা লেদার ব্যবহার করলে অভিজাত দেখাবে। ক্ল্যাসিক বা ধ্রুপদি ধারার অন্দরে একটু ভারী আসবাব রাখুন। আধুনিক ধারার অন্দরে আবার হালকা নকশা চলছে। আসবাবের রং হতে পারে নানা রকম। সাদার মধ্যে থাকতে পারে সোনালি কারুকাজ। কিংবা থাকতে পারে বেজ রঙের মতো কোনো রং।

খাবার ঘরে এমন আলোর ব্যবস্থা করুন, যা স্বস্তিদায়ক

দেয়ালের রং

খাবার ঘরের দেয়ালে থাকতে পারে গাঢ় সবুজ, গাঢ় নীল, নেভি ব্লু, রয়েল ব্লু, গাঢ় ধূসর বা চারকোল রঙের মতো গাঢ় রং। চাইলে ছাদেও রাখতে পারেন একই রং। দারুণ দেখাবে। আবার চাপা সাদা, হালকা বেজ, হালকা ধূসর বা হালকা কফি রঙের মতো নিরপেক্ষ রংও ব্যবহার করা যায় দেয়ালে। তবে এ ক্ষেত্রে যেকোনো একটি দেয়ালে মানানসই গাঢ় রং রাখলে আভিজাত্যের ছোঁয়া পাবেন।

দেয়ালসজ্জা

দেয়ালসজ্জায় কাঠের প্যানেল যোগ করতে পারেন। সেগুন কিংবা গর্জন কাঠের প্যানেল করে সেটিকে মানানসই রঙে রাঙিয়ে নিলে নজর কাড়বে। বৈপরীত্য আনতে সোনালি, কালো বা ব্রোঞ্জ রঙের খানিকটা ব্যবহার হতে পারে প্যানেলটিতে। সেখানে স্টেইনলেস স্টিল বা অন্যান্য ধাতব উপকরণও কাজে লাগানো যেতে পারে। বড় পেইন্টিং ঝোলাতে পারেন একটি দেয়ালে।

খাবার ঘরকে আভিজাত লুক দিতে বেছে নিতে পারেন চমৎকার দেয়ালসজ্জা ও আসবাব

আলোর ব্যবস্থা

এমন আলোর ব্যবস্থা করুন, যা স্বস্তিদায়ক। আলোই যেন অতিথিদের অভ্যর্থনা করে। ২৭০০-৩০০০ কেলভিন আলো বেছে নিতে পারেন। প্রয়োজনে আলোর রং ও তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানো যায়, এমন উৎসের আলোর ব্যবস্থাও করতে পারেন। ছাদ থেকে ঝোলাতে পারেন ঝাড়বাতি বা পেনডেন্ট লাইট। কিংবা দেয়ালে রাখুন আলোর দৃষ্টিনন্দন উৎস (ওয়াল ব্র্যাকেট লাইট)। পর্দা রাখুন দুই স্তরের। বাইরের আলো আসবে সাদা বা চাপা সাদা রঙের পাতলা পর্দা ভেদ করে। আবার প্রয়োজনে বাইরের আলো বা রোদ আটকানোর জন্য ব্ল্যাক আউট পর্দাও রাখুন।

আরও যা

  • ডিনার ওয়াগন বা ওয়াল হ্যাঙ্গিং (দেয়ালে ঝোলানো) কেবিনেটে সাজিয়ে রাখুন তৈজসপত্র।

  • ডিনার ওয়াগনের উল্টো দিকের দেয়ালে রাখতে পারেন একখানা আয়না।

  • কাউন্টার টপ থাকলে সেটি করুন মার্বেল পাথরে।

  • রানার ও টেবিল ম্যাট ছাড়াও টেবিলের ওপর রাখুন নজরকাড়া সেন্টারপিস কিংবা মোমদানি। চারটি বা ছয়টি মোমদানি সমান্তরালভাবে সাজানো যেতে পারে টেবিলে। মার্বেল পাথরের বড় ফুলদানিও হতে পারে অসাধারণ এক সেন্টারপিস।

  • দুই পাশে গাছের জন্য রাখতে পারেন দুটি বড় টব।