রুয়েটের আলোকচিত্রীদের দল

প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে ফটোগ্রাফি ক্লাব। শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন এসব ক্লাব। ছবি তোলার চর্চার পাশাপাশি একে অপরের কাছ থেকে শিখছেন তাঁরা, আয়োজন করছেন নানা অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী। ক্যাম্পাসের আলোকচিত্রীরা নিশ্চয়ই তাঁদের প্রিয় প্রাঙ্গণকে একটু ভিন্ন চোখে দেখেন। পড়ুন ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব রুয়েটের কার্যক্রমের বৃত্তান্ত

ক্যাম্পাসের মুহূর্তগুলো এভাবেই ধরা পড়ে ক্লাবের সদস্যদের ক্যামেরায়
ছবি: ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব রুয়েটের সৌজন্যে

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ফটোগ্রাফি ক্লাবের লক্ষ্য, এমন কিছু প্রতিনিধি তৈরি করা, যাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরেও দেশের ফটোগ্রাফি অঙ্গনের চেনা মুখ হয়ে উঠবেন। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করলেও মাঝখানে সংগঠনটির কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়েছিল। পরে ক্লাবের পুনর্জন্ম হয় ২০১১ সালে। এরপর আর থামতে হয়নি।

ফটোওয়াকের মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্যরা প্রায়ই দল বেঁধে ছবি তুলতে বের হন। এ সময় ক্লাবের পুরোনো সদস্যরা নতুনদের পরামর্শ দেন, বিনিময় করেন অভিজ্ঞতা। ছবি তোলার জন্য কখনো কখনো দূরদূরান্তেও ছুটে যান তাঁরা। যেমন নওগাঁর পাহাড়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলপনা গ্রাম, পাবনার বাঘা মসজিদ থেকে শুরু করে সাগরকন্যা কুয়াকাটাতেও ফটোওয়াকে গিয়েছেন ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব রুয়েটের (পিএসআর) সদস্যরা।

বেশ কিছু ফটোওয়াকের পর একটি করে ফটো আড্ডার আয়োজন করা হয়। সেখানে সবাই তাঁদের তোলা ছবি প্রদর্শন করেন। আলোচনা হয় সেই সব ছবি নিয়ে।

সম্প্রতি একটি নতুন কার্যক্রম শুরু করেছেন তাঁরা—পিএসআর স্কুল। এই স্কুলে আলোকচিত্রের নানা কৌশল নিয়ে ক্লাস চলে। যেমন একটি মুহূর্ত ধারণ করা, ছবির মাধ্যমে গল্প বলা, কম্পোজিশন ইত্যাদি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ রবিন বলেন, ‘পিএসআরের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট “লাইফ ইন ফটোজ”।সর্বশেষ ২০১৭ সালে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর নানা কারণে আর হয়ে উঠেনি। এ বছর আবারও আমরা সেই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রদর্শনীটা দুই অংশে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ভাগ রাজশাহীতে, দ্বিতীয়টা হবে ঢাকায়।’