গেঞ্জি শব্দটি এসেছে সম্ভবত গানজি থেকে। এটি একধরনের উলে বোনা সোয়েটার, যা ব্রিটিশ নাবিকেরা পরত। ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে চা কিংবা ক্রিকেটের পাশাপাশি ‘গানজি’র প্রচলনও করে।১৮ শতকের শেষ দিকে ইউজেন স্যান্ডো নামে এক জার্মান বডি বিল্ডার বেশ নাম করেছিলেন। তাঁকে আধুনিক বডি বিল্ডিংয়ের জনকও বলা হয়। বিচিত্র একধরনের হাতাকাটা পোশাক পরতেন তিনি। ধারণা করা হয়, ‘স্যান্ডো গেঞ্জি’র নামকরণ তাঁর নাম থেকেই অনুপ্রাণিত।দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ নানা দেশ ঘুরেছেন স্যান্ডো। ১৯০৫ সালে আসেন ভারতে। আধুনিক যোগ বা ইয়োগাকে জনপ্রিয় করার পেছনেও তাঁর অবদান আছে।ফ্রুট অব দ্য লুম নামে একটি মার্কিন পোশাকের ব্র্যান্ড এক আজব গবেষণা করেছিল। তাদের গবেষণায় জানা যায়, যে পুরুষেরা প্যান্টের ভেতর আন্ডারশার্ট বা স্যান্ডো গেঞ্জি গুঁজে পরেন, তাঁরা তুলনামুলক বেশি সুখী ও সফল। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার পুরুষের ওপর জরিপ করে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
১৯৩৪ সালের ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট সিনেমায় মার্কিন অভিনেতা ক্লার্ক গ্যাবলের শার্ট খুলে ফেলার একটি দৃশ্য ছিল। মজার ব্যাপার হলো, ক্লার্ক গ্যাবল শার্টের নিচে খালি গা দেখানোর পরপরই স্যান্ডো গেঞ্জি বা আন্ডারশার্টের ব্যবসায় ব্যাপক ধস নামে। কারণ লোকে ভাবতে শুরু করেছিল, ক্লার্ক গ্যাবল যদি শার্টের নিচে স্যান্ডো গেঞ্জি না পরে, আমি কেন পরব!অস্ট্রেলীয় ফুটবলে (অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল) খেলোয়াড়েরা এক ধরনের হাতাকাটা পোশাক পরেন। তাঁদের এই পোশাককে জার্সি নয়, বলা হয় গানজি।১৯৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে স্যান্ডো গেঞ্জি ঘরানার পোশাককে বলা হতো ‘ওয়াইফ বিটার’, অর্থাৎ যে পুরুষ স্ত্রীকে নির্যাতন করে। কেন এমন নামকরণ, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, এর পেছনে একটি ঘটনা আছে। ১৯৪৭ সালে স্ত্রীকে মারার অপরাধে জেমস হার্টফোর্ড জুনিয়র নামে একজন আটক হয়েছিলেন। মাসব্যাপী তাঁর ছবি ছাপা হয়েছিল স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে। ওই ছবিতে হার্টফোর্ডের পরনে ছিল হাতাকাটা গেঞ্জি। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ওয়াইফ বিটার’।