ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেন অনেকেই। স্বাস্থ্যগত কারণ তো আছেই, গোটা জীবনধারাই ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসে। আদতে কেন ভোরে ওঠা জরুরি, জানেন কি?

ভোরে ওঠা মানেই আপনি দিনের শুরু থেকে সময়টা একটু বেশি পাবেন। দিনটাকে গুছিয়ে নিতে পারবেন সহজে। আরও পাবেন পড়ালেখা বা কাজ করার মতো নিরিবিলি পরিবেশ। জেনে নিন ভোরে ঘুর থেকে ওঠার সুবিধাগুলো।

রাতের ঘুম

রাতের ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকারি। অথচ রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কিংবা অভ্যাসবশতই জাগেন গভীর রাত পর্যন্ত। অথচ ভোরবেলা ওঠার অভ্যাস করলে রাতের ঘুমের সময়টা ঠিক রাখা তুলনামূলক সহজ হয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে হৃদ্‌রোগ ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমে। ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় না সহজে।

সতেজ দিন

পেশাগত প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে কোনোরকমে বেরিয়ে যাওয়ার অভ্যাস ভালো নয়। ঘুম থেকে ওঠার পর ঘুম ঘুম ভাবটা কাটিয়ে সতেজ হতে একটু সময় লাগতেই পারে। কিন্তু আগেভাগে ঘুম থেকে উঠলে আপনি সতেজ হয়ে দিনের কাজ শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
ভোরের আলো ও স্নিগ্ধ হাওয়া আমাদের দেহ ও মনের জন্য ইতিবাচক। প্রকৃতির মিষ্টি রোদে সময় কাটানোর সুযোগও মেলে ভোরে উঠলে।

খাদ্যাভ্যাস ঠিকঠাক

ভোরে উঠলে নাশতা তৈরির পর্যাপ্ত সময় পাবেন আপনি। পাবেন ধীরেসুস্থে নাশতা খাওয়ার সুযোগও। দুপুরের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে সঙ্গে নিতেও পারবেন অনায়াসে। সময়মতো খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে অ্যাসিডিটি থেকেও বাঁচবেন।

প্রশান্তিময় জীবন

সকালে বেরোতে একটু দেরি হলেই আপনি পড়তে পারেন যানজটে। দেরি হয়ে যেতে পারে কর্মস্থলে পৌঁছাতে। দেরি হলে যেমন পেশাগত ক্ষতি, তেমনি দেরি হয়ে যাওয়ার ভাবনায় আপনি থাকবেন মানসিক চাপে। দেহে বাড়বে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা। এভাবে বাড়তে পারে দীর্ঘমেয়াদি বহু রোগের ঝুঁকি। অথচ একটু আগেভাগে ঘুম থেকে উঠলে আপনি সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে তৈরি হতে পারেন। অকারণ চাপের মুখে পড়তে হয় না।

বাড়তি সময়

শরীরচর্চাসহ প্রয়োজনীয় অনেক কাজের জন্য সময় বের করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় অনেকের পক্ষেই। এমনকি কাজের চাপে প্রিয়জনদের জন্য আলাদা সময় বের করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আপনি দৈনন্দিন কাজের জন্য পাবেন কিছুটা বাড়তি সময়।

ফলে ধীরেসুস্থে, গুছিয়ে করতে পারবেন সব কাজ। তাড়াহুড়া না থাকায় কাজগুলো হবেও ঠিকঠাক। যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন সহজে। অন্যান্য কাজ সেরে শরীরচর্চা ও অবসরযাপনের সময়ও ঠিকই বের করতে পারবেন সারা দিনে।

সূত্র: হেলথলাইন