
ষষ্ঠীর সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। সেই কখন থেকেই ঝরছে। এই দিনে বাঙালির হেঁশেলে খিচুড়ি ছাড়া কি আর চলে! তা–ও আবার উৎসব দিন বলে কথা। তাই রাতে ঝটপট রেঁধে ফেলুন দারুণ স্বাদের সবজি খিচুড়ি। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর এই রেসিপিটি দিয়েছেন সৌখিন রন্ধনশিল্পী অধ্যাপক শাহীনা দেওয়ান
মুগ ডাল ২০০ গ্রাম, মসুর ডাল ১০০ গ্রাম, পোলাওর চাল ২০০ গ্রাম, কাঁচা জিরা ১ চা–চামচ, এলাচি, দারুচিনি, লং ২টা করে. শুকনা মরিচ ৪/৫টা, আলু ১ কাপ, ফুলকপি ১ কাপ, পেঁপে ১ কাপ, মিষ্টিকুমড়া ১ কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, টমেটোকুচি ২টা, আদা–রসুনবাটা ১ চা–চামচ, নারকেল কোরানো আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪/৫টা, ঘি ২ টেবিল চামচ, আধা কাপ পেঁয়াজকুচি এবং মসলা, হলুদ, মরিচ, ধনেজিরাগুঁড়া আধা চামচ করে।
মুগ ডাল ভেজে, চাল ধুয়ে, মসুরের ডালসহ ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর প্যানে ২ টেবিল চামচ শর্ষের তেল দিয়ে প্রতিটি সবজি আলাদা ভাজতে হবে।
১৫ মিনিট পর চাল আর ডাল ঝাঁঝরিতে দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
চুলায় হাঁড়িতে ২ টেবিল চামচ শর্ষের তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে জিরা ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে হবে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হলে আদাবাটা ও অন্যান্য গুঁড়া মসলা দিয়ে নাড়তে হবে। এরপর এর সঙ্গে গরমমসলা ও তেজপাতা দিতে হবে। এই মসলা মিশ্রণের মধ্যেই চাল ও দুই রকম ডাল দিয়ে ভাজতে হবে। কিছুক্ষণ ভাজার পর চাল ও ডালের দ্বিগুণ পরিমাণ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর চাল ও ডাল ফুটে উঠলে মটরশুঁটি বাদে সব ভাজা সবজি দিয়ে দিতে হবে। পানি কমে চাল, ডাল ও সবজির সমান সমান হয়ে এলে তখন আরও ৪ পট গরম পানি দিতে হবে এবং কিছুক্ষণ পরপর নাড়তে হবে। না হলে নিচে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পানি আরও কিছুটা কমে এলে মটরশুঁটি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে খিচুড়িকে মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। পানি একেবারে শুকিয়ে এলেও খিচুড়ি ভেজা ভেজা থাকবে। এর সঙ্গে নারকেল মিশিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে ২ টেবিল চামচ ঘি দিতে হবে। সবশেষে ধনেপাতার কুচি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
গরম গরম সবজি খিচুড়ি কেবল সুস্বাদই নয়, স্বাস্থ্যকরও। গরম গরম পরিবেশন করুন যেকোনো পদের সঙ্গে। তবে ষষ্ঠীতে নিরামিষই হতে হবে। তাই যেকোনো ভাজা পরিবেশন করতেই পারেন।
রন্ধনশিল্পী: প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান , ইংরেজি বিভাগ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ঢাকা এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ;