ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো

পর্ব–২

পূজায় বাড়িতেই বানান মিষ্টি

পূজা চলে এসেছে। পূজা মানেই মিষ্টি খাওয়া। হরেক পদের মিষ্টি কেনা হবে, খাওয়া হবে পূজার এ কয়েক দিনে। মিষ্টি ছাড়া পূজা ভাবা যায় না। আমাদের হাতের কাছেই যখন আছে দুধ, চিনি, তেল ইত্যাদি উপকরণ, তখন বাড়িতে মিষ্টি বানাতে সমস্যা কোথায়? ফাতিমা আজিজের দেওয়া রেসিপিতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হরেক স্বাদের মিষ্টি।

কাঁচা গোল্লা

উপকরণ: ছানা ৩ কাপ, মাওয়া ১ থেকে দেড় কাপ, ক্রিম ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, মাওয়া (গ্রেট করা) দেড় কাপ, এলাচগুঁড়া ১ চা-চামচ।

কাঁচা গোল্লা

প্রণালি

ছানা তিনটি সমান ভাগে ভাগ করুন। দুই ভাগ ছানা মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। ছানার পানি বেরিয়ে হালকা নরম হলে মৃদু আঁচে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। ছানা ও চিনি মিশে আঠালো হয়ে এলে বাকি এক ভাগ ছানা চিনি মেশানো ছানার সঙ্গে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়ুন। ক্রিম মিশিয়ে এবং এলাচগুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন।

হালকা গরম থাকতে থাকতে মসৃণ করে ছেনে কয়েকটি ভাগ করুন। হাতের মুঠোয় নিয়ে গোল করে কাঁচা গোল্লা তৈরি করা মাওয়ায় গুঁড়িয়ে পরিবেশন করুন।

ডায়াবেটিক মিষ্টি (কাঁচা গোল্লা)

ছানার উপকরণ

গরুর দুধ আধা কেজি, সিরকা-ছানার পানি ১ থেকে দেড় টেবিল চামচ।

ডায়াবেটিক মিষ্টি (কাঁচা গোল্লা)

প্রণালি

দুধ চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে ছানার রেসিপি অনুযায়ী সিরকা মিশিয়ে ছানা তৈরি করুন।


সন্দেশ তৈরির জন্য

ছানা ১ কাপ, এলাচগুঁড়া সামান্য, যেকোনো ব্র্যান্ডের ডায়াবেটিক চিনি সিকি চা–চামচ। মাওয়া সিকি কাপ, ২ টেবিল চামচ মাখন।

প্রণালি

ছানা ঝরঝরে করে মেখে প্যানে মাখন গলিয়ে ৩-৪ মিনিট নাড়াচাড়া করে ২ টেবিল চামচ মাওয়া দিয়ে নাড়ুন। ঠিক নামানোর আগ মুহূর্তে ক্যান্ডেরাল ও এলাচগুঁড়া দিয়ে নেড়ে চুলা বন্ধ করে দিন। মিশ্রণ কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর মসৃণ করে ছেনে কাঁচা গোল্লার মতো ছোট ছোট মিষ্টি তৈরি করুন। মাওয়ায় গড়িয়ে পরিবেশন ডিশে সাজিয়ে নিন।

মালাই চপ

উপকরণ

ছানা ৩ কাপ, দুধ আড়াই লিটার, চিনি সিকি কাপ, ক্রিম আধা কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, পানি সোয়া কাপ।

মালাই চপ

প্রণালি

দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। নিচে যেন পোড়া না লাগে। ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে নিন।

চিনি ও পানি জ্বাল দিন একত্রে। পাতলা শিরা তৈরি করুন। ছানা মসৃণ করে ছেনে নিয়ে স্পঞ্জ রসগোল্লার মতো বল তৈরি করে হাতের মুঠোয় নিয়ে চ্যাপটা করুন। এবারে শিরায় দিয়ে রান্না করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট চুলায় রাখুন। তারপর চুলা বন্ধ করে দিন। প্রতিটি মিষ্টির ওপর ক্রিমের ছোঁয়া লাগিয়ে দিন। পরিবেশন পাত্রে মালাই চপগুলো সাজিয়ে ওপরে ঘন দুধ ঢেলে গোলাপজল ও জাফরান ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

রসমালাই

উপকরণ

ছানা এক কাপ, দুধ দেড় থেকে ২ লিটার, গোলাপজল আধা টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, চিনি এক কাপের তিন ভাগের চার ভাগ, বাদাম ও পেস্তা কুচি ১ টেবিল চামচ।

রসমালাই

প্রণালি

ছানা মসৃণ করে ছেনে নিয়ে ডিম্বাকার (অর্থাৎ ল্যাংচার মতো) ছোট মিষ্টি তৈরি করুন। পাতলা শিরা তৈরি করে মিষ্টিগুলো গরম শিরায় ছেড়ে ৭-৮ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। দুধ জ্বাল দিয়ে কিছুটা জমে এলে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে নাড়ুন যেন সর না পড়ে। দুধ বেশ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। সার্ভিং বোলে শিরা থেকে মিষ্টি ছেঁকে ওঠান। গোলাপজল ও জাফরান মিশিয়ে নিন। অর্ধেক জাফরান-গোলাপজল দুধে ছিটিয়ে দুধ মিষ্টির ওপর ঢেলে দিন। বাকি গোলাপজল-জাফরান মিষ্টির ওপর ছিটিয়ে দিন। এবার বাদাম ও পেস্তা কুচি দিয়ে মনের মতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।