পেশোয়ারি আহারে, মন বলে আহা রে!

পাকিস্তানের প্রাচীন নগর পেশোয়ার ইতিহাসে যেমন সমৃদ্ধ, খাবারদাবারেও রয়েছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। নমক মান্দির জন্য বিখ্যাত পেশোয়ার। জিবে জল আনা বিভিন্ন খাবারের প্রসিদ্ধ স্থান এটি। নমক মান্দির খাবারে মসলা কম থাকে। অনেক সময় কেবল লবণ দিয়েই বানানো হয়। আগুন-কয়লায় ঝলসে বা কড়াইয়ে ভাপে-তাপে রান্না হয় এসব খাবার। খাবারের মূল উপাদানের স্বাদ-গন্ধ যেন মসলায় হারিয়ে না যায়, সেটাই মূল লক্ষ্য।

পেশোয়ারের নামকরা বাবুর্চি বিকাশ নিগম বলেন, এই খাবারের স্বাদ একেবারেই আলাদা। পেশোয়ারের খাবারে মসলার ব্যবহার অন্য রকম। এমনভাবে মসলা দেওয়া হয়, যাতে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ অটুট থাকে।

পেশোয়ারের জনপ্রিয় তিনটি খাবারের কথা এখানে লেখা হলো:

নমকিন মাটন কড়াই। ছবি: ইন্টারনেট

নমকিন মাটন কড়াই: খাসির মাংস, টমেটো, আদা, কাঁচা মরিচ আর প্রাণিজ চর্বি। এই মসলাগুলো দিয়েই বানানো হয় এই খাবার। কড়াইয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রান্না হয়। এর যা স্বাদ, ভোলার নয়।

সুলাইমানি মুর্গ কি কাবাব। ছবি: ইন্টারনেট

সুলেমানি মুর্গ কি কাবাব: পেশোয়ারের রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নাকে আসবে এই খাবারের গন্ধ। মন আনচান করে উঠবে। খাবার মুখে দিলে নিজেকে মনে হবে সুলতান। মসলায় সাঁতলানো মুরগির মাংস প্রথমে কড়া করে ভাজা হয়। এরপর দুধ বা দই-জাতীয় খাবার দিয়ে রান্না করা হয় সেই মাংস।

পেশোয়ারি রান। ছবি: ইন্টারনেট

পেশোয়ারি রান: কচি ভেড়ার পা দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার এটি। অল্প মসলা দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাংস শস্য মেশানো সিরকা দিয়ে বিশেষ তাওয়ায় সেকা হয়। এরপর তৈরি হয় পেশোয়ারি রান। টিএনএন অবলম্বনে