সুমাইয়া শিমুর কাছে ঈদ মানেই খাওয়াদাওয়া

ছোটবেলায় সুমাইয়া শিমুর কাছে ঈদ মানেই ছিল বাড়িভর্তি আত্মীয়স্বজন। চাচা, ফুফু, মামা, খালা আর ভাইবোনদের নিয়ে ঈদ। ছোটবেলা থেকেই মিষ্টিজাতীয় খাবার তাঁর পছন্দ। ঈদের দিন মনভরে মিষ্টি খাবার না খেলে যেন তাঁর ঈদটাই শুরু হয় না। ঘন দুধের সেমাই ও পায়েস খেতে খুব ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী।

ব্যস্ততার কারণে এখন আর আগের মতো রান্না করার সময় পান না সুমাইয়া শিমু। তবে ঈদের দিনের আয়োজনে থাকে চার-পাঁচ রকমের মিষ্টান্ন, চটপটি, রোস্ট, পোলাও, গরুর মাংস আর কাবাব।

সুমাইয়া শিমুর ঈদ আয়োজনে গরুর মাংসের পদ থাকবেই

ঈদের পরও দু-তিন দিন ধরে ঈদের খাবার খেতে ভালোবাসেন তিনি। মায়ের হাতের তৈরি খাবার খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন সুমাইয়া শিমু। বয়স হওয়ায় আগের মতো রাঁধতে না পারলেও এখনো খুব ধৈর্য নিয়ে মেয়ের জন্য পিঠা বানান মা লায়লা রহমান। বড় বোন নাদিরা রহমানের হাতে বানানো খাবার খেতেও ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। খাবার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তাঁর বোন। নতুন নতুন খাবার বানিয়ে তাঁকে খাওয়ান।

গরুর মাংসের কালাভুনা

উপকরণ

গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কালাভুনার মিক্সড মসলা, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম পানি পরিমাণমতো, শর্ষের তেল আধা কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ৬টি।

গরুর মাংসের কালাভুনা

প্রণালি

মাঝারি আকারে কাটা গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে নিন। এরপর তাতে দিন পেঁয়াজকুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, কালাভুনার মসলা, লবণ ও তেল। ভালোভাবে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এরপর আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া ও মরিচগুঁড়া ভালো করে মাখিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে, যাতে মাংস তলায় লেগে না যায়। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে কষান। খেয়াল রাখতে হবে, মাংস যেন সেদ্ধ হয় কিন্তু ভেঙে না যায়। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। এবার আলাদা কড়াইয়ে শর্ষের তেলে রসুনকুচি, পেঁয়াজকুচি ও শুকনা মরিচ লালচে করে ভেজে নিন। সেই ভাজা মসলা রান্না করা মাংসে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। কয়েক ঘণ্টা পরপর অল্প আঁচে গরম করলে মাংসে রং ও স্বাদ আসবে।

ক্ষীর সেমাই

ক্ষীর সেমাই

উপকরণ

ঘি ১ কাপ, লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, ক্রিম ১০০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক ৩ টেবিল চামচ, কিশমিশ ৮-১০টা, বাদাম পরিমাণমতো।

প্রণালি

প্রথমে প্যানে সামান্য ঘি নিন। ঘি গরম হয়ে এলে লাচ্ছা সেমাই দিয়ে ভেজে নিন। ভাজার পর সেমাই কিছুটা ভেঙে নিন। ক্ষীর তৈরির জন্য আলাদা একটি প্যানে দুধ ঘন করে জ্বাল দিন। দুধে ক্রিম ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে নিন। দুধের মিশ্রণটি ঠান্ডা করুন। একটি গ্লাসে প্রথমে কিছুটা ক্ষীর নিন। এর ওপর ভেজে রাখা সেমাই এবং তার ওপর আবারও ক্ষীর দিন। সবশেষে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।

নারকেল দুধের পোলাও

উপকরণ

পোলাওয়ের চাল ৪ কাপ, ঘি সিকি কাপ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, রসুনকুচি আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি দেড় কাপ, নারকেলের দুধ ১ কাপ, পানি ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ।

নারকেল দুধের পোলাও

প্রণালি

চাল ভালোভাবে ধুয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিন। পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। হাঁড়িতে ঘি গরম করে তাতে আদা, রসুন ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এবার তাতে চাল দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়াচাড়া করে ভেজে নিন। এরপর নারকেল দুধ, পানি, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। তেজপাতা আর দারুচিনি দিন। মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন। পোলাওয়ের চাল কিছুটা সেদ্ধ হলে অর্ধেক পেঁয়াজ বেরেস্তা, কিশমিশ ও চিনি মিশিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট তাওয়ার ওপর দমে রাখুন। ওপরে কাঁচা মরিচ, কিশমিশ ও বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আমের সঙ্গে ক্রিম

আমের সঙ্গে ক্রিম

উপকরণ

টক দই ৪০০ গ্রাম, ক্রিম ১০০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক ৩-৪ চা-চামচ, মেরি বিস্কুট ১ প্যাকেট, পাকা আম ২টা।

প্রণালি

টক দই পাতলা কাপড়ে বেঁধে আধা ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন, যাতে পানি ঝরে যায়। একটি পাত্রে টক দই নিন। তাতে ভালোভাবে ক্রিম ও কনডেন্সড মিল্ক মেশান। পরিবেশন করার সময় পাত্রে টক দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে তার ওপর মেরি বিস্কুট বিছিয়ে দিন। টক দইয়ের স্তর দিন আবার। এর ওপর কেটে রাখা পাকা আম দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে।