মেট গালা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এখানে কোন তারকা কী পোশাক পরেছেন, রেড কার্পেট কে মাতাচ্ছেন, নজরে থাকে প্রতিটি মুহূর্ত। পাশাপাশি আলোচনায় আসছে খাবারের বিষয়টিও। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে এমন খাবার পরিবেশন করা হয়, যা থিম আর বিলাসবহুল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে যায়। এবার মেনুতে কী ছিল জানেন নাকি?
এ বছর খাবারের মেনু পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি এখনো। থিম ‘সুপারফাইন: টেইলারিং ব্ল্যাক স্টাইল’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাবার তৈরি করেছেন খ্যাতনামা মার্কিন শেফ কোয়ামে অনওয়াচি। এই অনওয়াচি তাঁর অসাধারণ রান্নার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
বেট ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোয়ামে অনওয়াচি বলেন, ‘এবারের মেট গালায় আমি কৃষ্ণাঙ্গ সংস্কৃতির সব রকম দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেমন ডায়াসপোরা (বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী) থেকে শুরু করে ক্যারিবীয়, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল, এমনকি নিউইয়র্কের বিভিন্ন কাউন্টিও।’
অনওয়াচি এমন একধরনের অক্সটেইল কনসোমে (ষাঁড়ের লেজ দিয়ে তৈরি একধরনের স্বচ্ছ স্যুপ) তৈরি করেছেন, যেখানে প্রকাশ পেয়েছে কত্যুর ফ্যাশনের সৌন্দর্য। আর এক চামচেই পাওয়া যাবে আফ্রো-ফিউচারিজমের স্বাদ, যেখানে মিলেছে কৃষ্ণাঙ্গ সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের এক মিশ্র রূপ।
২০২৪ সালে ‘দ্য টুডে শো’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও মেট গালার প্রধান আয়োজক আনা উইনটুর বলেন, তিনি শেফদের স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, খাবারে যেন চিভস (একধরনের সুগন্ধি পাতা), রসুন ও পেঁয়াজ না থাকে। কারণ, এগুলো তিনি পছন্দ করেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ‘গ্রেট টেস্ট ক্যাটারিং’-এর শেফ জশ জ্যাকসন ‘প্যারেড’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এসব উপাদান নিষিদ্ধ করার কারণ হতে পারে, পৃথিবীর বিখ্যাত সব তারকার চেহারা যেন নিখুঁত থাকে আর তাঁদের সতেজ নিশ্বাস বজায় থাকে। মেট গালায় সব সময় নজর দেওয়া হয় যেন তারকারা অনুষ্ঠানে অস্বস্তিতে না পড়েন।
জ্যাকসন আরও বলেন, ‘আনা উইনটুর চান না কোনো খাবার তারকাদের নিশ্বাসে প্রভাব ফেলুক। পাশাপাশি কারও কারও রসুন, পেঁয়াজ, চিভসে অ্যালার্জি থাকতে পারে। যার কারণে তাঁরা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। যদিও এটা বিরল। আরও একটা কারণ হতে পারে, আনা উইনটোর চান না চিভস অতিথিদের দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকুক।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস