ভাদ্র মাস এলেই পাকা তালের নানা রকম পিঠা তৈরি হয় গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। নড়াইল-যশোর অঞ্চলে তালের ক্বাথ দিয়ে বানানো কলাপাতা পোড়া পিঠা বেশ জনপ্রিয়। এই পিঠা তৈরিতে কোনো তেল লাগে না। তালের আঞ্চলিক রেসিপিটি শিখে নেওয়ার আগে জেনে নিন তালের পুষ্টি সম্পর্কে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তালের খাদ্যযোগ্য অংশে থাকে—
খাদ্যশক্তি: ৮৭ কিলোক্যালরি
জলীয় অংশ: ৭৭.৫ গ্রাম
আমিষ: ০.৮ গ্রাম
চর্বি: ০.১ গ্রাম
শর্করা: ১০.৯ গ্রাম
খাদ্য আঁশ বা ফাইবার: ১ গ্রাম
ক্যালসিয়াম: ২৭ মিলিগ্রাম
ফসফরাস: ৩০ মিলিগ্রাম
আয়রন: ১ মিলিগ্রাম
থায়ামিন: ০.০৪ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন: ০.০২ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩): ০.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি: ৫ মিলিগ্রাম
তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ বলে বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল কার্যকর।
তালের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
ভিটামিন বির অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধেও তাল উপকারী।
তাল: ১টি (ক্বাথ বের করে ছেঁকে নিন)
চালের গুঁড়া: আধা কাপ
ময়দা: ২০ গ্রাম
গুড়: ৫০ গ্রাম
চিনি: ৫০ গ্রাম
নারকেল কোরা: আধা কাপ
কলা: ২টি
কলাপাতা: ১টি
তালের ক্বাথের সঙ্গে চালের গুঁড়া, ময়দা, চিনি, গুড় মিশিয়ে নিন।
পাকা কলা চটকে তালের মিশ্রণে দিন।
শেষে নারেকল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নরম ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে।
চুলার ওপর কলার পাতাটা একটু তাপে রেখে নরম করে নিন।
পাতাগুলো ৫-৬ ইঞ্চি পরিমাণ ছোট ছোট টুকরা করে নিন।
এক টুকরা কলাপাতার ওপর রুটির চেয়ে একটু বেশি পুরু করে ব্যাটার দিন।
আরেকটি একই মাপের পাতা দিয়ে ওপরের অংশ ঢেকে নিন।
চুলায় একটা তাওয়া বসিয়ে গরম হলে একটা করে ব্যাটারযুক্ত পাতা এপিঠ-ওপিঠ সেঁকে নিন।
পাতা পুড়ে এলে ভেতরের পিঠা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
এবার সেদ্ধ পিঠা তাওয়া থেকে নামিয়ে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।