
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
এই যে, শুনছেন? শুভ জন্মদিন।
জানি, আপনাকে উইশ করতে এক দিন দেরি করে ফেলেছি। আপনার জন্মদিন ছিল ১০ আগস্ট। কিন্তু আপনার জন্মদিন মেনে অধুনার মনের বাক্স ছাপা হয় না। তাই এক দিন পরেই শুভেচ্ছা পৌঁছাবে। এই করোনার সময়ে আমি পারিনি আপনাকে একটিবার সামনাসামনি দেখে ভালোবাসার উপহার দিতে। কিন্তু আমি চাই, পরদিন সকালে যখন চায়ে চুমুক দিতে দিতে এই লেখা পড়বেন, তখন যেন মনে হয়, হ্যাঁ, এটিই আপনার জন্মদিনের সেরা উপহার।
সত্যিই আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসি। আর ভালোবাসার মানুষকে ভিন্ন উপায়ে ভালোবাসি বলার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে।
জানি, আমাদের একসঙ্গে চলার পথ এতটা পুরোনো নয়। তবে কথা দিচ্ছি, পথটাকে টেনে নিয়ে যাব একেবারে জীবনের শেষ সীমানা পর্যন্ত। গ্রীষ্মের রৌদ্র হোক বা বর্ষার বৃষ্টি, আপনার হাত আজীবন এভাবেই ধরে রাখতে চাই।
ইতি
আপনার ‘প্রিয়তমা’
নীলাঞ্জনা, কতগুলো বর্ষা কেটে গেছে আমাদের দেখা হয় না, জানেন কি? সেই ২০১২ সালে পাবলিক পরীক্ষার হলে আপনার সঙ্গে সবশেষ দেখা। তারপর কেটে গেছে প্রায় ৯ বছর। মাঝখানে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ২০২০ সালের আগস্টের দিকের ঘটনা। তখন নচিকেতার একটা গান খুব শুনতাম, ‘সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।’ কদিন পরই একটা টেক্সট এল আপনার, ‘চিনতে পারেননি? কী সেলফিশ মানুষ আপনি!’
ব্যাপারটা আমার কাছে অতিপ্রাকৃতিক লেগেছিল সেদিন। আসলেই চিনতে পারিনি আপনাকে। ঠিকমতো চিনতে পারলে হয়তো রেখেই দিতাম আমার কাছে। আপনাকে সরাসরি কিছু বলা হয়নি কখনো। কিন্তু আপনি তো অনেক বুদ্ধিমতী। হয়তো সবটুকুই জানতেন। কোনো এক বিশেষ কারণে আপনার কাছে ফিরে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আপনার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। ছেলেটা নাকি ভালো চাকরি করে। প্রতিষ্ঠিত পরিবার।
মনে আছে আপনি আমাকে নিয়ে শীতলক্ষ্যার পাড়ে হাঁটতে চেয়েছিলেন? হয়তো কোনো দিন সুযোগ হবে কিন্তু তত দিনে আরেকজন এসে দাঁড়াবেন আপনার পাশে। ও হ্যাঁ, তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েন কিন্তু।
হাসান-আল-জাবের, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
তোমাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি, পদ্মাবতী। বলে বোঝাতে পারব না সেই ভালোবাসা কতটা। তোমাকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন, যা বলে শেষ করতে পারব না। আমার অনুভবে শুধু তুমি। তোমার জন্য আজকাল কোনো কবিতা লেখা হয় না, কেন জানো? কিছু ভাবতে গেলে তোমাকে ভেবে বসি। কিছু লিখতে গেলেও তোমাতে আটকে যাই।
তোমার চাঁদবদন দেখলে আমার সব দুঃখ দূর হয়ে যায়। ভালো লাগে, খুব শান্তি পাই। অনেক দিন ধরে তোমাকে দেখি না। আর না দেখার বেদনা আমাকে ভীষণভাবে পীড়া দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একদিন আমাদের দেখা হোক, চোখে চোখ পড়ুক। মনে আসুক প্রশান্তি। তত দিন পর্যন্ত ঘরে থাকো, সুস্থ থাকো।
পঙ্কজ শীল, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ
প্রিয়, কত না–বলা কথা রয়ে গেছে মনে। জানি না তোমারও এমন মনে হয়েছে কি না, আমার হয়েছে অনেকবার। যখন তোমার সঙ্গে কথা বলি, যেন হারিয়ে যাই অন্য কোনো জগতে। তুমি প্রশ্ন করতেই পারো, আধুনিকতার এই যুগে আমি অনিশ্চয়তা জেনেও কেন মনের বাক্সে চিঠি ফেলছি। উত্তর একটাই, আমি তোমার সামনে কিছুই বলতে পারিনি।
আমি বুঝতেই পারিনি কাউকে কোনো দিন এত ভালোবাসতে পারব। তোমার মেসেজের জন্য অপেক্ষা করা, কথা বলার সময় বুক ধড়ফড় করা, সবকিছু অনায়াসে শেয়ার করতে পারা, তোমার কষ্টগুলো নিজের করে নিতে পারা—এসব পারব, ভাবিনি। ভয়ে কখনো সামনে বলতে পারিনি যে কথা, সেটাই আজ বলছি—তুমি কি আমার হবে?
সুপ্তি, যশোর
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’