Thank you for trying Sticky AMP!!

রবির বাবা দিবসের বিজ্ঞাপনে বাবা-সন্তানের সহজ-সরল গল্প

বাবা সারা জীবন বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। আমাদের গায়ে কোনো আঁচ পর্যন্ত লাগতে দেন না। বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কে আদর, মায়া, সম্মান থাকে। আবার সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ। তবে এই সহজ-সরল গল্পগুলো পর্দায় উঠে আসে না। থেকে যায় আড়ালে। এ বছর ‘রবি’র বাবা দিবসের বিজ্ঞাপনটি অবশ্য বাবা-সন্তানের সহজ-সরল গল্পকেই তুলে এনেছে।

করোনাকালে আমরা মেনে চলছি স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ। প্রয়োজনে থাকতে হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিন বা সেলফ আইসোলেশনে। এই কঠিন সময়ে প্রিয়জনের সুস্থতায় দায়িত্ব পালনের বিষয়টি বাবা-ছেলের সম্পর্কের মাধ্যমে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে রবির বাবা দিবসের বিজ্ঞাপনে।

বিজ্ঞাপনটি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের জীবনের সঙ্গে অনেক বেশি মিলিয়ে দেয়। আরও একবার মনে করিয়ে দেয়, জীবনে বাবা নামক বটবৃক্ষের কী অবদান। আমরা দেখি, বাবা এখন বাসায় থাকেন, ঘরের কাজ বা রান্নায় সাহায্য করেন। বাবা ছেলেকে নিয়ে ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ফিরে যান নিজের ছোটবেলার স্মৃতিতে। এই দৃশ্য এখন দেখা যায় প্রায় প্রতিটি ছাদে।

বিজ্ঞাপনটির গল্পের মূল লক্ষ্য ছিল—বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক সুন্দর করে তুলে ধরা। একই সঙ্গে চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে একটি সংযোগ তৈরি করা। বিজ্ঞাপনে এমনভাবে গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা দেখে যেকেউ নিজের জীবনকে মিলিয়ে নিতে পারেন।

রবি ও এডিএ টিমের সম্মিলিত সার্থকতা এখানেই যে এই বিজ্ঞাপন কেবল একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি বা পণ্যের প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা ফুটিয়ে তুলছে আমাদের জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক। গড়ে তুলছে নানা রকম সামাজিক সচেতনতা।

বিজ্ঞাপনী সংস্থা এডিএর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কিঙ্কর আহসান বরাবরের মতো জাদু দেখিয়েছেন গল্পে। কিঙ্কর আহসান জানান, পুরো কাজ যে মানুষের মন ছুঁতে পেরেছে, সেটাই সার্থকতা।

গল্পটিকে পর্দায় উঠিয়ে আনতে কাজ করেছেন ডিরেক্টর তানভীর আহসান ও তাঁর টিম। বিজ্ঞপ্তি