
সবাই ভালোবাসা পেতে চান। কিন্তু সবাই কি ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত? কানাডীয় সম্পর্ক ও মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. কিম্বারলে মফিট ইনস্টাগ্রামে আট বৈশিষ্ট্যের কথা জানিয়েছেন, যা আপনার মধ্যে থাকলে বোঝা যাবে আপনি আদতে ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত কি না।
নিজেকে যদি নিজের মতো করে গ্রহণ না করেন, অতীতের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা না করেন, নিজেকে ভালো না বাসেন, তাহলে আপনি কীভাবে আশা করেন, অন্য আরেকজন আপনার জন্য সেটা করবে? আপনিই–বা অন্য আরেকজনকে কীভাবে ভালোবাসবেন, যেখানে আপনি নিজেই নিজেকে ভালোবাসেন না!
অন্যের ‘সার্টিফিকেট’ বা সমর্থনই যদি হয় আপনার চালিকাশক্তি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি এখনো ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত নন। কেননা, সে ক্ষেত্রে অন্য কেউ আপনার সঙ্গীকে পছন্দ না করলে সেটা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপনিও নিজের সঙ্গীকে অপছন্দ করতে শুরু করবেন। আপনি কেমন সঙ্গী চান, সে বিষয়ে আপনার যদি স্পষ্ট জ্ঞান ও অনুভূতি না থাকে, তাহলে আপনার সঙ্গীও আপনাকে নিয়ে একটা আস্থার সম্পর্কে যেতে পারবেন না। আপনি অপর পক্ষের জন্য হয়ে উঠবেন ‘প্যারা’।
প্রতিটা সম্পর্কের গ্রাফ উঁচুতে ওঠে আবার নিচে নামে। আপনি যদি মনে করেন, ভালোবাসার সম্পর্ক মানে কেবল সুখ আর সুখ কিংবা রূপকথার ‘অতঃপর তাহারা সুখে–শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল...’, তা আদতে ভুল! আপনি সম্পর্কের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। সঙ্গীর সঙ্গে ঝলমলে দিন, মেঘলা দিন কাটানোর জন্য মনে মনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। যা কিছুই আসুক না কেন, দুজনে মিলে সামলে নেওয়ার জন্য তৈরি হোন। নাহলে ভালোবাসার সম্পর্ক এখনই আপনার জন্য নয়।
যখন আপনি নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হবেন, নিজের সঙ্গ উপভোগ করবেন, কেবল তখনই আপনি সঙ্গীর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করবেন। যখন আপনি সঙ্গীর ওপর বা যে কেউ আরেকজনের ওপর অযৌক্তিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তখন সেই ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।
হয় সঙ্গীকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, নয়তো ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন। এর মাঝামাঝি কোনো রাস্তা নেই। মনে রাখবেন, অবিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসার সম্পর্কে কেউ সুখী হয় না।
প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার যদি ভালো না লাগে, স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ হচ্ছে বা হতে পারে ভেবে অস্বস্তি বোধ হয়, নিজের ‘প্রাইভেসি’ নষ্ট হওয়া নিয়ে ভয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য তৈরি নন বা ভালোবাসার সম্পর্ক আপনার জন্য নয়।
গল্প করা, খাওয়াদাওয়া করা, ঘুরে বেড়ানো বা নানা কাজের ভেতরে থেকে সময় কাটানো তুলনামূলকভাবে সহজ। যদি আপনি ওই মানুষটার সঙ্গে কিছু না করে চুপচাপ সময় কাটাতে অস্বস্তি বোধ করেন বা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, তাহলে এর মানে আপনি তার সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।
সম্পর্কের সব মুহূর্ত, সবকিছুই যে সব সময় আপনার পক্ষে থাকবে, তা নয়। প্রতিটা সম্পর্কে এমন সব সময় আসে, যখন সম্পর্ক টিকে থাকে যেকোনো একজনের ছাড় দেওয়ার ওপর। তাই দুজনকেই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই সম্পর্কে এগোতে হয়।
সূত্র: ড. কিম্বারলে মফিটের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল