সম্পর্ক গড়তে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু সেটাকে সফল করতে অনেক সময় লেগে যায়। দুজনকেই দিতে হয় প্রচুর শ্রম ও অধ্যবসায়। অর্জন করতে হয় পরস্পরের আস্থা ও বিশ্বাস। নিশ্চিত করতে হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধা। তখনই দুজনের সান্নিধ্যে তৈরি হয় এক স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। গড়ে ওঠে সফল সম্পর্ক। সেই সম্পর্কটা ফের দূষিত হয়ে উঠতে পারে কিছু অসাবধানতায়। সেগুলো তাই এড়িয়ে চলা দরকার সচেতনভাবে। কোন অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে, চলুন, জেনে নিই।

সম্পর্কে জড়ানো মানেই যৌথ জীবনে প্রবেশ করা। ফলে এমন অনেক দায়িত্বই আসবে, যেগুলো আপনাদের দুজনেরই ওপর বর্তায়। শুরুতে আবেগের আতিশয্যে দুজনই বেশি দায়িত্ব পালন করতে চাইবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আপনাদের নেমে আসতে হবে বাস্তবতায়। তখন একসময়ের ভালো লাগার অতিরিক্ত দায়িত্বই হয়ে উঠবে বোঝা। তাই শুরু থেকেই দুজনে সমানভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নিন।
সবারই ব্যক্তিগত ভালো লাগার ব্যাপার থাকে। কেতাবি ভাষায় যাকে বলে শখ। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সেটা না–ও মিলতে পারে। মেলাটাই বরং ভাগ্যের ব্যাপার। প্রায়ই দেখা যায়, দুজনের শখ দুই রকম। ফলে দুজনে অবসর সময় যার যার শখের কাজ করে পার করেন। মানে সময়টা দুজনের একসঙ্গে কাটানো হয় না। চেষ্টা করুন এটা এড়ানোর। অবসরটা দুজনে মিলে কাটানোর চেষ্টা করুন। তেমন কিছু খুঁজে বের করুন, যেটা দুজনেরই পছন্দ।
প্রতিদিনের পথচলায় সবারই নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তার থেকে আসে অশান্তি, মানসিক উদ্বেগ। এসব আপনি যত বয়ে নিয়ে বেড়াবেন, ততই বাড়তে থাকবে। ততই হারাতে থাকবেন মানসিক স্থিরতা। এসব বয়ে না বেড়িয়ে বরং আলোচনা করুন সঙ্গীর সঙ্গে। এ বাবদে দুজন দুজনকে সমর্থন করুন। তাতে দুজনই উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে পারবেন। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকবে পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস।
যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তির প্রতি আমাদের নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। ফলে এখন কেবল প্রয়োজনেই নয়, অপ্রয়োজনেও আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করি। কাজের বাইরে অবসর সময়টাও কাটিয়ে দিই প্রযুক্তির সান্নিধ্যে। করোনায় বাসায় থেকে কাজ করার অভ্যাস এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্ক। খেয়াল রাখতে হবে, প্রযুক্তি যেন আপনাদের যৌথ সময় কেড়ে না নেয়। প্রতিদিন আপনারা একসঙ্গে যে সময় কাটান, সেটা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্কটাকে স্বাস্থ্যকর রাখতে ভীষণ সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস