আইসল্যান্ডের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হারপা
আইসল্যান্ডের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হারপা

পর্ব- ৪

মেরুজ্যোতির দেশে

আইসল্যান্ডে আসব অথচ আরোরা বা মেরুজ্যোতি দেখব না, সেটা কী হয়? মূলত শীতের সময় যেসব পর্যটক আইসল্যান্ডে বেড়াতে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই মেরুজ্যোতির কথা চিন্তা করে আইসল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। প্রথমে মেরুজ্যোতি সম্পর্কে একটু সংক্ষেপে বলে নিই।

সৌরঝড়ের ফলে সূর্যের অভ্যন্তরের চার্জিত কণা বা প্লাজমা এ সৌরজগতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে এসব কণা পৌঁছালে সেগুলো ভূ-ভাগের চৌম্বকক্ষেত্র ও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রভাবে একধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সূর্যের চার্জিত কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অণু-পরমাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব চার্জিত কণার প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের অণু-পরমাণুগুলো আন্দোলিত হয় এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সাধারণত লাল, সবুজ, নীল—এ তিন বর্ণের মেরুজ্যোতি বেশি দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় হলুদ ও গোলাপি, এমনকি আলট্রাভায়োলেট কিংবা ইনফ্রারেড আরোরার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নীল কিংবা বেগুনি বর্ণের আরোরা সৃষ্টির জন্য বাতাসের নাইট্রোজেন দায়ী আর সবুজ রঙের আরোরা সৃষ্টির জন্য বাতাসের অক্সিজেন দায়ী। তবে যখন সৌরঝড়ের প্রাবল্য বেশি থাকে, তখন অপেক্ষাকৃত অধিক উচ্চতায় সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন চার্জিত কণার সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট আরোরা লাল বর্ণের হয়ে থাকে। পৃথিবীর উত্তরের ৬৬ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং দক্ষিণের ৬৬ ডিগ্রি অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলগুলো আরোরা দেখার জন্য সবচেয়ে আদর্শ স্থান। এ জন্য আরোরার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা আর্কটিক সার্কেলে অবস্থিত নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা কিংবা কানাডা ও রাশিয়ার উত্তরাংশে ছুটে যান। আর্কটিক সার্কেলে সৃষ্ট আরোরাকে ‘আরোরা বুরেলিস’ নামে ডাকা হয়। অনেকে আরোরা বুরেলিসের পরিবর্তে ‘নর্দার্ন লাইটস’ শব্দটি ব্যবহার করেন। অন্যদিকে দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণাংশে সৃষ্ট আরোরাকে ‘আরোরা অস্ট্রালিস’ নামে ডাকা হয়।

সৌর–উদ্‌গিরণ ও সৌরকলঙ্কের বৃদ্ধি এবং সৌরবায়ুর গতিবৃদ্ধি ঘটলে মেরুজ্যোতির বিচরণক্ষেত্রও ব্যাপকতর হয়। এমনটি হলে অনেক সময় উত্তর গোলার্ধের ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, এমনকি লিথুনিয়া থেকেও মেরুজ্যোতি দেখা যায়। উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মেরুজ্যোতি দেখা যায়। আর দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মেরুজ্যোতি দেখা যায়।

শহর থেকে অনেকটা দূরে যেখানে কৃত্রিম আলোর কোনো উৎস সেভাবে চোখে ধরা দেয় না, এ রকম নির্জন স্থানই আরোরা দেখার উপযুক্ত স্থান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আর্কটিক অ্যাডভেঞ্চার থেকে একটি ছোট মাইক্রোবাস এল আমি যে হোস্টেলে উঠেছিলাম তার সামনে। আমি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়েই সে মাইক্রোবাসে উঠে পড়লাম। মনের মধ্যে একধরনের বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল। অনেক দিন ধরে আরোরা বা মেরুজ্যোতি দেখার এক সুপ্ত বাসনা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলাম। এবার আমাদের ট্যুর গাইড ছিলেন নিক। নিক ছিলেন স্কটল্যান্ডের অধিবাসী। তবে বর্তমানে তিনি আইসল্যান্ডে বসবাস করেন।

নিক আমাদের সবার ছবি তুললেন

আমার সঙ্গে অন্যান্য অনেক দেশেরও পর্যটক ছিলেন, যাঁরা সবাই মেরুজ্যোতি দেখার জন্য আইসল্যান্ডে এসেছিলেন। নিক আমাদের আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিক থেকে অনেক দূরে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন আরোরা দেখার জন্য। পথে তিনি বারবার তাঁর মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং মাইক্রোবাস থামিয়ে দেখছিলেন সেখান থেকে আরোরা দেখা যায় কি না। আমরা ক্যামেরায় সচরাচর যে ধরনের লেন্স ব্যবহার করি, সে ধরনের লেন্সে আরোরাকে সেভাবে শনাক্ত করা যায় না। আরোরার সঙ্গে ছবি তুলতে তাই বিশেষ মডেলের লেন্স প্রয়োজন।

প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর আমরা আরোরার দেখা পাই, তবে আকাশে মেঘের উপস্থিতির কারণে আরোরার কাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য আমাদের কারও চোখে সেভাবে দেখা দেয়নি। তাই এ কারণে আক্ষেপ রয়ে গেছে আমাদের সবার মধ্যে। অন্যদিকে বাতাসের তীব্র গতিবেগ আর শীতল আবহাওয়ার জন্য রীতিমতো জমে যাওয়ার অবস্থা আমাদের সবার।

নিক আমাদের সবার ছবি তুললেন। আরোরা নিয়ে নর্ডিক দেশগুলোর মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপকথা প্রচলিত আছে। আইসল্যান্ডের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মেরুজ্যোতির আবির্ভাবকালে কোনো নারী গর্ভবতী হলে নির্ঘাত তিনি স্বাস্থ্যবান এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন। আবার নর্জ পুরাণে এমনও দেখা যায়, দেবেশ্বর ওডিনের কিছু সহায়তাকারী নারী যোদ্ধা ছিলেন, যাঁদের বলা হয় ‘ভালকারি’। এই ভালকারিদের ওপর দায়িত্ব ছিল যুদ্ধ শেষে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেই সব মৃত যোদ্ধাকে শনাক্ত করা, যাঁদের গন্তব্য হবে ‘ভালহাল্লা’। এক চোখবিশিষ্ট দেবরাজ ওডিনের বাসস্থান হলো ভালহাল্লা, যাকে অনেকে স্বর্গ হিসেবে অভিহিত করেন। ভালকারিরা যখন তাঁদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনে যুদ্ধক্ষেত্রে আসতেন, তখন তাঁদের ঢাল থেকে একধরনের আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হতো। প্রতিফলিত সে আলোকরশ্মিই হচ্ছে আরোরা।

ভাইকিংস দেবী ফ্রেইয়া, শিল্পী জন বাউর (১৮৮২–১৯১৮)

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পুরাণ অনুযায়ী, আরোরার জ্যোতি মূলত ভাইকিংস দেবী ফ্রেইয়া কর্তৃক উদ্গীরিত বিভা। ফিনিশ পুরাণে একধরনের পৌরাণিক অগ্নিশৃগালের উল্লেখ রয়েছে, যার বিচরণ ছিল উত্তর ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে। এ অগ্নিশৃগাল যখন তার লেজের পুচ্ছ দ্বারা আকাশের জলীয় বুদ্‌বুদ ঝেড়ে নিত, তখন সে বুদ্‌বুদের ওপর প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি হতো মেরুজ্যোতি। অনেকে আবার বিশ্বাস করতেন, মেরুজ্যোতির মাধ্যমে মৃত আত্মারা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এসব ধ্যান-ধারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।

কাঙ্ক্ষিতভাবে আরোরা দেখতে না পারায় মনের মধ্যে একধরনের আক্ষেপ কাজ করছিল। আমাদের ট্যুর এজেন্সি থেকে অবশ্য একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে আমরা চাইলে পরের দিন রাতেরবেলা কোনো ধরনের খরচ ছাড়া এ ট্যুরে আবার অংশ নিতে পারব। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা এবং একই সঙ্গে ব্যক্তিগত কিছু কারণে পরের দিন আর সে সুযোগ কাজে লাগানো হয়ে ওঠেনি, তাই আক্ষেপ রয়েই গেল মনের মধ্যে।

পরদিন রেইকইয়াভিক পরিভ্রমণে বেরিয়ে পড়লাম। শীতের দিন। বছরের এ সময় আইসল্যান্ডে খুব বেশি একটা সূর্যের আলোর দেখা পাওয়া যায় না। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বড়জোড় দেড়-দুই ঘণ্টা বা তিন ঘণ্টা সূর্যের আলোর দেখা মিলে। স্বাভাবিকভাবে রেইকইয়াভিকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য খুব বেশি একটা সময় পেলাম না।

অবকাঠামোগত দিক থেকে রেইকইয়াভিককে পৃথিবীর সেরা পাঁচটি শহরের অন্যতম। আইসল্যান্ডের বাড়িঘর ও রাস্তা

সকালের নাশতা হোস্টেল থেকেই সেরে ফেললাম। সকালের নাশতা বাবদ হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ১২ ইউরো দিতে হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে এ শহরের সৃষ্টি। এ জন্য শহরটির নাম রাখা হয়েছে রেইকইয়াভিক। আইসল্যান্ডিক ভাষায় ব্যবহৃত ‘রেইকইয়াভিক’ শব্দের অর্থ ‘বে অব স্মোক’ বা ধোঁয়াটে উপসাগর। ৬৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত রেইকইয়াভিককে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্বাধীন কোনো দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অবকাঠামোগত দিক থেকে রেইকইয়াভিককে আমার কাছে পৃথিবীর সেরা পাঁচটি শহরের একটি মনে হয়েছে। বিশেষ করে এ শহরের রাস্তাঘাটের গঠনশৈলীর সত্যি তারিফ না করে পারা যায় না। শহরের বিন্যাস এবং ইউরোপের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় পর্যটকেরা এ শহরে বেড়াতে আসতে ভালোবাসেন। একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ গাছপালায় আচ্ছাদিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে রেইকইয়াভিককে গণ্য করা হয়।

পৃথিবীর অন্যান্য বিখ্যাত শহরের তুলনায় রেইকইয়াভিক তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত। তবে দুঃখের বিষয়, এ শহরের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিথিল জলবায়ু এবং আগ্নেয়গিরির মাটিসম্পন্ন আইসল্যান্ডে বনজঙ্গলের পরিমাণ কমে গেছে। আর এ কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে বন্য জীবজন্তুর সংখ্যাও কম। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট, তুরস্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ইস্তাম্বুল এবং অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার মতো রেইকইয়াভিক আমার দেখা সেরা শহর।

পেরলান হাউসের সামনে লেখক

প্রথমে গেলাম পেরলান হাউসে। আগেই বলেছি, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক—এসব দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। আমি নিজে একজন ছাত্র, তাই খরচ সঞ্চয় করতে হেঁটে পুরো রেইকইয়াভিক ভ্রমণের পরিকল্পনা নিই। আমি যে হোস্টেলে উঠেছিলাম, সেখান থেকে পেরলান হাউসের দূরত্ব ছিল দেড় কিলোমিটারের মতো। একটা কথা বলে নিই এখানে, হোটেল আর হোস্টেলের মধ্যে কী কিছু পার্থক্য আছে। মূল পার্থক্য হচ্ছে হোস্টেলে বাঙ্ক বেড থাকে, অর্থাৎ, আমরা যাকে দোতলা বিছানা বলে চিনি। হোস্টেলে একই রুমে কয়েকজন থাকা যায়, কিন্তু হোটেলের ক্ষেত্রে তেমনটি দেখা যায় না। যাঁরা আমার মতো তুলনামূলক কম খরচে ঘোরাঘুরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাঁরা মূলত থাকার জন্য হোটেলের তুলনায় হোস্টেলকে বেশি পছন্দ করেন।

পারলান হাউসের ভেতরে কৃত্রিমভাবে তৈরি বরফের টানেল

পারলান হাউসটি মূলত একটি মিউজিয়াম। আমাদের চোখে মিউজিয়ামের গতানুগতিক সংজ্ঞা যেমন, পারলান তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। পারলানকে প্ল্যানেটারিয়াম বললে ভুল হবে না, কৃত্রিম ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের মাধ্যমে আইসল্যান্ডের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। ভেতরে কৃত্রিমভাবে তৈরি একটি বরফের টানেল রয়েছে। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি চাইলে এখানে বরফের গুহা কিংবা গেসিয়ারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

মিউজিয়ামের পাশাপাশি ভেতরে রয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট ও ককটেল বার। পারলানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে ৩ হাজার ৯০০ আইসল্যান্ডিক ক্রোনার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের মুদ্রায় হিসাব করলে ২ হাজার ৭০০ টাকার মতো। গত শতাব্দীর শুরুতে গরম পানি সংরক্ষণের জন্য পারলান হাউসটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পারলানের উপরিভাগে কাচের তৈরি নীল রঙের একটি গম্বুজ রয়েছে। দিনের আলোতে গম্বুজটি চকচক করে, দূর থেকে তখন এ গম্বুজের দিকে তাকালে মনে হতে পারে মাটির বুকে বুঝি আসমান থেকে তারা নেমে এল। অনেকে আবার মূল্যবান চুনি কিংবা নীলা পাথরের খনি ভেবেও ভুল করতে পারেন। পারলান হাউস থেকে পুরো রেইকইয়াভিক দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক সময় মানুষের সৃষ্ট স্থাপত্যশৈলীও সত্যি অসাধারণ হয়, পারলান হাউস তার একটি বড় প্রমাণ।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, স্লোভেনিয়া।