বারো মাসে তেরো পরীক্ষা কেন

‘সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

রাকিব হাসনাত, হাটহাজারী সরকারি কলেজ
ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার নামে আমরা শিক্ষার্থীদের যে পরিমাণ চাপে রাখি, তা সত্যি অমানবিক। বারো মাসে ‘তেরো’ রকমের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়। এসব পরীক্ষার চাপে আনন্দ নিয়ে শেখা আর হয়ে ওঠে না। কে কার আগে যাবে, কার চেয়ে কে ভালো ফল করবে—এসবই হয়ে ওঠে মুখ্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়; যে কয়েকজন শিক্ষার্থী ভালো ফল করে, শিক্ষকেরা শুধু তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, বাকিদের প্রতি মনোযোগ দেন না। অন্যদিকে এত এত পরীক্ষা আছে বলেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিংগুলো শুরু করে রমরমা ব্যবসা।

সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়ে বিকল্প মূল্যায়নব্যবস্থা নিয়ে আসা উচিত, যার ফলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের মুখাপেক্ষী না হয়ে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবে আরও বাস্তবধর্মী জ্ঞানের ধারক। তারা হবে আরও সৃজনশীল। বর্তমানে যে ‘সৃজনশীল পদ্ধতি’তে পরীক্ষা হচ্ছে, তার মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের মুখস্থ করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মুখস্থবিদ্যা বাদ দিয়ে সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে আরও উদ্ভাবনী মূল্যায়নপদ্ধতি খুব জরুরি। তাই সুযোগ থাকলে আমি পড়াশোনায় পরীক্ষার নিয়মটা বদলে দিতাম।

পাঠক, সুযোগ পেলে আপনি লেখাপড়ার কোন নিয়মটা বদলে দিতেন? লিখে পাঠাতে পারেন এই ইমেইলে: swapno@prothomalo.com। নির্বাচিত লেখাগুলো প্রকাশিত হবে প্রথম আলোয়।