আমরা সচরাচর অন্যের রেড ফ্ল্যাগ খুঁজতেই ব্যস্ত। সঙ্গীর মধ্যে, বন্ধু বা সহকর্মী অথবা আত্মীয়স্বজনের ভেতরকার রেড ফ্ল্যাগ আমাদের আলোচনার অংশ হয়ে ওঠে। তবে কখনো কি নিজের রেড ফ্ল্যাগগুলো খুঁজে দেখেছেন? সেসব শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন? মিলিয়ে দেখুন তো, এই রেড ফ্ল্যাগগুলো আপনার ভেতরে আছে কি না।
নিজের ছোটখাটো বিষয়েও অন্যের ‘সার্টিফিকেট’ বা সোজা বাংলায় মতামত কিংবা সমর্থন আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার নিজের প্রতি আস্থা নেই। এ কারণেই আপনি অন্যের সমর্থন খোঁজেন। অবশ্যই জীবনে অন্যের মতামত বা সমর্থনের প্রয়োজন আছে। তবে তারও একটা মাত্রা থাকা চাই।
একা খানিকটা সময় নানা কিছু নিয়ে চিন্তা করা, লেখা, বই পড়া বা কেবল সময়টা উপভোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, এর মানে হলো, আপনি নিজেই নিজের সঙ্গ উপভোগ করেন না।
আপনি নীরবে লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার আশপাশের সবার সঙ্গে নিজের তুলনা করতে থাকেন। আর ভাবেন, আপনিই পিছিয়ে আছেন!
আপনি মানুষকে খুশি করতে তাৎক্ষণিকভাবে নিজের সাধ্যের বাইরে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে আর তা রক্ষা করতে পারেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের দুবর্লতা প্রকাশ পায়।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আপনার কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু আপনি অন্যের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে বা সত্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। কেননা আবেগগত অনুভূতি প্রকাশ করা আপনার কাছে একটা দুর্বলতা। অথচ নিজের আবেগকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারা প্রকৃতপক্ষে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি শক্তিশালী দিক।
এর মানে আপনি একা। আপনি বাস্তবতা এড়িয়ে চলতে চান। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আপনজন আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আপনি নিজের ছোট ছোট জয় উদ্যাপন করেন না। কেননা আপনার সব সময়ই মনে হয়, আপনি যা-ই করেন না কেন, যথেষ্ট নয়।
স্ক্রলিং, পার্টি, অনেক মানুষের মধ্যে থাকা—এককথায় অহেতুক সময় নষ্ট করা আপনার প্রিয় অবসর!
কারও সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক কিছু বলে ফেলেন। ফলে আপনি অন্যকে আপনার নিজের ব্যক্তিগত সীমানা অতিক্রম করার ও মানসিক শান্তি নষ্ট করার নিমন্ত্রণপত্র পাঠান। এতে অন্যেরা আপনার জীবনে নাক গলানোর অধিকার পায়।
নিজের মনের কথা শুনুন। নিজের ‘গাট ফিলিং’কে গুরুত্ব দিন।
সূত্র: কি ফর সাকসেস মাইন্ড