আপনার চাকরিজীবনকে নরকে পরিণত করতে একজন ইনসিকিওর বসই যথেষ্ট
আপনার চাকরিজীবনকে নরকে পরিণত করতে একজন ইনসিকিওর বসই যথেষ্ট

ইনসিকিওর বসের এই ৭ বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিন

আপনার চাকরিজীবনকে নরকে পরিণত করতে একজন ইনসিকিওর বসই যথেষ্ট। এককথায় যিনি তাঁর চেয়ার বা পজিশন অথবা কাজের জন্য যথেষ্ট যোগ্য নন, তিনিই একজন ‘ইনসিকিওর’ বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা বস। চট করে জেনে নেওয়া যাক এ রকম বসের কিছু বৈশিষ্ট্য।

১. মাইক্রোম্যানেজমেন্ট
সবকিছুতেই নাক গলাতে পছন্দ করেন। সব বিষয়েই মতামত দেন আর সেটিকেই প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে জোর করেন। কর্মীর ভুল ধরিয়ে দেওয়া এবং প্রশ্ন তোলা তাঁর প্রিয় কাজ। ছুটি নামঞ্জুর করায় তিনি অত্যন্ত পারদর্শী।

২. অন্যের কৃতিত্ব নিজে নেন
ওপরমহলে কর্মীর কাজের কৃতিত্ব নিজের বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছাড়েন না।

৩. ‘ক্রিটিক্যাল ফিডব্যাক’ দিতে অপারগ
কর্মীর কোনো একটা প্রস্তাব বা নিজের কাজ, যেকোনো বিষয়েই অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে গভীরভাবে সব দিক বিশ্লেষণ করে নিজস্ব মতামত জানাতে তাঁরা ব্যর্থ।

কর্মীর ভুল ধরিয়ে দেওয়া এবং প্রশ্ন তোলা ইনসিকিওর বসদের প্রিয় কাজ।

৪. প্রিয়তোষণ
যেকোনো বিষয়ে নিজের দল ভারী করার জন্য এ ধরনের বস কিছু কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভালো সম্পর্ক রাখেন। এভাবে একটা অসম, অদৃশ্য প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেন।

৫. গুজবে কান
ইনসিকিওর বসদের অবসর কাটে অন্যের পেছনে বা অবর্তমানে তাঁর সমালোচনা করে। তাঁরা একেকজনের সম্পর্কে একেক কথা বলে গুজব ছড়ান। কর্মীদের ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করেন। নেতিবাচক কর্মপরিবেশ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখেন।

ইনসিকিওর বসরা নেতিবাচক কর্মপরিবেশ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখেন।

৬. কর্মীকেও ‘নিরাপত্তাহীনতা’য় ভোগান
যে বস নিজে অনিরাপদ বোধ করেন, তিনি অন্যদের ভেতরেও নিরাপত্তাহীনতার বোধ ছড়িয়ে দেন। অন্যকে যথেষ্ট পরিমাণ সমর্থন করতে পারেন না।

৭. মেজাজের ঠিক নেই
ইনসিকিওর বসের নিজের আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে খুব কমই। বেশির ভাগ সময় তাঁর মেজাজ থাকে খিটখিটে। তিনি এই হয়তো ভালো ব্যবহার করলেন, আবার কোনো একটা ছোট বিষয়ে রাগ করে বসলেন।