ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকীন আহমেদ। স্নাতক শেষ করেই পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি। পাশাপাশি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ব্যবসায় শিক্ষার এই পেশাদার ডিগ্রি কীভাবে তাঁকে সহায়তা করেছে? বর্তমান সময়ে যাঁরা ব্যবসা নিয়ে পড়ছেন বা ব্যবসা শুরু করতে চান, তাঁদের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এই প্রেসিডেন্টের পরামর্শই-বা কী? সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল্লাহ।
আপনি যখন ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়েছেন, তখনকার তুলনায় এখন ব্যবসার জগৎ অনেকটাই বদলে গেছে। এখন যাঁরা ব্যবসা নিয়ে পড়েন, তাঁদের কোন বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে শেখানো উচিত বলে মনে করেন?
তাসকীন আহমেদ: আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখনকার তুলনায় এখনকার জীবন অনেক বেশি গতিময়। এর পেছনে প্রযুক্তির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। আমার মনে হয়, এখনকার ছেলেমেয়েদের উচিত নতুনত্বকে দ্রুত গ্রহণ করার ক্ষমতা অর্জন করা, কৌশলগতভাবে চিন্তা করা এবং সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল টুল ব্যবহার করতে শেখা। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করা যায়, কীভাবে সমানুভূতি বা এমপ্যাথি চর্চা করা যায়, এসব বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। আজকের পৃথিবীতে মানুষে মানুষে যোগাযোগ ও সম্পৃক্ততা অনেক বেশি। তাই শুধু মেধাবী হলেই চলবে না, আবেগকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেই কৌশলও জানতে হবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখন বাস্তব ঘটনাগুলো থেকে শেখার সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। আমরা যখন এমবিএ করেছি, তখন ফিলিপ কটলারের বই পড়ানো হতো। আমাদের শেখানো হতো মার্কিন বা ইউরোপীয় কোনো আইসক্রিম কোম্পানি কীভাবে সফল বা ব্যর্থ হলো, তার বিশ্লেষণ। কিন্তু এখন তো বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প তৈরি হয়েছে। প্রাণ থেকে শুরু করে স্কয়ার—অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ে আপনি এখন স্টাডি করতে পারেন। আপনি হয়তো দেখেছেন, গত অক্টোবরে আমাদের গ্রুপ থেকে আমরা রয়েল এনফিল্ড বাইকটি বাজারে এনেছি। পরের সপ্তাহেই শুনলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে এটি নিয়ে একটি কেস স্টাডি হয়েছে। এ কারণেই বলছি এখন বাস্তব ব্যবসা থেকে শেখার সুযোগ অনেক বেশি।
আপনার বাবার শিক্ষা কীভাবে আপনাকে সহায়তা করেছে?
তাসকীন আহমেদ: বাবা সব সময় সহকর্মীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছেন। শিখিয়েছেন—কর্মক্ষেত্রে কেউ কারও অধস্তন নয়, সবাই একে অন্যের সহকর্মী। আরেকটি বিষয় বাবা সব সময় মেনে চলেছেন। কখনো কোনো কিছুতে ‘না’ বলেননি। ২০০০ সালের দিকে আমি নানা রকম ব্যবসার চেষ্টা করেছিলাম। মাছ চাষ, গরুর খামার। কোরবানির ঈদের এক মাস আগে খামারে এসে গরু পছন্দ করে গেলে চাঁদরাতে সেই গরু বাড়ি পৌঁছে যাবে—এমন অভিনব সার্ভিসও চালু করেছিলাম। এই করতে গিয়ে টানা তিন বছর পরিবারের সঙ্গে কোরবানির ঈদ করতে পারিনি। এক রাতেই ৫০০ গরু ডেলিভারি দেওয়া মুখের কথা নয়। শেষ পর্যন্ত ব্যবসাটা লাভজনক হয়নি। মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাবা একেবারেই চাননি আমি এই ব্যবসায় নামি, কিন্তু কখনো বাধা দেননি। এমনকি ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার পরও তিনি একবারের জন্যও বলেননি, ‘তুই আমার টাকা নষ্ট করলি।’ কারণ, একজন বাবা সব সময় তাঁর সন্তানের পেছনে বিনিয়োগ করেন। আমার ব্যর্থতাই ছিল তাঁর বিনিয়োগ।
নর্থ সাউথে যখন এমবিএ শুরু করলেন, তার আগেই কি পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলেন? এমবিএ ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা আপনি কেন অনুভব করলেন?
তাসকীন আহমেদ: আমি ২০০১ ব্যাচের এমবিএর ছাত্র ছিলাম। ইফাদে কাজ করছিলাম তখন, এর মধ্যেই বিয়েটাও হয়ে গেছে। সত্যি বলতে সপ্তাহে দুই দিন করে তিন ঘণ্টা ক্লাস করা বেশ কষ্টকর ছিল। তবু করেছি নিছক ডিগ্রির জন্য নয়। নিজের আগ্রহ থেকে। আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন ছিল না যে ডিগ্রি পেলেই বাবা বেতন বাড়িয়ে দেবেন। আমি অনুভব করতাম, নেতৃত্ব দিতে হলে নিজেকে আরও প্রস্তুত করতে হবে। শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জনের জন্য এমবিএতে ভর্তি হইনি। আমি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিলাম, যা আমাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, আমার দৃষ্টিকে আরও প্রসারিত করবে। বিভিন্ন টিম বা ডিপার্টমেন্ট কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে, সেটি আরও গভীরভাবে বুঝতে চেয়েছিলাম। ব্যবসার চ্যালেঞ্জগুলো কী, কীভাবে বিভিন্ন খাতকে উদ্ভাবনমুখী করা যায়, এসব বিষয়ে এমবিএ আমাকে একটা স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে।
অনেকে ভাবে, বাবার ব্যবসা থাকলে জীবনটা বুঝি খুব সহজ। আসলে তা নয়। আমার সব সময় একটা ভয় কাজ করত—আমি তো ‘শূন্য’ থেকে শুরু করার অভিজ্ঞতা কখনো পাইনি। যে মানুষ নিজে শূন্য থেকে শুরু করে কিছু গড়ে তুলেছে, তার তো পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। সে জানে, আমি একবার পেরেছি, দরকার হলে আবারও পারব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একটি ব্যবসা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের হাতে গেলে সেটা ক্ষতির মুখে পড়ে। কারণ, অনেকেই কাজটাকে খুব সহজ ভাবে। এই ভয়টা আমার ভেতরে সব সময়ই ছিল।
এমবিএ করার সময় আপনি কোন কোন শিক্ষককে পেয়েছিলেন? কোনো বিশেষ শিক্ষকের কথা কি আলাদা করে মনে পড়ে?
তাসকীন আহমেদ: এমবিএ একটি পেশাগত ডিগ্রি, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ধরনটাও কিছুটা ভিন্ন। আমার সৌভাগ্য, আমি নর্থ সাউথের অসাধারণ কিছু শিক্ষকের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছি। তবে একজনের কথা আলাদাভাবে বলতে হলে নিঃসন্দেহে অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর (বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য) নাম নেব। তিনি আমাদের অপারেশন ম্যানেজমেন্ট পড়াতেন। জটিল বিষয়গুলো এত সহজভাবে, বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বোঝাতেন যে আজও মনে গেঁথে আছে। তাঁকে শুধুই শিক্ষক বললে কম বলা হবে—পুরো পেশাগত জীবনে তিনি আমার পরামর্শক, আমার মেন্টর হিসেবে পাশে ছিলেন। আজ যাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা হয়তো এখনই এই অনুভূতির গভীরতা বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি ২০ বছর পর ফিরে তাকান এবং দেখেন, আপনার শিক্ষক এখনো আপনার নাম মনে রেখেছেন, তখন আপনি উপলব্ধি করবেন এটা কত বড় এক অর্জন।
আমি একটি ব্যাপার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। একজন শিক্ষক সারা জীবনের শিক্ষক। ক্লাস ফাইভ-সিক্সে যিনি আমাকে বাসায় এসে পড়াতেন, তিনি এখন পিরোজপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর সঙ্গে আজও আমার যোগাযোগ আছে। ও-লেভেলে যিনি আমার শিক্ষক ছিলেন, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। শিক্ষকের সঙ্গে এই আজীবনের সম্পর্কটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
নর্থ সাউথে পড়া মানে তো শুধু ডিগ্রি অর্জন করা নয়, বরং একটা বিশাল নেটওয়ার্কের অংশ হওয়া। এই নেটওয়ার্ক কি আপনাকে পেশাগত জীবনে সাহায্য করেছে?
তাসকীন আহমেদ: নিশ্চয়ই। নর্থ সাউথের অ্যালামনাইদের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নর্থ সাউথের গ্র্যাজুয়েটদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। কোনো কোনো অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগও হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। হয়তো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের মিল থাকার কারণেই দ্রুত বোঝাপড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, নর্থ সাউথ শুধু একটি ডিগ্রি প্রদান করে না। এমন এক কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত করে, যা সারা জীবন কাজে আসে।
এখন যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাদের সঙ্গে কি আপনার কথা বলার সুযোগ হয়? বর্তমান প্রজন্মের তরুণেরা—যাঁদের আমরা জেন-জি বলি—তাঁদের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি আপনার চোখে আলাদাভাবে ধরা পড়ে?
তাসকীন আহমেদ: হ্যাঁ, এখনকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়। মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে, সেমিনারে, কিংবা অনানুষ্ঠানিক দেখা-সাক্ষাতে। ওরা সত্যিই আলাদা, ওদের সাহসের জন্যই আলাদা। কোনো দ্বিধা ছাড়াই যেকোনো প্রশ্ন করে ফেলে। ‘সব সময় এভাবেই হয়ে এসেছে’—এই ধারা ওদের মেনে নিতে আপত্তি। ওরা প্রযুক্তিকে আত্মস্থ করেছে, বৈশ্বিক বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন। তবে আমাকে যেটা সবচেয়ে আকৃষ্ট করে, তা হলো ওরা চায় ওদের কাজের মাধ্যমে কিছু একটা পরিবর্তন আসুক। এ কারণেই ওদের নিয়ে আমি গভীর আশাবাদ পোষণ করি।
তরুণদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে? যাঁরা ব্যবসায় আগ্রহী, বিশেষ করে তাঁদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
তাসকীন আহমেদ: আমার পরামর্শ খুব সরল—শেখো, ভুলে যাও, আবার শেখো। কারণ, পৃথিবী এত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে যে শুধু আগের জ্ঞান নিয়ে আর টিকে থাকা যাবে না। সব সময় কৌতূহলী থেকো। যেটা তোমার ভালো লাগে, সেটাকেই নিজের কাজ হিসেবে বেছে নাও। এমন মানুষদের সান্নিধ্যে থেকো, যারা তোমাকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
উদ্যোক্তাদের বলব, শুরুটা ছোট হলেও ভাবনাটা যেন বিশাল হয়। খুঁজে বের করো এমন একটি সমস্যার সমাধান, যা বাস্তব এবং গুরুত্বপূর্ণ। কেবল অর্থ উপার্জনই নয়, তোমার কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলাটাও জরুরি। আর সবচেয়ে বড় কথা অবিচল থেকো। বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা বিশাল। তবে সে সম্ভাবনা বাস্তবায়নে দরকার হবে ধৈর্য, মানসিক দৃঢ়তা এবং আপসহীন সততা। আমরা প্রায়ই বলি, জনসংখ্যা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু একই সঙ্গে এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সুযোগও বটে। এত কম জায়গায় এত বিশাল একটি বাজার পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া কঠিন।
একাডেমি ও ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে সম্প্রতি অনেক আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) থেকে কি এ বিষয়ে আপনাদের কোনো উদ্যোগ রয়েছে?
তাসকীন আহমেদ: আমি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরের সপ্তাহেই হান্নান স্যারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। আমার আন্তরিক ইচ্ছা, নর্থ সাউথ আর আমরা যৌথভাবে কিছু ফলপ্রসূ কর্মসূচি আয়োজন করব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও এ ধরনের উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। কারণ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে কাজ করলে উভয় পক্ষই উপকৃত হবে।
বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমির মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে সবার আগে গুরুত্বসহকারে কাজ শুরু করে ঢাকা চেম্বার। এই লক্ষ্যে নীতি পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সরকার এবং দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এআইইউবি, ড্যাফোডিল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োজনভিত্তিক কোর্স চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও সময়োপযোগী কোর্স চালুর জন্যও কাজ চলছে, যাতে এসব কোর্স শিল্প খাতে বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগযোগ্য হয় এবং শিক্ষার্থীদের শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যাতে তারা শিল্প খাতের বাস্তব চাহিদা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে এবং তাদের পাঠ্যক্রমকে সেই অনুযায়ী শিল্পসহায়ক করে তুলতে পারে। একই সঙ্গে সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই বিষয় তুলে ধরছি, যাতে অচিরেই সরকার পঠনপদ্ধতিতে চাহিদাভিত্তিক পরিবর্তন আনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হচ্ছেন, তাঁরা যেন সরাসরি শিল্প খাতে প্রবেশের উপযুক্ত হন। এর মাধ্যমে শুধু শিল্প নয়, বরং সেসব তরুণ-তরুণীর ব্যক্তিগত জীবনও সমৃদ্ধ হবে।