এলোকেশে বহে বহ্নি বায়ু
কন্ঠে বীণার সুর,
অধরেতে খেলে শব্দ কল্লোল
শুনিতে কী সুমধুর!
দেখিনি আজও তাহাকে আমি, শুনি নাই তাহার বাণী,
শুনেছি কেবলই পায়ে তাহার নূপুরের মধুর ধ্বনি।
দেখেছি তাহার হেঁটে চলা ওই দূরের ও গহীন বনে,
পদধূলিতে ধূলিকণা যেন নাচিছে আপন মনে।
অঙ্গ তাহার অরুণকিরণ,
হরণ করিয়াছে মন,
দূর দেখা কোনো তন্বী আজি কতটা আপনজন।
গোধূলিতে আজি ক্লান্ত পথিক কেনো গেল রে থামি?
কাহার রূপে এ মন চুরি, কোন সে লক্ষ্মী নারী!
ঠোঁটে তাহার ছিল হেথা রংধনু বাঁকা হাসি,
পুলকিত আমি, হৃদয়ে বুঝি পরিল আজি ফাঁসি।
তুমি সুস্মিতা নাকি শুচিস্মিতা?
হৃদয়েতে যাহার বাস, তুমি মায়াবতী, মায়ারই আবাস।
মন মন্দিরে বসিয়াছে যাহার অপরূপ এক ছবি,
কোথা পাই আজি তাহাকে আমি, যাহাকে করিয়াছি দেবী।
কী নামে আমি ডাকিব তাহারে কত নাম গিয়াছি ভুলি,
হৃদয়ে বাজিল শঙ্খধ্বনি—
সে তো ভালোবাসারই নাম 'কৃষ্ণকলি'।