জলের সরোদ

হিজল জোবায়ের

কেবলই বসন্ত ছিল আমাদের ঋতু,

বধির-কুয়াশা তবু দূর মফস্‌সলে,

যাত্রীহীন রেলগাড়ি শিস দিতে দিতে

ঢুকে গেল রাত্রির অন্ধ টানেলে

জন্মান্তরের এই বন্ধ জানালায়

আকুল শার্সি ভেজে, ভিজে ওঠে মুখ,

তোমার সেই ফেলে যাওয়া চায়ের পেয়ালা

তার ঠোঁটে লেগে আছে আমার চুমুক

মানুষ কেবলই কেন স্মৃতির বিষাদ?

ঝরা পাতায় ভরে ওঠে হাওয়ার আঁচল;

মানুষ মেঘের বেশে ওড়ে যদিওবা

আসলে সে দিনশেষে কান্নার জল।

কেবলই ঝরতে থাকে, ভাঙে অবরোধ

আসলে সে অন্তহীন জলের সরোদ।