রূপবতী ফটো জার্নালিস্ট, পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে
দাঁড়িয়ে স্যুট পরা পেঙ্গুইনদের ছবি তুলছে।
পাখিরা জানে না, মানুষ দেখতে কেমন। তবু
কৌতূহলে এগিয়ে আসে—বরফে রাখে পদচিহ্ন।
তোমার স্বপ্নের মধ্যে বরফধস; ভেসে গেছে
আমাদের কাচের বাড়ি ও প্রিয় মার্সিডিজ।
কফিনে মোড়ানো অ্যান্টার্কটিকা জেগে ওঠে;
তুমি পেঙ্গুইনদের বলো—বিপর্যয়কর গলন।
তোমার ত্বকে ভুলবশত হাত রেখেছিলাম, তাই
ঝরছে পালকের বৃষ্টি—যেন শীতকাল শেষে
জীবাশ্ম-বন হতে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন দৈত্য;
পথে পথে ছুড়ে দিচ্ছে চকলেট ও চুইংগাম।
তুমি জিজ্ঞেস করছ—লোভনীয় শৈশব নিয়ে
পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলাম। তার পর থেকে
নিজেদের মনে হতে থাকে খেলনা-পুতুল।
পথে–প্রান্তরে ফুটে উঠেছে তোমার নামের ফুল।
ভুলে যেতে চাইলে দেখি—তোমার নামফলক।
পূর্ব হতে পশ্চিমে যেখানে যাই, সব পথই
তোমার দিকেই পৌঁছে দেয়।
তোমার কথা একবার সমুদ্রকে বলেছিলাম।
শৌখিন শিকারির ফাঁদে কেটে গেছে
আমার নখাগ্র। খাদ্যশৃঙ্খলের বাহানায়
সে ময়ূর—আমি সর্প সেজে যাই।
এভাবে ময়ূরনাচের প্রতি
জন্মেছিল আমার অবিশ্বাস।
তুমি আমাকে পৌঁছে দিয়েছিলে
ওয়াইমিয়াকন শহরে—এখানে শিখছি বরফবিদ্যা।
তুমি শেখাচ্ছ রন্ধনবিদ্যা,
মাছধরা ও হরিণ পালন।
হাওয়ায় জমে যায় নিশ্বাস,
অশ্রুও পাথরখণ্ড।
তোমাকে কীভাবে আঘাত করি?
প্রেমনিবেদনে ছুটে আসা
হাজার দূত—বরফে স্থির দাঁড়িয়ে আছে।