
পশ্চিমা ভাবাদর্শে বামপন্থী ও ডানপন্থী যে মেরুকরণ, বাঙালি মুসলমান সমাজে তার উন্মেষ ১৯২০-এর দশকে। তারই উত্তরাধিকার নানা রঙে ও প্রতাপে পরে প্রবাহিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ও ফযলুল হক সেলবর্সীর সূত্র ধরে এই লেখা সেই ভাবাদর্শিক মেরুকরণের অনুসন্ধান। লেখাটি প্রকাশিত হবে কয়েকটি পর্বে, ধারাবাহিকভাবে। গত সংখ্যায় (২১ নভেম্বর ২০২৫) ছাপা হয়েছে দ্বিতীয় কিস্তি।
কিস্তি: ১
কিস্তি: ২
কিস্তি: ৩
মোল্লা বনাম তরুণের এই লড়াইয়ে লেবাস একটা বড় ব্যাপার হয়ে উঠল। আধুনিকতার যে মেছাল কামাল পাশার হাত ধরে মুসলমান দুনিয়ায় এল, তার নিজস্ব অনুভব, রুচি ও রস, চলনবলন, ধাঁচ ও ঝোঁক, অত্যন্ত শরীরী আমলে ব্যক্তির বান্দাগঠনের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হবেই হবে। এরই এক নমুনা হয়ে দাঁড়াল দাড়ি কামানো প্রশ্ন। দাড়ি কামানোর চল ওসমানি সাম্রাজ্যে উনিশ শতকেই শুরু হয় তাঞ্জিমাত নামের সংস্কার তৎপরতার অধীনে। তুর্কিরা দাড়ি কামাতে কামাল আতাতুর্কের সংস্কারের অপেক্ষা করেনি। যে আনোয়ার পাশার অনুরাগী ছিলেন সেলবর্সী, তাঁরও গাল ছিল মসৃণ কামানো।
নজরুল ‘কামাল’ প্রবন্ধে আগেই লিখেছিলেন, ‘দাড়ি ইসলামের বিশেষ নয়, বরং ইসলামের বিশেষ তলোয়ার।’ রবীন্দ্রনাথের এক টিপ্পনীর বরাত দিয়ে ১৯২৫ সালে নজরুল ‘আমার কৈফিয়ত’ কবিতায় লিখলেন, ‘গুরু ক’ন, তুই করেছিস শুরু তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁছা!’ তারপর যোগ করছেন, ‘যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি, নাড়ি কাছা!’ নজরুল যখন বলেছিলেন ইসলামের বিশেষ তলোয়ার, সে কথায় তলোয়ার ছিল রাজনীতির প্রতীক। অর্থাৎ উপনিবেশবিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতীক। যে জাতীয় গণতান্ত্রিক ঘটনা একটা আধুনিক রাজনৈতিক পরিসর গঠন করবে, সেখানে দাড়ি দিয়ে নিজের পরিচয়কে আলাদা করা অনাবশ্যক বলেই নজরুলের বিবেচনা। মোদ্দাকথা, অসহযোগ-খেলাফতের পরে যখন হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে, তখন নজরুলের গরজ ছিল চিহ্নতান্ত্রিক মেরুকরণকে নাকচ করা। তাই তিনি ১৯২৫ সালে লিখেছেন:
‘মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘মোল্-লা’রা ক’ন হাত নেড়ে’,
‘দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে!
ফতোয়া দিলাম—কাফের কাজী ও,
যদিও শহীদ হইতে রাজী ও!
‘আমপারা’-পড়া হাম-বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে!
হিন্দুরা ভাবে, ‘পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা’ত-নেড়ে!’
এবার মোল্লাবিরোধীরা সদলবলে দাড়ি কামানোয় উদ্যোগী হলেন। ব্যাপারটা কেবল ব্যক্তির আমলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না, এটার আকিদাগত বিস্তরণও লাগবে—এই বিবেচনায় আবুল মনসুর আহমদ মাওলানা আযাদের বরাতে মাওলানা মলিহাবাদীকে সভাপতি করে এক সভা করলেন। মলিহাবাদী ছিলেন কিনা ‘সুরতি-সিরতি পাক্কা মুসলমান’। ফলে মনসুর বুঝলেন ‘মোল্লাবিরোধী জেহাদ’ তাঁকে দিয়েই ভালো চলবে। ‘মলিহাবাদী ফুটফুটে গৌরবর্ণ খুব–সুরত সুপুরুষ। মুখ ও বুকভরা লম্বা চাপদাড়ি। চোখ-মুখ হইতে প্রতিভা ও জ্ঞানের নূর ফাটিয়া পড়িতেছে।’
মোল্লা বনাম তরুণের এই লড়াইয়ে লেবাস একটা বড় ব্যাপার হয়ে উঠল। এরই এক নমুনা হয়ে দাঁড়াল দাড়ি কামানো প্রশ্ন। মলিহাবাদী তাঁর অভিভাষণে হাদিসের বরাত দিয়ে বলেন যে একালে দাড়িমোচ রাখা নয়; বরং মোড়ানটাই সুন্নতে মোয়াক্কাদা। দাড়ি চেঁছে ফেলার এই হুজুক দেখে সেলবর্সীর আল মুসলিম পত্রিকা ফুঁসে উঠল।
ওই সভায় মলিহাবাদী তাঁর অভিভাষণে হাদিসের বরাত দিয়ে বলেন যে একালে দাড়িমোচ রাখা নয়; বরং মোড়ানটাই সুন্নতে মোয়াক্কাদা। প্রাচীন আরবেরা যেমন রোমানদের মতো সভ্যতার অনুসরণে দাড়ি ও চোগা অবলম্বন করেছিল, তেমনি একালের সভ্যদের পোশাকে-পাতি অনুসরণ করলেই ইসলামের সৌন্দর্য বিশ্ব বুঝতে পারবে। [আহমদ, আত্মকথা] যে মাওলানা আযাদের বরাতে আফগানিস্তান গিয়েছিলেন সেলবর্সী বলে রটনা আছে, তাঁরই রেফারেন্সে দাড়ির বিরুদ্ধবাদ পেয়ে গেলেন তরুণেরা।
দাড়ি চেঁছে ফেলার এই হুজুক দেখে সেলবর্সীর আল মুসলিম পত্রিকা ফুঁসে উঠল। লিখল, ‘মোল্লা-দলনকারী দাড়ি-বিদ্বেষী যে আগাছাগুলি মুসলমান সমাজে গজাইয়া উঠিয়াছে, এই ধর্ম্ম-দ্বেষী অকাল-কুষ্মাণ্ড দলকে আমরা জিজ্ঞাসা করি, তাঁহারা ইসলামী “দায়েরা”র (বেষ্টনীর) মধ্যে থাকিয়া এইরূপ দানবীয় কার্য্যের অনুষ্ঠান করিতেছে, না দায়েরার বাহিরে থাকিয়া? ভেতরে থাকলে তাদের মুজতাহিদদের মৌলবি-আলেমদের সঙ্গে তর্ক করুক এসে’—আহ্বান জানাল সেলবর্সীর পত্রিকা। দাড়ি বাপ-দাদার উত্তরাধিকার এবং লিঙ্গচিহ্ন। ‘নর হইয়া যাহারা নারী মূর্ত্তি ধারণ করে, প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করে, তাহারা…কাপুরুষ।’
মাওলানা আযাদের প্রতিও খড়্গহস্ত হলেন সেলবর্সী। সাম্প্রদায়িক বিভেদ-বিস্তারের যুগে কংগ্রেসি আযাদের প্রভাব তখন ক্রমহ্রাসমান। সেলবর্সী পত্রিকায় লিখলেন, আযাদ ‘কংগ্রেসের একজন চেলা।…কংগ্রেসের গুণকীর্তন করা, মুসলমানদিগকে কংগ্রেসের দলভুক্ত করিতে চেষ্টা পাওয়া, যেখানে হিন্দু-মুসলমানের সংঘর্ষ উপস্থিত হয়, সে স্থলে সকল দোষ মুসলমানের ঘাড়ে ন্যস্ত করা, ইহাই তাঁহার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একবার পেশাওরে গিয়া নিজের কেরদানী ফলাইতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন, গবর্নমেন্ট তাঁহাকে সেখানে যাইতে দেন নাই; গেলে হয়তো একটা নূতন বিভ্রাট ঘটিত।’ মূলত কংগ্রেস, স্বরাজী ও জমীয়তে উলামা দলের মুসলমানদের বিরুদ্ধেই খর-জিভ হলেন সেলবর্সী। বিশ দশকের গোড়ায় যেখানে গান্ধীর কংগ্রেসের সঙ্গে খেলাফতপন্থী মুসলমানদের সহযোগিতা ছিল, সেখানে দশকের শেষে গিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্ক অনেকটা চুকে যাচ্ছে, আর নসিব ফিরছে স্বাতন্ত্র্যবাদী মুসলিম লীগের। অন্যদিকে নজরুল এই পরিস্থিতিতে না কংগ্রেস না মুসলিম লীগ—কোনোটাতেই বায়াত রাখেননি।
মুসলমান সমাজের বুদ্ধিজীবীরা জনপরিসরের নতুন শর্ত রচনা নিয়ে বিবেচনা করছিলেন। সেখানে চিহ্নকেন্দ্রিক মেরুকরণ ছিল একটা মস্ত প্রশ্ন। বাংলায় হিন্দু-মুসলমান মৈত্রীর সম্ভাবনা চিত্তরঞ্জন দাশ, এ কে ফজলুল হক প্রমুখের মধ্যে জাগরূক ছিল। মোল্লাপক্ষীয়রা ধর্মতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ভেদের প্রসঙ্গ যে একত্র করতেন, সেখানে তাঁদের প্রতীকী বলপ্রয়োগের মস্ত হাতিয়ার ছিল তাকফির করা। তাঁরা হিন্দুকে যেমন ‘কাফের’ বলতেন, তেমন ভিন্নমতের মুসলমান যুবকদেরও অকাতরে তাকফির করতেন। তাকফিরের এই খড়্গ সদাই ঝুলন্ত ছিল জনপরিসরে মতামতের বাহাসে। দাড়ি প্রশ্নে সেলবর্সীর পত্রিকায় যে প্রতিপক্ষকে ইসলামের দায়েরার বাহির বলে প্রশ্ন করার আভাস দেওয়া হয়েছে, সেটা নিছক কথার কথা ছিল না। সেটা মূলত চিহ্নতান্ত্রিক মেরুকরণের লড়াইয়ে তাকফির অস্ত্রেরই আভাস।
অন্যদিকে তরুণ দলের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের গরজ ছিল চিহ্নতান্ত্রিক মেরুকরণ এড়ানো এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মৈত্রী রচনা। ঢাকার বুদ্ধির-মুক্তিপন্থী তরুণ আবুল হুসেন ‘সওগাত’–এ ১৩৩৪ সনে [১৯২৭ সাল] লিখেছিলেন:
‘মুসলিম যুবকগণের প্রতিও আমার এই উপদেশ। তোমরা যেন অনর্থক মৌলবি-মৌলানাদের বক্তৃতা শুনে হিন্দুকে কাফের বলে তার মনে আঘাত দিও না।...মানুষমাত্রই আমার ভাই। সুতরাং হিন্দুর সঙ্গে তার সৃষ্টিরও আমি সমান উত্তরাধিকারী।...রাষ্ট্রসমস্যার পূর্বে আমাদের সমাজ-সমস্যার মীমাংসা হওয়া চাই। সমাজ-সমস্যা মীমাংসা করতে হলে প্রথমে “একমন” তৈরি করা চাই। হিন্দু-মুসলিম যুবকগণের মন এক করতে হবে।...আমরা এ দেশের মানুষ, আমরা মানুষের কল্যাণ চাই।...হিন্দু ও মুসলিম উভয়কে মিলে আমাদের সোনার বাংলার শ্রী ফেরাতে হবে।’
এই উপদেশ ছিল রাজনৈতিক কৌশলের ব্যাপার। এটা ঠিক আকিদার সওয়াল ছিল না। তবে আবুল হুসেন যাবেন কোথায়! তাঁকে তওবা করতে হলো। ১৯২৯ সালে সেলবর্সীর পত্রিকায় সংবাদ ছাপানো হলো যে আহসান মঞ্জিলে এক সভায় শহরের আলেম ও গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে ‘ঢাকা জজ কোর্টের উকিল মি. আবুল হুসেন এমএ, বিএল’ একটা পত্র লিখে দেন, যাতে বলা হয়:
‘মুসলেম ভ্রাতৃবৃন্দ! আমার আদেশের নিগ্রহ ও অন্যান্য প্রবন্ধে অনেক কথায় আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট হইয়া উঠে নাই।…উপহাস করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এ জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। সমাজের ত্রুটি দেখাইতে গিয়া ইসলামের ওপর যে আক্রমণ করিয়াছি, তাহাতে আমি নিজেই ক্ষুব্ধ হইয়াছি। ওই প্রবন্ধের ভাষা দ্বারা মুসলমান ভ্রাতৃবৃন্দের মনে যে বিশেষ আঘাত দিয়াছি, সে জন্য আমি অপরাধী। ভুলভ্রান্তি মানুষের হইতে পারে। আশা করি, মুসলমান ভ্রাতৃবৃন্দ এই অপরাধ মাফ করিবেন।’
মোল্লাপক্ষীয়রা ধর্মতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ভেদের প্রসঙ্গ যে একত্র করতেন, সেখানে তাঁদের প্রতীকী বলপ্রয়োগের মস্ত হাতিয়ার ছিল তাকফির করা। তাঁরা হিন্দুকে যেমন ‘কাফের’ বলতেন, তেমন ভিন্নমতের মুসলমান যুবকদেরও অকাতরে তাকফির করতেন। তাকফিরের এই খড়্গ সদাই ঝুলন্ত ছিল জনপরিসরে মতামতের বাহাসে।
অর্থাৎ তাকফিরের ভয় কিংবা সমাজচ্যুত হওয়ার ভয় অণু-শাসনের [মলিকুলার পলিটিকস] হাতিয়ার হিসেবে ছিল মজবুত। এই অস্ত্রে নজরুল ঘায়েল হননি বটে, কিন্তু অনেকেই ছিলেন জব্দ। একবার পত্রিকায় এল যে হক সাহেব এক বক্তৃতায় ‘আমি প্রথমে ভারতবাসী পরে মুসলমান’—এ কথা বলেছেন। পত্রিকার প্রতিবেদন নিয়ে কেউ কৈফিয়ত তলব করলেন। জবাবে আল মুসলিম–এ প্রকাশিত এক পত্রে ফজলুল হক লেখেন যে তিনি এ কথা বলেননি। বরং এসব অপবাদ তাঁর বিরুদ্ধে রটিয়ে বেড়াচ্ছে মুজিবুর রহমান এবং আকরম খাঁ। ‘শরা-শরিয়তের বিরোধিতা’ তিনি কখনো করবেন না, কথা দিলেন হক।
এখানে উল্লেখ্য, আধুনিক রাজনৈতিক প্রকরণ মেনে রাজনীতি করতেন যাঁরা, যেমন হক বা সোহরাওয়ার্দী, তাঁদের সঙ্গে ধর্মতাত্ত্বিক নেতা, যেমন মোল্লা, আলেম, পীর সমাজের কোনো জল-অচল বিভাজন ছিল নয়; বরং নানামাত্রিক সম্পর্ক ছিল। যেমন স্যার আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে ও হক সোহরাওয়ার্দীর অংশগ্রহণে ১৯৩০ সালে যে ‘নিখিল বঙ্গীয় মোসলেম কনফারেন্সে’র বিজ্ঞাপন আল মুসলিম–এ প্রকাশিত হয়, সেখানে দেখা যায়, ফুরফুরার পীর সাহেবের অনুমোদন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে:
‘বর্তমান সময়ে ভারতীয় মুসলেম সমাজের সম্মুখে যে কঠোর রাজনৈতিক সমস্যাসমূহ উপস্থিত হইয়াছে, তৎসম্বন্ধে বিশেষভাবে আলোচনা করিয়া সাইমন রিপোর্ট ও ভারতের ভবিষ্যৎ শাসন-তন্ত্র সম্বন্ধে মুসলেম সমাজের প্রকৃত অভিমত প্রকাশ করা এবং বিগত ফরিদপুর কনফারেন্সের প্রস্তাবিত “বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী আঞ্জুমনে ইসলামিয়া”কে কার্যকরভাবে পুনর্গঠিত করিয়া উহাকে বঙ্গীয় মুসলেম সমাজের প্রতিনিধিত্বমূলক শক্তিশালী কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই বর্ত্তমান কনফারেন্সের সর্বপ্রধান উদ্দেশ্য।…অতএব এই কনফারেন্সে যোগদান করা এবং ইহাকে সর্ব্বতোভাবে সাফল্যমণ্ডিত করিয়া তোলা যে বাঙ্গালার ধর্ম্মপ্রাণ, সমাজহিতৈষী মুসলমানগণের পক্ষে কীরূপ অবশ্যকর্ত্তব্য, আশা করি তাহা কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে না।…ফুরফুরার মহামান্য পীর সাহেব কেবলা এবং দেশের অন্যান্য বিশিষ্ট ধর্ম্ম ও সমাজ নেতৃগণ বাঙ্গালার মুসলমানদিগকে উক্ত কনফারেন্সে যোগদান করিবার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করিয়া এশতেহার প্রচার করিয়াছেন।’