অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

মূল্যায়ন

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস

‘সৃষ্টির অভ্যন্তরে যেমন এক রহস্যের খেলা চলে, তেমনি চলে শিল্পের অভ্যন্তরে। এই প্রচ্ছন্ন রহস্যকে কেউ বলেছেন লীলা, কেউ বলেছেন মায়া বা ইল্যুশন, কিন্তু তাকে শিল্পকর্মের কেন্দ্রে ধরেও শিল্পবস্তুটিকে চক্ষু কর্ণ ত্বকের এবং বুদ্ধি ও বোধের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হয়। প্রকাশ হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শিল্পী এই উদ্দেশ্যটি সাধন করেন।’—কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নন্দনতত্ত্বে শিল্পের প্রকাশ ও ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এভাবেই শিল্পবস্তুর সম্পূর্ণতা ও শিল্পের অভীষ্ট সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। নন্দনতত্ত্বে দখল থাকায় সাহিত্য সৃষ্টির সময়ে লেখক নিজে কতটা লীলা আর মায়ার পরিব্যাপ্ত থাকতে পেরেছেন, তা অনুসন্ধান করতে গেলে দেখা যায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সাহিত্যচর্চার পরিধি যতটা পরিব্যাপ্ত, তাঁর রচিত বইয়ের তালিকা ততটা দীর্ঘ নয়। কেবলই মনে হয়, আলমারির তাক অযথা ভারী করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। পাঠকের মগ্ন চৈতন্যে আঘাত করে তাদের মধ্যে আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যের ভাব জাগ্রত করার মাঝে সৃষ্টির যেই আনন্দ পাওয়া যায়, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সেই আনন্দকে পুঁজি করতেই মূলত বাংলা সাহিত্যজগতে বিচরণ করেছেন।

যদিও গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ সব শাখাতেই সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছিলেন সাবলীল, তবু উপন্যাসের বিষয় নির্বাচন ও বর্ণনাশৈলী অনুসরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনেকের চেয়ে ব্যতিক্রম। সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাসসমূহের ভাষাপ্রবাহ তাঁর গল্পের মতোই আধুনিক, যা প্রথাগত শৈলীতে গণ্ডিবদ্ধ থাকেনি। বরং বলা যায়, ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি স্বতন্ত্র্য ভঙ্গি ও স্বর নির্মাণ করতে চেয়েছেন এবং তাতে সফলও হয়েছেন। এমনকি সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মুখনিঃসৃত সংলাপ আর আখ্যানের বিস্তারে বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তাঁর পরিমিতিবোধ। তাঁর লেখা উপন্যাস আধখানা মানুষ (২০০৬), দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত (২০১০), তিন পর্বের জীবন, যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক (ব্রাত্য রাইসু সহযোগে) ও কানাগলির মানুষেরা, শকুনের ডানা পাঠ পরিক্রমায় পাঠক তাই নিশ্চিতভাবে স্বকীয়তার স্বাদ পায় ও আনন্দ উপভোগ করে।

আখ্যানের বিস্তার ঘটাতে স্মৃতির ছাঁকনিতে যতটুকু বাস্তবতা ছেঁকে নেওয়া যায়, ততটুকুর সঙ্গে কল্পনা আর অভিনবত্বের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলে একটা উপন্যাস বিদগ্ধ পাঠকের কাছে বিশেষ হয়ে ওঠে। এই বিশেষ কিছুর সন্ধান করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস পাঠ করা অনিবার্য।

পাঠ পরিক্রমায় উপলব্ধি করি বর্তমান সময়ে ভাষানির্ভর উপন্যাসের চেয়ে জীবননির্ভর উপন্যাসের প্রতি বহু পাঠকের আগ্রহ দেখা যায়। আবার জীবননির্ভর কিছু লিখতে গিয়ে একের পর এক ঘটনা দিয়ে উপন্যাসের আখ্যান সাজালে পাঠকের আগ্রহ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। আখ্যানের বিস্তার ঘটাতে স্মৃতির ছাঁকনিতে যতটুকু বাস্তবতা ছেঁকে নেওয়া যায়, ততটুকুর সঙ্গে কল্পনা আর অভিনবত্বের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলে একটা উপন্যাস বিদগ্ধ পাঠকের কাছে বিশেষ হয়ে ওঠে। এই বিশেষ কিছুর সন্ধান করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস পাঠ করা অনিবার্য হয়ে পড়ে।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘আধখানা মানুষ’; পদ্মার ভাঙনের বর্ণনা দিয়ে উপন্যাসটি শুরু হয়েছে। পদ্মার সঙ্গে বহুকাল লুকোচুরি খেলে কাটিয়ে দিয়েছে যেই গ্রাম, সেই গ্রামে ভাঙন শুরু হলে তার শব্দ কে কীভাবে শুনতে পায়, তার বেশ একটা নিবিড় বর্ণনা আছে শুরুতে, যা পড়তে পড়তে মহাকাশে গুড়ুম হুড়ুম কামান ডাকার শব্দ, পায়ের নিচে সুড়ঙ্গ কাটার শব্দ এত জোরালো আর বাস্তব হয়ে ওঠে যে রীতিমতো আতঙ্কিত আর ধাঁধাগ্রস্ত হয়ে উঠতে হয়। ভাঙনের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল লতিফ চোখে এক ‘অনিকেত আশ্চর্যবোধ’ নিয়ে বলে, ‘পদ্মার মুঠির ভিতরে যদি যেতে পারতাম সেই রাত, বেঁচে যেতাম। যেতে পারি নাই, তাই মরেছি।’ সব হারিয়ে এই লতিফই একটা সময়ে হয়ে ওঠে আধখানা মানুষ আর নিজের জীবন থেকে পালাতে চায়। জীবন থেকে পালানো সহজ নয়। পালাতে গেলে বর্তমান আর অতীতের জালে আরও জড়িয়ে যেতে হয়। কাহিনি বিস্তারে আবদুল লতিফ তাই অনিবার্যভাবে অতীতের দিকে ধাবিত হয়। এরপর আবদুল লতিফের বাবা আবদুল মজিদ আর মা মোসলেমার গল্পও জানা যায়। এই পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে উঠতে দুজনের দাম্পত্যের গোপন আর হিংস্র সব পর্ব উন্মোচিত হতে থাকে। একপর্যায়ে দেখা যায় যে মানুষটা বিছানায় স্বেচ্ছাচারী হতে হতে ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, সেই মানুষটাই আবার স্বাধীনতার ডাক শুনে স্বাধীনতাকামী হয়ে উঠতে চায়। আসলে ‘মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কত যে এ রকমের রসায়ন-ক্রিয়া ঘটেছে মানুষের মনে, যা মানুষের প্রাত্যহিক বাস্তবতার জীবন থেকে অনেক দূরে, তার একটা জরিপ হলে ফলাফল দেখে হতভম্ব হতে হত আমাদের।’ যুদ্ধকালে মোসলেমা তার শিশুসন্তানসহ যে বিপর্যয়ের ভেতরে পড়ে, তা থেকে মানুষের এই মনস্তাত্ত্বিক দিকসমূহ নানাভাবে পাঠকের সামনে উন্মোচিত হতে থাকে। ‘আধখানা মানুষ’–এর কাহিনিবিন্যাসের ক্ষেত্রে গৎবাঁধা বর্ণনারীতি বা ধারাবাহিকতা অনুসরণ করেননি ঔপন্যাসিক, যদিও কাহিনির ভেতরে কখনো পাঠককে কখনো নিজেকে দর্শক ও কথক হিসেবে উপস্থাপন করার তার যে চিরাচরিত প্রবণতা রয়েছে, তা এই উপন্যাসের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। আর তাই পাঠকও আলগোছে তার দেখা আধখানা মানুষদের জীবনের ভেতরে ঢুকে যেতে থাকে।

যে মানুষটা বিছানায় স্বেচ্ছাচারী হতে হতে ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, সেই মানুষটাই আবার স্বাধীনতার ডাক শুনে স্বাধীনতাকামী হয়ে উঠতে চায়। আসলে ‘মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কত যে এ রকমের রসায়ন-ক্রিয়া ঘটেছে মানুষের মনে, তার একটা জরিপ হলে ফলাফল দেখে হতভম্ব হতে হত আমাদের।’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস ‘আধখানা মানুষ’–এ যেমন মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন রাজনীতি প্রাধান্য পেয়েছে, তেমনি ‘দিনরাত্রিগুলি’ উপন্যাসেও তিনি ব্যক্তির গল্প বলার সঙ্গে সঙ্গে গল্পকথককে আশ্রয় করে মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরকে ব্যবহার করার প্রবণতা সম্পর্কে তীক্ষ্ণ ও ধারালো ভাবনা উপস্থাপন করেছেন। ‘দিনরাত্রিগুলি’ উপন্যাসে একাত্তরে শত্রুদের রুখে দিয়ে যুদ্ধে জয়ী হওয়া এক তরুণ তার মনোচিকিৎসকের কাছে নিজের গল্পটা বলতে থাকে। সে বিশ্বাস করে, ‘একাত্তরের গল্পে ঢোকার আগে মনটাকে পরিষ্কার করে নিতে হয়, গল্পের জমিনটাকেও, যাতে তাতে কোনো অনর্থক ফাঁক না থেকে যায়। কোনো গল্পের মাথাটা পথ হারিয়ে ঝুলে পড়লেও চলে না।’ তরুণের মানসিক টানাপোড়েনের মাঝে বারবার একাত্তর প্রাসঙ্গিক হলেও ‘দিনরাত্রিগুলি’র গল্প ঝুলে পড়েনি। এই তরুণের একটা করুণ অতীত ইতিহাস আছে, আছে ছেলেবেলার কিছু গল্প, যেসব সে ভুলে গেছে বা কোনো তোরঙ্গে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে রেখেছে। এক মেয়ের সঙ্গে তরুণটির একটি সম্পর্ক তৈরি হলে সেই সম্পর্ক তাকে এক কঠিন পরীক্ষায় ফেলে। তরুণটির প্রেমিকা তাকে বলে, এই তোরঙ্গের তালা ভাঙলে গল্পগুলো উড়তে থাকবে। আর সে সেই উড়তে থাকা গল্পগুলো ধরতে ছুটবে, ছুটতে ছুটতে চেনা পথগুলোও হারিয়ে ফেলবে আর যত পথ হারাবে তত পথ খুঁজে পাবে। এভাবে প্রেম ও যুদ্ধের দ্বৈত যাত্রার একেকটা পর্যায়ে তরুণটি দেশ, মনের ভূগোল আর শরীরের জেগে ওঠাকে জানতে পারে। জানার পথপরিক্রমায় সে যেমন অতীতমুখী হয়ে শৈশব, কৈশোর, একাত্তর, বাম রাজনীতি আর বাবা, মা, মফিতুন বুয়ার কাছে ফিরে ফিরে যায়, তেমনি অনেক প্রশ্ন আর বিভ্রমের মধ্যে পাক খায়। সমাপ্তিতে সব উত্তর মেলে কি না, সেই উত্তরটি তোলা রইলেও একটা কথা অকপটে বলতেই হয়, ‘দিনরাত্রিগুলি’ উপন্যাসের ভাষা সরল ও আধুনিক হলেও কাহিনিবিন্যাস সরলরৈখিক না এবং ঔপন্যাসিকের রাজনৈতিক সচেতনতার বিষয়টিও এখানে স্পষ্ট।

‘আজগুবি রাত’ উপন্যাসটি বলেশ্বর দিয়ে নূর বানুর কাটা হাত সহজ মাছের মতো ভাসতে ভাসতে পাথরঘাটার খেয়া ঘাটে এসে ঠেকার দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর হাত ঘিরে তৈরি হয় রহস্য আর কৌতূহল। ঔপন্যাসিক তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মতো এই উপন্যাসেও কাঠামোবদ্ধ কোনো আখ্যানের বিন্যাস ঘটাননি। তাই এই উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহও সহজে অনুমান করা যায় না। এই কারণেই হয়তো সরকারের একজন সচিব, একটা গোটা থানার লোকজন একটা ভয়ানক বিপর্যয়ের দিনে ভয়ানক পূর্বাভাসের পরেও অনিশ্চিত লাশের সন্ধানে পাথরঘাটা ছেড়ে কোথায় কোন বালুচরে যাচ্ছে দেখে সুমন্ত বিশ্বাসের মতো পাঠকও ধন্দ্বে পড়ে যায়। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠক বের হওয়ার পথ খুঁজবে, যখনই সে নিশ্চিত হবে যে এখান দিয়েই তাকে বের হতে হবে, তখনই সে দেখবে সামনে এক দেয়াল। একটা সময়ে দেয়াল ভেঙে পড়বে পাঠক চমকে দেখবে ওপাশে এক অচেনা প্রান্তর। এভাবে এক অভিনব সমাপ্তির মধ্য দিয়ে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর সঙ্গে পাঠকের বোঝাপড়া শেষ হবে।

একজন লেখক বিশেষ করে একজন ঔপন্যাসিকের এমন বিনিময়, এমন পরিশ্রম তাঁর একান্ত নিজের। এর ভার বহন করতে করতে একসময় তিনি নিঃশব্দে জীবন থেকে প্রস্থান করেন। তেমনিভাবে শিক্ষাবিদ, কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জীবনকে পেছনে ফেলে অনন্তের পথে যাত্রা করলেন।

কোনো গল্প বা উপন্যাস রচনার নেপথ্যের কৌশল জানার কোনো ব্যস্ততা সাধারণত একজন পাঠকের ভেতরে থাকে না। পাঠমগ্ন পাঠক মূলত লেখকের সৃষ্টির পেছনে ছোটেন, লেখার কাঠামোর পেছনে ছোটেন না। কোনো কোনো পাঠক নিছক সময়কে কবজা করতে বই পড়েন। কারও আবার উদ্দেশ্য থাকে অবসরকে অর্থবহ করে তোলা। কেউবা পাঠপরিক্রমায় আনন্দ উদ্‌যাপন করতে চান। অপর দিকে একজন গল্পকার বা ঔপন্যাসিকের কাছে লেখার শৈলী, কাঠামো, নির্মাণকৌশল সীমাহীন গুরুত্ব পায়। এ ক্ষেত্রে গতানুগতিক ধারায় যেই লেখক আটকে থাকতে চান না, সেই লেখকের পরিশ্রমের অন্ত থাকে না। এমন পরিশ্রম করতে গিয়ে একজন লেখক নিজের স্বাভাবিক জীবনও অস্বাভাবিকভাবে যাপন করতে শুরু করেন, যা ঘটে একেবারে লোকচক্ষুর আড়ালে। নিজেকে নিপীড়ন করে লেখক সৃষ্টির খেলায় মেতে থাকেন।

আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’–এর লেখক হান কাং একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি উপন্যাসের জন্য এমনভাবে উজাড় করে দেন, যেন উপন্যাসের সঙ্গে নিজের জীবন বিনিময় করেন। একজন লেখক বিশেষ করে একজন ঔপন্যাসিকের এমন বিনিময়, এমন পরিশ্রম তাঁর একান্ত নিজের। এর ভার বহন করতে করতে একসময় তিনি নিঃশব্দে জীবন থেকে প্রস্থান করেন। তেমনিভাবে শিক্ষাবিদ, কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জীবনকে পেছনে ফেলে অনন্তের পথে যাত্রা করলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীকে চিত্তের পুলক ও ধ্যানের মধ্য দিয়ে অনুভব করে শিল্পবস্তুতে রূপদান করা শিল্পীর প্রাথমিক কাজ আর ভাবকে ভাষা দেওয়া, রূপ দেওয়া শিল্পীর ব্রত। এই ব্রতে নিবিষ্ট হয়েই তিনি আমৃত্যু সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। পাঠক হিসেবে তাই বিশ্বাস করি, শিল্প সম্বন্ধে শেষ কথা কোনো দিনই কেউ বলতে না পারায় প্রাচীন শাস্ত্র নন্দনতত্ত্ব যেমন চিরকালই প্রাসঙ্গিক থাকবে, তেমনি সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের নির্মিত শিল্পকর্মও কখনো প্রাসঙ্গিকতা হারাবে না।