
গোয়েন্দা বলতেই আমরা বুঝি শার্লক হোমস কিংবা এরকুল পোয়ারো। ক্ষুরধার বুদ্ধি দিয়ে তারা একসময় কাবু করত অপরাধীকে, উন্মোচন করত গূঢ় রহস্য। কিন্তু কালে কালে সবকিছুই বদলায়। গোয়েন্দা–সাহিত্যের গায়েও লেগেছে সেই বদলের হাওয়া। জনপ্রিয় অনেক গোয়েন্দাকে এখন নিজের মগজের চেয়ে প্রযুক্তির ওপর বেশি নির্ভর করতে দেখা যায়। প্রযুক্তিনির্ভর এ দুনিয়ায় গোয়েন্দা চরিত্রগুলো আদতে কেমন?
মাস দুয়েক আগে নিজের একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলকাতায় গিয়েছিলাম, প্রকাশনী ছাড়াও স্থানীয় বেশ কিছু বুকশপ, অনলাইন বুকশপের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে হয়েছে। ওগুলোর প্রায় সব কটিই ছিল অনেকটা ঘরোয়া আড্ডার মতো। স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি আড্ডায় মজে গেলে প্রগল্ভ হয়ে ওঠে, আমরাও হয়েছিলাম।
যেহেতু নিজে থ্রিলার ও ক্রাইম ফিকশন লিখি, আর আমার সদ্য প্রকাশিত বইটিও সেই ধারার, আড্ডায় তাই উঠে এসেছিল থ্রিলার ও ডিটেকটিভ সাহিত্যের বিষয়টি। কলকাতা শহরের একটি বুকশপ এবং সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক অবতারণা করেছিলেন ইদানীংকালে রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের একটি হট টপিক—মগজাস্ত্র (বুদ্ধি খাটিয়ে রহস্যের সমাধান) নাকি আধুনিক প্রযুক্তি? বয়োজ্যেষ্ঠ ভদ্রলোক সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, তিনি মগজাস্ত্রের পক্ষে। চিরায়ত গোয়েন্দারাই অতুলনীয়। বুদ্ধির খেলা তিনি উপভোগ করেন পাঠক হিসেবে। এটাই তাঁর কাছে বেশি পছন্দের। আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ গোয়েন্দা গল্পের ক্ল্যাসিক্যাল ও ভারিক্কি ভাবটাকে নষ্ট করে দিয়েছে।
চরিত্রগুলো হারিয়েছে আকর্ষণের ক্ষমতা। তীক্ষ্ণ অবজারভেশন বা পর্যবেক্ষণ, পাজল সমাধা করা ক্ষুরধার মস্তিষ্কের গোয়েন্দাদের সচরাচর কমই দেখা যায় এখন। আধুনিক কালের গল্পে গতি এলেও আভিজাত্য হারিয়েছে। গল্প-উপন্যাসের গোয়েন্দারা এখন পুলিশ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকের মতো পেশাদার চরিত্র।
জ্যেষ্ঠজনের যুক্তি, যে গোয়েন্দা তার ক্ষুরধার মস্তিষ্কের চেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি, ফরেনসিক টুল আর প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে, সেই গোয়েন্দার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কোথায়? তার হয়ে প্রায় সবটুকু কাজ করে দিচ্ছে প্রযুক্তি! এমন গোয়েন্দাকে পাঠক কী করে টানবে? কী করে তার প্রতি মুগ্ধ হবে? যে পাঠক আর্থার কোনান ডয়েলের ‘শার্লক হোমস’ পড়েছে, আগাথা ক্রিস্টির ‘মিস মার্পল’ কিংবা ‘এরকুল পোয়ারো’র সঙ্গে পরিচিত, তার পক্ষে আধুনিক গোয়েন্দাদের ভক্ত বনে যাওয়া কঠিন। দিন দিন মগজাস্ত্রের ব্যবহার কমতে কমতে এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে, হালের গোয়েন্দাদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করার জো আছে কি?
বলা বাহুল্য, এসবই আমার উদ্দেশে বলা। তো আমি কিছু বলার আগেই আড্ডায় উপস্থিত কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সরব হয়ে উঠলেন। ভদ্রলোক খুব বইপড়ুয়া, আমার লেখার ভক্ত। তর্কটা জমে উঠল বুকশপের মালিক, সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক এবং পুলিশ কর্মকর্তার বাগ্বিতণ্ডার মধ্য দিয়ে। তাঁদের যুক্তিগুলো উপভোগ করতে লাগলাম আমি। এক অর্থে বেঁচেও গেলাম!Ñবিদেশ-বিভুঁইয়ে এসে কারও সঙ্গে তর্ক করতে চাচ্ছিলাম না।
সেই পুলিশ কর্মকর্তা মন দিয়ে, ধৈর্যের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ভদ্রলোকের কথা শুনে গেছেন। অবশেষে সুযোগ পেয়ে নিজের যুক্তি তুলে ধরলেন তিনি, আমি সেগুলো গুছিয়ে বললে এমনটি দাঁড়াবে:
সময়ের পরিক্রমায় সবকিছুই বদলে যায়, বিবর্তিত হয়, গোয়েন্দা-সাহিত্যও বদলে গেছে। ভবিষ্যতেও বদলাবে। শুরুর দিককার গোয়েন্দা চরিত্রগুলোর বসবাস উনিশ শতকে। জনপ্রিয় গোয়েন্দাদের আবির্ভাব বিশ শতকের শুরুতে। সেই সময়ের পৃথিবীর সঙ্গে এখনকার দুনিয়ার তুলনা করলেই পার্থক্যটা চোখে পড়বে। অ্যালান পোর গোয়েন্দা মহাশয় অগাস্ট দ্যুপাঁ কোন সময়ে হত্যারহস্যের কূলকিনারা করত? মনে রাখতে হবে, ‘মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ’ ১৮৪১ সালে লেখা। টেলিফোনও আবিষ্কৃত হয়নি তখন। গল্পটি লেখার মাত্র তিন-চার বছর আগে টেলিগ্রাফ যন্ত্রের কথা মানুষ জেনেছে, তখনো পুরোদমে এর প্রচলন হয়নি। অটোমোবাইল সে সময় দিল্লির মতো দূরের না হলেও আরও ৪০ বছর পরের ঘটনা। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে একটা আতশি কাচ পকেটে নিয়ে, পাইপে তামাক সেবন করতে করতে গোয়েন্দা মশাইরা হত্যারহস্যের কূলকিনারা করত তখন। চাইলেও এর চেয়ে বেশি কিছু দেখানো সম্ভব হতো না।
পোয়ের পর যাঁরা গোয়েন্দা কাহিনি লিখেছেন, তাঁদের সবারই ছিল একই অবস্থা। তবে ৪০-৫০ বছর পর দুনিয়াটা যেমন বদলে গিয়েছিল, গোয়েন্দা কাহিনি আর গোয়েন্দা চরিত্রগুলোও হয়ে উঠেছিল ‘আধুনিক’, সে যুগের প্রেক্ষাপটে। সম্ভবত শার্লক হোমসকেই প্রথম দেখা যায় ফরেনসিক সায়েন্সের ব্যবহার করতে। তবে পাঠক যতই আপ্লুত হোন না কেন, কোনান ডয়েলকে পরবর্তী সময়ে ‘ভুলভাল ফরেনসিক বিদ্যা’ প্রয়োগের অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। লেখার সুবিধার্থে তিনি অনেক কিছুকেই ফরেনসিক সায়েন্স বলে চালিয়ে দিয়েছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হয়, ডয়েলই সম্ভবত প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন, অবজারভেশন বা পর্যবেক্ষণের দক্ষতা দিয়ে বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাঁর বিখ্যাত গোয়েন্দার ‘মগজাস্ত্র’টি অনেক ক্ষেত্রেই রহস্যের কূলকিনারা করতে পারবে না। নতুন যুগে চাই নতুন নতুন অস্ত্র!
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গোয়েন্দা কাহিনিতে এ পরিবর্তন চোখে পড়ে। পোস্টমর্টেম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যা লেখকের চিন্তাপ্রসূত বানোয়াট কিছু নয়। ফরেনসিক সায়েন্স ব্যবহার করেই কাজটা করতে থাকেন লেখকেরা। আগের গোয়েন্দা কাহিনিগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে একটা পার্থক্যও গড়ে ওঠে। আগে যেখানে গল্পগুলো হত্যা ও সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে ঘুরপাক খেত, সেখানে পরবর্তীকালের লেখকেরা অপরাধের নানা ধরন দেখাতে থাকেন। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের ভয়াল চিত্র ও অপরাধের বীভৎস রূপটি আরও বেশি প্রকট করে তুলে ধরতে থাকেন। আগের লেখকদের মূল ধ্যানজ্ঞান ছিল হত্যারহস্যের কূলকিনারা করা, ক্লু খুঁজে বের করা এবং শেষে অপরাধীকে পাকড়াও করা। পাঠককে অপরাধের বীভৎসতা বর্ণনা করে অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে চাইতেন না লেখকেরা কোনোভাবেই।
তবে সময় যতই গড়াতে থাকে, গোয়েন্দা কাহিনিগুলো অনেক বেশি বাস্তবানুগ হয়ে উঠতে শুরু করে। পাঠককে অস্বস্তিতে না ফেলার যে প্রবণতা ছিল অগ্রজদের, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন নতুন লেখকেরা। ভয়াল বাস্তবতা দেখাতেও কুণ্ঠিত হন না তাঁরা। বাস্তবতার এ ছোঁয়াতেই ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ’ তথা ‘শখের গোয়েন্দা’রা তিরোহিত হতে থাকে, তাদের জায়গা নেয় সত্যিকারের গোয়েন্দারা—ট্রু ডিটেকটিভের দল! পুলিশ হয়ে ওঠে গল্পের প্রধান চরিত্র। ফলে পুলিশ প্রসিজরালও (পুলিশেরা যেভাবে কোনো রহস্যের সমাধান করে) চলে আসে অবধারিতভাবে। অনেক বেশি টেকনিক্যাল হয়ে ওঠে গোয়েন্দা আর তাদের তদন্তকর্ম।
গোয়েন্দাদের সেই পুলিশ প্রসিজরালের জ্ঞানকে মগজাস্ত্র বলতে নারাজ একদল। আদতে এ বিদ্যাও অর্জনের বিষয়। শার্লক হোমসের প্রখর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার চেয়ে এটি কোনো অংশেই কম বাহবা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু দেখা গেল অনেক পাঠক হোমসের এ ক্ষমতাকেই বড় করে দেখেন। তাঁদের কাছে কষ্টার্জিত জ্ঞানের চেয়ে, দক্ষতার চেয়ে, মেথডের চেয়ে অতিমানবীয় ক্ষমতাই বেশি আকর্ষণীয়। এই মনোভাব সাহিত্যের ‘সুপারহিরো’দের প্রভাবে হয়েছে কি না, কে জানে!
ফলে আগের গোয়েন্দাদের পুরোপুরি বাদ না দিয়ে অনেক লেখকই আধুনিকতার সঙ্গে তাদের মিশিয়ে গল্প লিখেছেন, চরিত্র নির্মাণ করেছেন আধুনিক কালে। এ ক্ষেত্রে টেলিভিশনের ভূমিকা ছিল বেশি। আমেরিকান টিভি সিরিজ মঙ্ক, দ্য মেন্টালিস্ট অথবা এলিমেন্টারির উদাহরণ এখানে টানা যায়। অবশ্য এইচবিওর জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ট্রু ডিটেকটিভ নামটাই যেন বলে দেয়, শখের গোয়েন্দাদের যুগ শেষ, মগজাস্ত্রও এখন আর যথেষ্ট নয়, হাল আমলে গোয়েন্দাগিরির কাজটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং পেশাদারদের ক্ষেত্র।
আধুনিক গোয়েন্দা সাহিত্য যে পুরোপুরি পুলিশ আর পেশাদার লোকজনের (যেমন ফরেনসিক এক্সপার্ট) দখলে চলে গেছে, তা কিন্তু নয়। এখনকার প্রচুর গল্পে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহবধূকে পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরি করতে দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে স্টিগ লারসনের দ্য গার্ল অন দ্য ড্রাগন ট্যাটু, পলা হকিন্সের দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন–এর কথা বলা যায়।
শেষে নিজের দীর্ঘ পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কলকাতা পুলিশের সেই কর্মকর্তা বলেছিলেন, এ যুগে যেসব কেস তাঁরা তদন্ত করেন, সেগুলোর সমাধান করতে হলে অবধারিতভাবে প্রযুক্তির সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে। এ সাহায্য ছাড়া আজকাল কোনো অপরাধের কূলকিনারা করা প্রায় অসম্ভব। এখনকার গোয়েন্দারা বরং সেদিক থেকে বাস্তবের অনেক বেশি কাছাকাছি।
অনেকক্ষণ ধরে কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তার যুক্তি শুনে জ্যেষ্ঠজন আবারও জোর দিয়ে বলে উঠেছিলেন, ঠিক এ কারণেই আধুনিক গোয়েন্দাদের তাঁর পছন্দ নয়। তারা অনেক বেশি টেকনিক্যাল, অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। পুলিশ প্রসিজরালের বিষয়গুলো বাস্তবিক। পৃথিবীর সব পুলিশ বিভাগই কমবেশি, অল্পবিস্তর হেরফের ব্যতিরেকে এগুলো মেনে কাজ করে থাকে। এখানে কল্পনার কোনো স্থান নেই। অন্যদিকে মগজাস্ত্রের সবটাই লেখকের কল্পনাপ্রসূত। একেকজন লেখক একেকভাবে কল্পনা করেন। অভিনব সব ক্লু আর ধাঁধা থাকে সেখানে। গল্প-উপন্যাসে এ রকম কল্পনার গুরুত্ব রয়েছে।
চায়ে চুমুক দিতে দিতে দুজনের কথা উপভোগ করছিলাম। অবশেষে কিছু বলার তাগিদ অনুভব করি। আমি যখন প্রথম গল্প-উপন্যাস কিংবা টিভি-সিনেমায় পুলিশ প্রসিজরালগুলো দেখেছি, তখন খুবই কৌতূহলোদ্দীপক বলে মনে হয়েছিল আমার কাছে। এ ব্যাপারগুলো আমার অভিজ্ঞতার বাইরে ছিল সে সময়। ধারণা করি, শতকরা একজন পাঠকও এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নন, যদি না তিনি পুলিশ বিভাগের লোক হন। সেদিক থেকে দেখলে, এটা পাঠকের কাছে নতুন একটি বিষয়, তাঁদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়ও লাগে। এসব পড়ে আমার মতো পাঠকও মনে মনে বলে ওঠে, আচ্ছা, সত্যিকারের গোয়েন্দারা তাহলে এভাবে কাজ করে!
আমার কথা শোনার পর পুলিশ কর্মকর্তা সানন্দে সায় দিলেও জ্যেষ্ঠজন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন, এভাবে আধুনিকতার নামে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে থাকলে একসময় কোনো ডিটেকটিভের আর দরকার পড়বে না, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়েই হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করা হবে!
সেদিনের সেই জ্যেষ্ঠ পাঠকের দুঃখ ও আশঙ্কাটি অনুধাবন করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত এ বিতর্কে পুলিশ ভদ্রলোকের পক্ষই নিতে হয়েছিল আমাকে। কেন না আমিও এ যুগের লেখক, আমার বসবাস এই ডিজিটাল যুগে। ইনফরমেশন সুপার-হাইওয়েতে ছুটে চলছি আমরা। আমরা এখন এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। এ বাস্তবতাকে কী করে ভুলে থাকা যায়? নস্টালজিক হয়ে অতীত রোমন্থন করা গেলেও সেখানে ফিরে যাওয়া তো সম্ভব নয়। হালের গোয়েন্দারা—কি সাহিত্যে, কি বাস্তবে—আগের চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। বব ডিলানের গানের মতো করে তাই বলতে হয়, সময়ে সবকিছু বদলে যায়।
এ লেখার শেষে ফুটনোট আকারে এটা বলা দরকার যে গোয়েন্দা বলতে আমি এখানে ‘ডিটেকটিভ’ বুঝিয়েছি, ‘স্পাই’ নয়। এর আগে প্রথম আলোয় এক লেখা লেখার পর কিছু পাঠক বিভ্রান্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের অভিযোগ ছিল, গোয়েন্দা নিয়ে লিখছি অথচ সেখানে প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেন ও ‘মাসুদ রানা’র উল্লেখ নেই কেন?