সাবানের ফেনায় হাত কচলাতে কচলাতে একসময় আয়ুরেখার দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে আদি। মনে পড়ে, রুমিনার সাথে তৃতীয়বার যখন পার্কে দেখা হয়, দুজনের হাতের আয়ুরেখার দৈর্ঘ্যতা আঙুল দিয়ে মেপেছিল। খুশিতে রুমিনাকে জড়িয়ে বলেছিল, 'থ্যাংকস গড, দুজনের আয়ুরেখা সমান।' বাসর রাতে আদি গিফটের পরিবর্তে রাশিফলের বই নিয়ে এসেছিল। দুজনের ভাগ্য মিলিয়ে যখন রুমিনার কাছে যায়, তখন ভোরের আলো মিটমিট করে হাসছে। ভাবতে ভাবতে আদির ঠোঁটে ফুটে ওঠে মৃদু হাসি। রুমিনার কাশির শব্দে সংবিত ফেরে পায়। পেছনে ফেরে দেখে, কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ভেঙে রুমিনা অনবরত কেশে যাচ্ছে। চোখমুখ লাল হয়ে আছে। হাত দিয়ে রুমিনার কপাল স্পর্শ করে। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। রুমিনার বুকের আওয়াজ যেন ভেঙে দিচ্ছে আদির বেঁচে থাকার দেয়াল।
এরপর, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন আদির একেকটি পাঁজর ভেঙে দিয়ে—হারিয়ে গেল জীবনগল্পের আলপথে।
[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্যআলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্যআলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: info@onnoalo.com, alimazij@gmail.com]