রাস্তায় চলতে গিয়ে কফ-থুতু, ময়লা-আবর্জনা, পয়োনিষ্কাশনের নোংরা কালো পানি, যত্রতত্র মানুষের মলমূত্র—এসবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমরা কি পারি না কফ-থুতু, প্রস্রাব-পায়খানা নির্দিষ্ট জায়গায় করতে?
যে কাজ বাড়ির টয়লেট-বেসিনে করার কথা, সেগুলো আমরা অনায়াসে রাস্তাঘাটে করছি। এতে করে রাস্তায় চলতে গিয়ে যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, তেমনি পরিবেশদূষণও হচ্ছে চরমভাবে। কফ-থুতু, প্রস্রাব-পায়খানা, ময়লা-আবর্জনা শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে মিশে যাচ্ছে এবং এই দূষিত বায়ুই আবার আমরা শ্বাস দিয়ে গ্রহণ করছি। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, হাঁপানিসহ শ্বাসনালিসংক্রান্ত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে।
আমরা কি পারি না একটু সচেতন হয়ে এই বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে? এ শহর, এ দেশ আমাদেরই। তাই আসুন, আর দেরি নয়, আজ থেকেই শুরু করি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, দূষণমুক্ত দেশ উপহার দিতে আপনার আমার এই ক্ষুদ্র সদিচ্ছাটুকুই যথেষ্ট। সেই সঙ্গে সরকারেরও উচিত বেশি বেশি ডাস্টবিন, গণশৌচাগার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এই অনিয়মগুলো প্রতিহত করা। তা ছাড়া আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু এই অনিয়মগুলো করি না, তাহলে নিজের দেশে নয় কেন?
সাবিনা পারভীন, ঢাকা।