সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন
এ কথা সর্বজনস্বীকৃত যে এ দেশে যারা ধনী, তাদের বসবাস বিলাসিতার মধ্যে; আর যারা গরিব, তাদের বসবাস একেবারে দারিদ্র্যসীমার নিচে। প্রায় প্রতিবছরই এ দেশে কমবেশি শীত পড়ে। কনকনে শীত কারও কারও জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনলেও অনেকের জন্য তা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।
দেশের সংকটময় অবস্থায় গরিব-দুঃখী মানুষের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে যখন বেঁচে থাকাই হয়েছে প্রধান সমস্যা, তখন কর্মহীন মানুষের শীতের গরম কাপড়ের কথা চিন্তা করাই বিলাসিতার ব্যাপার। তখন এ শীত তাদের জন্য হয়ে ওঠে অভিশাপস্বরূপ।
কিন্তু সমাজের অন্য একশ্রেণীর মানুষ তখন শীতার্ত এই মানুষের কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে লিপ্ত হয় পিঠা উৎসবে। লিপ্ত হয় লাখ লাখ টাকা খরচ করে শীতের বিশেষ ফ্যাশন শোয়। তাদের নির্মমতার চোখে ধরা পড়ে না শীতার্ত এসব মানুষের কষ্টের করুণ কাহিনি। কোটি টাকার গাড়ি হাঁকিয়ে চলে যান শীতার্ত এসব মানুষের সামনে দিয়ে।
কিন্তু মনে করবেন না তাতে আমি আপত্তি করছি ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বিলাসিতার জন্য। কিন্তু আপত্তি না করলেও আবেদন করতে চাই, আসুন, শীতার্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই।
এতে অনেকের লাগতে পারে উষ্ণতার ছোঁয়া। আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, কিছু বিত্তশালী মহল এদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
আসুন, আমাদের বিলাসিতা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে তাদের উষ্ণতার ছোঁয়া দিতে চেষ্টা করি।
জিয়াত উদ্দিন, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন
-
মানুষের হাত-পা কেটে নিজেই ‘অস্ত্রোপচার’ করতেন মিল্টন সমাদ্দার: ডিবি
-
শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুল করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল: মন্ত্রণালয়
-
ইজারার পুরো টাকা না দিয়েই গাবতলী পশুর হাট দখল, হাসিল আদায় ডিপজলের
-
মানব পাচার মামলায় চার দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
-
শিক্ষার্থী বিক্ষোভে বাম–ডান দুই দিক দিয়েই বিপদে বাইডেন