Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিকতার দায় কার কাছে, সাংবাদিকের দায়িত্ব কী

বাংলাদেশে গণমাধ্যম, এর স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব আলোচনায় অতিসাধারণীকরণ এবং খুব সহজেই বড় ধরনের উপসংহার টানার প্রবণতাও দেখা যায়। এসব বিষয়ে দেশ ও দেশের বাইরে দীর্ঘদিন ধরে যেসব আলোচনা হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে সংবাদমাধ্যমের চারটি দিক নিয়ে চার পর্বে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ। আজ দ্বিতীয় কিস্তি।

আলী রীয়াজ

একটি গণমাধ্যমে প্রচারিত বা প্রকাশিত সব সংবাদের দায় কি ওই প্রতিষ্ঠানের সব সাংবাদিকের? এ প্রশ্ন আপাতদৃষ্টে খুব হাস্যকর বলে মনে হলেও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর বিষয়ে বিতর্কে প্রায়ই প্রশ্নটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসে উপস্থিত হয়। অনেকেই কোনো গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার সময় এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন যে ওই প্রতিষ্ঠানের সব সাংবাদিকই এ ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য দায়ী। অন্ততপক্ষে তাঁদের উচিত এই ইচ্ছাকৃত বা নীতিবিষয়ক ত্রুটির কারণে অবিলম্বে পদত্যাগ করা। এ ধরনের বক্তব্য খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে, কেননা এতে দায় অনেকের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এ ধরনের বক্তব্য না বাস্তবসম্মত, না সাংবাদিকতার কোনো রকমের নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ ধরনের কথাবার্তা স্বল্প মেয়াদে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলেও এর সঙ্গে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংশ্লিষ্ট, সে বিষয়ে আলোচনার কোনো ধারা এখনো গড়ে ওঠেনি। তা হচ্ছে সাংবাদিকতার দায় কী, কার কাছে এ দায়, সাংবাদিকের দায়িত্ব কী?

সাংবাদিকতার জগতের তিন ধরনের মানুষ

সাংবাদিক বললে গণমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট একাধিক ধরনের পদাধিকারী ব্যক্তিদের বোঝায়। মোটা রেখায় আমরা সাংবাদিকতার জগতের তিন ধরনের মানুষের কথা বিবেচনা করতে পারি, যাঁরা তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্যের উপস্থাপনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা হচ্ছেন প্রতিবেদক; সংবাদের গুরুত্ব ও স্থান নির্ধারণ করেন যাঁরা এবং যাঁরা প্রতিবেদন সম্পাদনা করেন—ডেস্কে কর্মরত সহসম্পাদক থেকে বার্তা সম্পাদক এবং সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিরা।

সাংবাদিকতার জগৎ বিষয়ে অবগত ব্যক্তিরা জানেন, এই তিন ধরনের সাংবাদিকের মধ্যে প্রতিবেদকদের পরিচিতি বেশি এ কারণে যে পাঠক-শ্রোতা-দর্শকদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক প্রত্যক্ষ; তাঁরাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁদের বিবেচনায় যথাযথভাবে পাঠক-শ্রোতা-দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। কিন্তু একটি আদর্শ গণমাধ্যমে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নেন না যে তাঁদের সংগৃহীত খবর আদৌ প্রচারিত হবে কি না, কখন ও কীভাবে প্রচারিত হবে। অন্যদিকে, সংবাদ প্রতিষ্ঠানে যাঁরা গেটকিপারের দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন কোন খবর প্রকাশিত হবে বা হবে না। এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত থাকেন, অবস্থানগতভাবে তাঁদের মধ্যে দায়িত্বের বণ্টন হয়। একজন বার্তা সম্পাদক বা তাঁর সমপর্যায়ের ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কোন খবর প্রকাশিত হবে, কীভাবে হবে। সংবাদ বিভাগের অন্য কেউ এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সম্পাদকীয় বিভাগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা প্রাত্যহিক সংবাদ পরিবেশনা বিষয়ে অবগত থাকেন না; গণমাধ্যমের নীতি অনুযায়ী তাঁরা উপসম্পাদকীয় লেখেন বা মতামত প্রকাশ করেন, সম্পাদকীয় নীতিমালা তৈরিতে অবদান রাখেন।

Also Read: গণমাধ্যমগুলো কখন গণমাধ্যম

দায়িত্বের এই বণ্টন থেকে বোঝা যায়, প্রকাশিত সংবাদ এবং মতামত সবার জ্ঞাতসারে প্রকাশিত হয় না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ থাকে না। ফলে, একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য, তার গুরুত্ব বা প্রকাশিত মতের দায়িত্বও সবার ওপরে বর্তায় না। সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যত্যয় বা বিচ্যুতির দায় যাঁরা ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত—প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক এবং যাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন, তাঁদের। এই বিচ্যুতি যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের নীতির প্রতিফলন ঘটায়, তবে ওই গণমাধ্যমের নীতিগত অবস্থানের সমালোচনা করা দরকার, সেই নীতিনির্ধারকদের সমালোচনার মুখোমুখি করা দরকার। যেকোনো ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি-ব্যত্যয় বা নীতিগত অবস্থানের জন্য কোনো গণমাধ্যমের সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো, তাঁদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গারের অর্থ হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিদের দায়মুক্ত করা।

সাংবাদিকতা আসলে কেবল তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহের পেশা নয়। এটির ভিত্তি হচ্ছে তথ্য যাচাই করাও। নিকারাগুয়ার মানাগুয়ায়

কিন্তু সাংবাদিকতার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত—প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক—তাঁদের অবশ্যই কতগুলো মৌলিক দায়িত্ব আছে, যেগুলো এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয়; অন্যার্থে সাংবাদিকতার নীতিমালার ভিত্তিগত কিছু বিষয় আছে, যা সর্বজনীন এবং দায়িত্বনির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য। সাংবাদিকতার প্রথম বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের প্রতি। সাংবাদিকতার এই সত্য দর্শনশাস্ত্রের সত্য নয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারের চূড়ান্ত সত্য নয়। বিল কোভাচ ও টম রোসেন্টিয়েল দ্য এলিমেন্টস অব জার্নালিজম গ্রন্থে একে বলেছেন ‘আ প্র্যাকটিক্যাল অ্যান্ড ফাংশনাল ফর্ম অব ট্রুথ’—বাস্তব এবং কার্যকর সত্য। এ সত্যের ভিত্তি হচ্ছে পেশাদারিভাবে তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ এবং তা যাচাই করা।

সাংবাদিকতা আসলে কেবল তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহের পেশা নয়; এটির ভিত্তি হচ্ছে তথ্য যাচাই করাও। ইংরেজিতে যাকে বলে ভেরিফিকেশন, একে আমরা সত্য প্রতিপাদন বলে বর্ণনা করতে পারি। এই ভেরিফিকেশনের কি কোনো সুনির্দিষ্ট সূত্র আছে? অবশ্যই তা নেই। একেক সময়ে একেকভাবে ভেরিফাই করতে হবে। কিন্তু যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে অনুসৃত পদ্ধতি বস্তুনিষ্ঠ কি না। প্রতিবেদক কিংবা সম্পাদনায় যুক্তরা ব্যক্তি হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ হবেন, এমন আশা করা যায় না, কিন্তু তথ্য বা ফ্যাক্টস সংগ্রহের ও উপস্থাপনার পদ্ধতি বস্তুনিষ্ঠ কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। এই যাচাই-বাছাই বা ভেরিফিকেশনকে বিল কোভাচ ও টম রোসেন্টিয়েল বলছেন সাংবাদিকতার ‘এসেন্স’—সারমর্ম। আমেরিকান প্রেস ইনস্টিটিউট বলছে, এটাই সাংবাদিকতাকে প্রোপাগান্ডা, বিজ্ঞাপন, ফিকশন বা বিনোদন থেকে আলাদা করে। এ তালিকায় জনসংযোগকেও যুক্ত করা যায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বর্তমান অবস্থায়—কেবল আলাদা আলাদা প্রতিবেদনের বিষয়ে নয়, সামগ্রিকভাবে যদি আমরা বিবেচনা করি, তবে এই ভেরিফিকেশনের কী উদাহরণ দেখতে পাই? গণমাধ্যম তথ্য প্রকাশে যতটা আগ্রহী, ভেরিফিকেশনে ততটা নয়। দুই বা বহু পক্ষের বক্তব্য দেওয়া ভেরিফিকেশন নয়। একইভাবে সাংবাদিকতার একটা কাজ হচ্ছে যেকোনো আলোচনায় কেবল আরেকটা কণ্ঠস্বর যুক্ত করা নয়, আলোচনার মানোন্নয়ন; সেটা সংবাদেই হোক কিংবা সম্পাদকীয়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রবণতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক সময় অনেক অজানা বিষয়কে আলোচনার কেন্দ্রে স্থাপন করে, গণমাধ্যমে আসে না—এমন অনেক বিষয়ের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, মুহূর্তের মধ্যে কোনো বিষয়কে সবার অবগতির ব্যবস্থা করে, নিয়ন্ত্রণমুক্তভাবে পরিস্থিতি প্রচার করে, বিভিন্ন ধরনের মতপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়—এগুলোকে অস্বীকার করা যাবে না। তারপরও একসময় যে সামাজিক মাধ্যম ছিল বিভিন্ন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে প্রচারের ও সংগঠিত হওয়ার হাতিয়ার, তা এখন স্বৈরাচারীদের ব্যবহারের উপাদানে পরিণত হয়েছে। গোষ্ঠীস্বার্থ এবং অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ঘটনাও ঘটছে—ফেক নিউজ প্রপঞ্চের ভিত্তি হচ্ছে এটাই। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি সত্ত্বেও এগুলোকে ‘সাংবাদিকতা’ বলার বিবিধ রকমের বিপদ আছে।

আজকের দিনে যখন আমরা ‘অলটারনেটিভ ফ্যাক্টস’ এবং ‘পোস্ট ট্রুথ’-এর কল্পিত এক জগতে বাস করছি এবং যে পোস্ট ট্রুথের অর্থ হচ্ছে মানুষ আসল ঘটনা বা সত্যের বদলে তাদের আবেগ ও বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে কোনো একটি যুক্তিকে গ্রহণ করে নিচ্ছে, সেই সময়ে সাংবাদিকতার মৌলিক বিষয়ের দিকেই আগে তাকাতে হবে। ফ্যাক্টস সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা একজন রিপোর্টারের প্রথম কাজ। কী ছাপা হবে, কী প্রচারিত হবে, সেই সিদ্ধান্তের কথা বিবেচনা না করেই তাঁকে এই ফ্যাক্টস সংগ্রহ করতে হবে, লিখতে হবে। অন্যদিকে, সম্পাদনার দায়িত্ব যিনি আছেন—প্রধান প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক পর্যন্ত সবাইকে মনে রাখতে হবে, এর ব্যত্যয় মানে সাংবাদিকতা নয়। এই ফ্যাক্টসের বিষয়ে স্বচ্ছতাও দরকার; কোন সূত্র এ তথ্য দিচ্ছে, কীভাবে এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যাতে পাঠক-শ্রোতা-দর্শকেরা বুঝতে পারেন তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু। বাংলাদেশে প্রায়ই সরকারি ভাষ্যকে এমনভাবে প্রচার করা হয়, যেন সেটাই খবর।

সাংবাদিকতার দায়

সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে; এমনকি যখন এই সাংবাদিকতার পৃষ্ঠপোষক ব্যক্তি এবং সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায়। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের একমাত্র উপায় এই দায়ের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া। আর তার জন্যই সাংবাদিকতাকে থাকতে হয় স্বাধীন; নিরপেক্ষতাই যথেষ্ট নয়। এই স্বাধীনতা বজায় রাখতে হলে সাংবাদিকতাকে পেশা ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং সাংবাদিককে ব্যক্তি হিসেবে যাঁদের বিষয়ে সংবাদ বা সম্পাদকীয় প্রকাশ করবে, তাঁদের থেকে স্বাধীন থাকতে হবে; কেবল তবেই গণমাধ্যম ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে পারবে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিবেচনায় এই কথাগুলো কেবল তত্ত্বগতভাবে বলে উড়িয়ে দেওয়ার মতো মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু সাংবাদিকতার এই মৌলিক বিষয়গুলোকে ধর্তব্যে না নিয়ে, এসব দিকে মনোযোগ না দিয়ে ঘটনার প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করলে ফলোদয় হবে তা নয়। গত ৫০ বছরে বিশেষ করে গত তিন দশকে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় সাংবাদিকতার জগৎ থেকে এসব মৌলিক নীতিমালাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।

প্রথমত, সাংবাদিকতা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। এটি এক বা একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার বিষয় নয়। সাংবাদিকতাই যে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই ধারণা স্বাধীনতার আগে যেভাবে বিকশিত হচ্ছিল, তা স্বাধীনতার পরে ক্রমাগতভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। এমনকি ১৯৮২-১৯৯০ পর্যায়েও সাংবাদিকতার সেই সম্ভাবনা বিরাজ করেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯০ সালের পরে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকেনি।

দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কার্যকর ট্রেড ইউনিয়নের অভাব। সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে এবং তাতে ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, কিন্তু সাংবাদিকতার মৌলিক বিষয়গুলোর চর্চা অবসিত হয়েছে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মালিকানার কাঠামোয় পরিবর্তন। ব্যক্তি খাতের বিকাশের ফলে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে; কিন্তু মালিকানার ধরন পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে যে গণমাধ্যমগুলো নিজেই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠেনি, হয়ে উঠছে অন্যান্য ব্যবসার স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার।

আগামী পর্ব: গণমাধ্যমের কে মালিক, কীভাবে মালিক