সরকারের নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। গত তিনটি পে-কমিশন ঘোষণার পর দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এবারও তেমনটা হবে বলেই সবার আশঙ্কা।
সাধারণত বেতন বৃদ্ধির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন। ইতিমধ্যে বাজারে তার কিছু আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সমাজের অন্য মানুষেরা বিপদে পড়বেন। কারণ, সরকারি পে-স্কেলের সঙ্গে তাঁদের বেতন বা আয় তো আর বাড়বে না। পে-স্কেলের সঙ্গে মূল্যস্ফীতির অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিষয়টা মূলত রাজনৈতিক এই অর্থে যে ব্যবসায়ীরা এই অজুহাতে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিলেও কারও কিছু বলার থাকবে না। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। পণ্যের দাম নির্ধারণে সরকারের ভূমিকা নেই।
অর্থনীতির নিয়মে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণ হচ্ছে, উৎপাদন ব্যয় বাড়া ও উৎপাদন হ্রাস। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বাজারের এই স্বাভাবিক নিয়মেই পণ্যমূল্য নির্ধারিত হওয়ার কথা। কিন্তু নানা কারসাজিতে বাজারের এই নিয়ম ঠিকঠাক কাজ করে না। তবে এবার বিশ্ববাজারে দীর্ঘদিন ধরে তেলের মূল্য কম থাকায় পে-স্কেলজনিত মূল্যস্ফীতি অনায়াসে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সরকার একটু উদ্যোগী হলেই তা করতে পারবে।
এমনিতেই সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত কঠোর জীবনসংগ্রাম করতে হয়। চাকরিজীবীদের চাকরির পাশাপাশি আরও কিছু করতে হয়, আর তিন মাসের অবরোধে ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ। এখন যদি আবার মূল্যস্ফীতি ঘটে, তাহলে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো।
লেখক: শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়