বৈষম্য কমানোই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ
>সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সামর্থ্য অর্জন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ ও দেশের অর্থনীতির সামনের দিনগুলোর নানা দিক নিয়ে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া
প্রথম আলো: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যকে কীভাবে দেখছেন?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বাংলাদেশের জন্য এটা এক বিরাট অর্জন। বলা যায় সমসাময়িক উন্নয়ন অভিজ্ঞতায় এটা এক অনন্য ঘটনা। ১৯৭১ সালে যখন স্বল্পোন্নত দেশের ধারণার উদ্ভব ঘটে, তখন শুরুতে ২৪টি দেশ এই তালিকায় ছিল। তা পরে সর্বোচ্চ ৫২ টিতে দাঁড়ায়। এই দেশগুলোর তালিকা থেকে মাত্র পাঁচটি দেশ বের হতে পেরেছে। দেখা যাবে, যে দেশগুলো বের হয়েছে তা খুব ছোট ছোট দেশ, ভূ-আবদ্ধ বা দ্বীপরাষ্ট্র। সেসব দেশের হয় প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ আছে অথবা পর্যটনের স্থান হিসেবে খুবই আকর্ষণীয়। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য অর্থনীতির আকার ও জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশই প্রথম বিবেচনাযোগ্য দেশ। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, প্রাসঙ্গিক তিনটি সূচকের মধ্য দুটি সূচকে নির্ধারিত মাত্রা পূরণ করলেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য বিবেচনাযোগ্য হতাম, কিন্তু আমরাই প্রথম দেশ যে তিনটি সূচকেই লক্ষ্য পূরণ করেছি। সূচক তিনটি হচ্ছে মাথাপিছু জাতীয় আয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা।
প্রথম আলো: উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক উত্তরণের জন্য আমাদের অপেক্ষাটা কত সময়ের?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: আগেই বলেছি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার জন্য যে তিন গুচ্ছ পরিমাপক থাকে, বাংলাদেশ তা পূরণ করতে পেরেছে। এখন আরও তিন-তিন ছয় বছর পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকব আমরা। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাব। অনেকে এ প্রসঙ্গে ২০২১ সালের কথা বলেন, তা ঠিক নয়। উপরন্তু মধ্যম আয়ের দেশ ও স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়া-এ দুটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে অনেকে গুলিয়ে ফেলেছে। একসময় আমরা ঠিক করেছিলাম যে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। কিন্তু ২০১৫ সালেই আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি।
প্রথম আলো: তার মানে একটি অর্জন আমাদের হয়ে গেছে এবং কাছাকাছি সময়ে আমরা দ্বিতীয়টিও অর্জন করতে যাচ্ছি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: ঠিক তাই। কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটি উত্তরণের ঘটনা ঘটছে। এটাও একটি অনন্য ঘটনা। তবে দুটির তাৎপর্য ভিন্ন। একটি হচ্ছে আয়ের ভিত্তিতে এবং এই হিসাবটি বিশ্বব্যাংক করে থাকে। অন্যটি আয়ের পাশাপাশি মানবসম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে করা হয়ে থাকে এবং তা করে জাতিসংঘ। এবং দ্বিতীয়টার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তবে এখানেও কিছু সমালোচনার দিক রয়েছে। যেমন অর্থনীতির সব দিক এতে ধরা পড়ে না। শিল্পায়নের দিকটি নেই। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটি উন্নয়নের বড় মাত্রা। আধুনিক উন্নয়নের ধারণায় সুশাসনের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এখানে তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না।
প্রথম আলো: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্ব গেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় গেছে। আমাদের এই অর্জন কি ধারাবাহিক উদ্যোগের ফল, নাকি বিশেষ কোনো দল বা সরকারের উদ্যোগের ফল?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: ১৯৭৫ সালে যখন আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় ঢুকেছি, তখন থেকেই আমাদের এ থেকে বের হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আজকের অর্জন আসলে চার দশকের চেষ্টার সম্মিলিত ফল। প্রতি দশকে ১ শতাংশ হারে ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও মানবসম্পদ উন্নয়ন, রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রসার, কৃষি খাতের গুরুত্ব, ভৌত অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ক্ষেত্রে একধরনের নীতিগত ধারাবাহিকতা ছিল।
প্রথম আলো: গত এক দশকের উন্নয়নকে কীভাবে দেখছেন?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: এটা মানতেই হবে যে গত ১০ বছরে উন্নয়নের ত্বরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ কারণেই স্বাধীনতার অর্ধশত বার্ষিকী-২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন আমরা দেখতে শুরু করেছিলাম। আপনাদের মনে থাকার কথা যে ২০০৬ সালে সিপিডির উদ্যোগে নাগরিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে ‘রূপকল্প ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক (২০১১-২০১৫) পরিকল্পনায় অনুরূপ লক্ষ্য স্থান পায়। আগেই বলেছি, এ জন্য লক্ষ্য হিসেবে যে সময়সীমা আমরা নির্ধারণ করেছিলাম, তার ছয় বছর আগেই আমরা তা অর্জন করেছি।
প্রথম আলো: মধ্য আয়ের দেশের লক্ষ্য দ্রুত অর্জিত হলো কিসের ওপর ভিত্তি করে?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: সাধারণভাবে বলা যায়, প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেগবান থাকা এবং টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল থাকা-এসব কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
প্রথম আলো: এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পথ?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নীতিকাঠামোতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে হবে, বিশেষ করে প্রয়োজন অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন। যেমন আমাদের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান কমছে। কিন্তু কৃষি খাত থেকে বা এই খাতের সঙ্গে যুক্ত লোকজন একই গতিতে কিন্তু অন্য খাতে যেতে পারছে না। তাদের শিল্প খাতে অথবা প্রাগ্রসর সেবা খাতে যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতির মূল ভিত্তি বিবেচনায় নিলে শিল্প ও অবকাঠামোর দিক থেকে দেশ কিছুটা এগিয়ে আছে। যদিও কর্মসংস্থানের হার কম। আগের উন্নয়নকে সামনে নিয়ে যেতে হলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক সংহতি ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরি।
প্রথম আলো: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে, কিন্তু এ জন্য বাংলাদেশকে আরও ছয় বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই ছয় বছরের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কী কী?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুই ক্ষেত্রেই কিছু ঝুঁকি সামাল দিতে হতে পারে। কিছু বৈরী আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। ২০০৮-০৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ফলে এখনো বিনিয়োগ বাড়ছে না। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী অভিবাসী সমস্যার কারণে আন্তর্জাতিক অনুদান তথা সহায়তা সেই দিকেই যাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্নমুখী প্রবণতা বিশ্বকে উৎকণ্ঠায় রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষণবাদী বাণিজ্যনীতির কারণে বাজারসুবিধা কমতে পারে। প্রযুক্তির বিকাশের কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত থাকবে। এ ছাড়া জলবায়ুর উষ্ণায়নের কুপ্রভাব রয়েছে। রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, তুলা, সার ও চালের কম দাম থাকায় বাংলাদেশ কিছুটা সাশ্রয়ও পেতে পারে।
প্রথম আলো: স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটলে বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা কমে যাবে। এই পরিস্থিতি আমরা সামাল দেব কীভাবে?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: কেপ ভার্দে বা বতসোয়ানার মতো যে সমস্ত দেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, সেই দেশগুলোতে বৈদেশিক অনুদান কমে গেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা-ই হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাও কমে যাবে। তখন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কর আহরণ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ, করের আওতা বাড়াতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন পণ্য বা বহুধাকরণ লাগবে। শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। বিনিয়োগযোগ্য যে অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা ঠেকাতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক খুবই দুর্বল। নীতিকাঠামো, অবকাঠামো বা দক্ষ ব্যবস্থাপনা-এসব যা-ই বলা হোক না কেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিক প্রণোদনার চেয়ে মধ্য মেয়াদে দেশটা কতটুকু স্থিতিশীল, সেটাকেই বেশি বিবেচনায় নেয়।
প্রথম আলো: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, সামনে উন্নয়নশীল দেশ হবে-তখন দেশ হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: দ্বৈত উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে তিন ধারার সূচক পূরণ করতে হবে। একদিকে রয়েছে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সূচকগুলো। এর ওপর বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচির বা এসডিজির অভীষ্টের নতুন তালিকা পূরণ করতে হবে। শুধু প্রবৃদ্ধি হলে বা শিল্পায়ন হলে হবে না, তা সুষম, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন হতে হবে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০১০-১৫ সময়কালে দেশে মানুষের মধ্যে ভোগবৈষম্য বেড়েছে, কিন্তু তার থেকে বেশি বেড়েছে আয়বৈষম্য। আরও বেশি বেড়েছে সম্পদের বৈষম্য। একটি ব্যাপক ও গভীর বৈষম্যপূর্ণ সমাজে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টেকসই করা যায় না। আমি মনে করি, এই পরিস্থিতি মোকাবিলাই হচ্ছে আগামী দিনগুলোর মূল চ্যালেঞ্জ।
প্রথম আলো: এটা দেখা যাচ্ছে যে আগে যেসব দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় ধরে এই কাতারেই রয়ে যাচ্ছে। এই পর্ব থেকে পার হয়ে উন্নত দেশ হতে পারছে না। এখানে সমস্যাটি কোথায়?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: আসলে বাংলাদেশকে আমরা মধ্য মেয়াদে কোথায় নিয়ে যেতে চাই, তা মাথায় রেখে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা দেখছি যে মধ্য দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যম আয়ের পর্যায়ে আটকে আছে। এর পেছনের প্রধান কারণগুলোর মধ্য রয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জনগণকে যথাযথ ও উচ্চমানের পৌর ও নাগরিক সুবিধা দিতে না পারা, যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে না পারা, মানসম্মত মানবসম্পদ তৈরি করতে না পারা, বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য বৃদ্ধি। তাদের রয়েছে সামাজিক সংহতি বা সামাজিক পুঁজির অভাব, তদুপরি আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুশাসনের প্রকট ঘাটতি। ফলে সামনে এগোতে হলে এই দিকগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে।
প্রথম আলো: আমরা তো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত? চীন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া বা মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো এখনো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে রয়ে গেছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশে (যাকে অনেকেই উন্নত দেশ বলছেন) পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের দুটি দিক আছে। একটি অর্থনৈতিক বাস্তবতা, অন্যটি রাজনৈতিক উদ্যম। ‘মধ্য আয়ের ফাঁদ’কে পাশ কাটিয়ে অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে (মাথাপিছু জাতীয় আয় সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলার) পরিণত হতে হলে বাংলাদেশের বর্তমান উচ্চ প্রবৃদ্ধির হারকে আরও বেগবান করে আগামী ২৪ বছর ধরে রাখতে হবে। আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে আমরা ভালো করছি-এ রকম একটা স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। একে কাজে লাগিয়ে যদি নতুন বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ সমাবেশ করতে পারি, কম সুদে বৈদেশিক ঋণ নিতে পারি, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারি, অভ্যন্তরীণ কর আদায় বাড়াতে পারি, তাহলে একটা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হয়। বিকাশমান মধ্যবিত্তের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা তৈরি করতে পারি, যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সংকট নিরসন করতে পারি এবং আয় ও সম্পদবৈষম্যকে আটকাতে পারি, তাহলে ইতিহাসের ধারা বদলানো সম্ভব। জাতীয় স্পৃহা, গণ-উদ্যোগ ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব-এসব কিছু মিলিত হলেই তো ইতিহাসের ধারা বদলায়।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন
-
সকাল ৯টার ট্রেন ছাড়েনি বেলা ২টায়ও, স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়েছেন ক্লান্ত মা-মেয়ে
-
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
-
সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করলে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
-
ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৬ দিন ধরে, বলছে আবহাওয়া অফিস
-
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা