চিঠি
চিঠি

চিঠিপত্র

প্রবীণদের ছাড় দিন

বাংলাদেশে রেলভাড়ায় প্রবীণদের জন্য কখনোই কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো স্পষ্ট কোনো অবস্থান জানায়নি। অথচ রেলভাড়ায় প্রবীণদের ছাড় দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে সরকার রেল খাত থেকে কম আয় করছে—এমন কথা বলা যাবে না। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই আয়ের বিপরীতে লাগামহীন ব্যয়ের কারণে কি অর্থ পানির স্রোতের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে? যাচ্ছে হলে, কোথায় যাচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া সরকারেরই দায়িত্ব।

এ ছাড়া ট্রেনের ভাড়াও বর্তমানে অত্যধিক। এ কারণে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের পক্ষে ট্রেনের টিকিট কাটা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় একটি দরিদ্র দেশে গণপরিবহনে ভাড়ানীতিতে নতুন ও মানবিক পরিকল্পনা থাকা জরুরি। কম খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে যাতায়াত করতে পারবে, সে সুযোগ ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব—এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

দরিদ্র মানুষের মতো প্রবীণেরাও নানাভাবে সমস্যায় জর্জরিত। তাঁদের জীবনে বহুমাত্রিক চাপ ও আঘাত রয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে সঞ্চয়ের ওপর সুদহার কমে যাওয়ার কারণে। আর যাঁদের কোনো সঞ্চয় নেই, তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে যদি ট্রেন বা বিমানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় বা বিশেষ সুবিধা না দেওয়া হয়, তাহলে তা সত্যিই হতাশাজনক।

প্রবীণদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বাস্তব নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। রেলভাড়ায় প্রবীণদের জন্য ছাড় দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

লিয়াকত হোসেন

রূপনগর, ঢাকা