বসন্তে পাহাড়ে পাখিরা

বসন্তের সময় বাউরি, হলদে বউ, টুনটুনি, কোকিল–কোকিলা, মৌটুসিসহ এ প্রজাতির বিভিন্ন পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে পাহাড়। গাছের বিভিন্ন ফল খাওয়ায় ব্যস্ত থাকে তারা। এদের মধ্যে কিছু দুর্লভ ও সংখ্যায়ও কম থাকে। বেশির ভাগ নির্জন এলাকায় বিচরণ এ পাখিরা। বিভিন্ন পাখির আবার বিভিন্ন সুরে ডাকাডাকি। রাঙামাটি বিভিন্ন এলাকায় বিচরণ করা এ ধরনের পাখিগুলো নিয়ে ছবির গল্প।

ডলার বার্ড। নীলকণ্ঠ পাখি। এদের বিচরণ চিরহরিৎ বনে। শান্ত স্বভাবের এটি। পোকামাকড় ও গুবরে পোকা খায় এরা। ব্যাঙছড়ি, কাপ্তাই, রাঙামাটি।
ডলার বার্ড। নীলকণ্ঠ পাখি। এদের বিচরণ চিরহরিৎ বনে। শান্ত স্বভাবের এটি। পোকামাকড় ও গুবরে পোকা খায় এরা। ব্যাঙছড়ি, কাপ্তাই, রাঙামাটি।
টুনটুনি ছোটাচ্চু পাখি। ডলুছড়ি গ্রাম, রাঙামাটি।
কালো নীল ভীমরাজ পাখি। উড়ে উড়ে ফড়িং ধরছে। এরা অনেকটা আবাসিক। বাড়ির আঙিনায় এবং ধানখেতে সব সময় ওড়াউড়ি করে। লুম্বিনী গেট, রাঙামাটি।
বনের পাখি কাঠশালিক। পাকুড় ফল খাচ্ছে। শান্ত প্রকৃতির এ পাখির কম দেখা মেলে। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, রাঙামাটি।
নীলকান সবুজপালক বাউরি পাখি পাকুড় ফল খাচ্ছে। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, রাঙামাটি।
হলদে বউ বা বিনিবউ। গভীর বনে মিষ্টি সুরে হুকু হুকু ডাকে এ পাখি। সীতা পাহাড়, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, রাঙামাটি।
বনের পাখি ধলা চটক। বাড়ির আঙিনায় বোতল ব্রাশ ফুলের রস খেতে এসেছে। রাইন্যা টুগুন রিসোর্ট, কামিলাছড়ি, রাঙামাটি।
পাকরামাথা ও খয়েরিগলা ঝুটিল রাটা পাখি। দুর্লভ প্রজাতির পাখি। এরা সংখ্যায় খুবই কম। সতর্কভাবে চলাচল করে এরা। ঘিলাছড়ি পাহাড়, নানিয়ারচর উপজেলা, রাঙামাটি।
হরিয়াল পাখি। এদের শুধু বসন্তে দেখা মেলে। খাদ্যের খোঁজে অনেক দূরে ছুটে চলে এ পাখি। শান্ত স্বভাবের এরা। খাদ্যের সন্ধানে গভীর বন থেকে লোকালয়ও এসেছে ওরা। এদের প্রিয় খাদ্য পাকুড় ও বট ফল। কলেজ গেট, রাঙামাটি।
ম্যালাপেঙা পাখি। এরা দল বেঁধে চলে। খুব ভোরে উঠে খাদ্যের খোঁজে বের হয় এরা। এরা খুব বেশি চেঁচামেচি করে। পোকামাকড় এদের পছন্দের খাবার। চঞ্চল ও খুবই সতর্ক দৃষ্টিতে চলে এ পাখি। স্বর্গপুর বন ধ্যানকেন্দ্র এলাকা, সদর উপজেলা, রাঙামাটি।
কোকিলা। খুবই অলস প্রকৃতির। বিভিন্ন ফলগাছে দেখা মেলে বসন্তকালে। পাকুড় ফল খাচ্ছে ডালপালায় বসে। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ।