পাকা ধানের সোনালি আভা

‘হেমন্তের ধান ওঠে ফলে—/ দুই পা ছড়ায়ে বস এইখানে পৃথিবীর কোলে’ বাংলার হেমন্ত নিয়ে এমন বন্দনাই করে গেছেন কবি জীবনানন্দ দাশ। হেমন্তের কথা উঠলেই কবির মতো সবার মনে ভেসে ওঠে নবান্ন উৎসব আর পাকা আমন ধানের ছবি। এই ঋতুতে খেতের পাকা ধান ঘরে তোলার ধুম পড়ে যায়। কথিত আছে, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে উৎপাদিত ফসল দিয়ে দেশের মানুষের তিন দিনের অন্ন জোগান দেওয়া সম্ভব। এবারের আমন মৌসুমেও পাকা ধানে ভরে আছে এই বিলের জমি। মিষ্টি রোদে পাকা ধানের ম-ম গন্ধ চারদিকে। সম্প্রতি বিলের বিভিন্ন স্থান থেকে তোলা ছবি।

যত দূর চোখ যায় পাকা ধানের খেত। সারি বেঁধে ধান কাটায় ব্যস্ত একদল কৃষিশ্রমিক।
যত দূর চোখ যায় পাকা ধানের খেত। সারি বেঁধে ধান কাটায় ব্যস্ত একদল কৃষিশ্রমিক।
এক হাতে পাকা ধানের আঁটি, অন্য হাতে কাস্তে নিয়ে প্রাণোচ্ছ্বল হাসি এক কৃষকের।
আশপাশে কোনো বাড়ি নেই, শুধু ধানখেত। মাঠজুড়ে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকের দল।
ধান কাটা শেষে খেতে পাকা ধানের নাড়ায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
ধান কাটার কাজ শেষ। এবার দল বেঁধে ঘাড়ে করে পাকা ধান নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অগ্রহায়ণ মাস প্রায় শেষ। জমির পাকা ধান ঘরে তোলার কাজও প্রায় শেষের দিকে।
দুপুরের রোদে গেরস্তের বাড়ির পথে কৃষিশ্রমিকেরা।
মাঠজুড়ে কাটা ধান। ধান কাটার পর খেতে ফেলে রাখা হয়েছে আঁটি শুকানোর জন্য।
খেতের পাশের সড়কে তুলে রাখা হয়েছে কাটা ধান। অনেকে সড়কে মাড়াইও করেন।
ধান কাটতে এলে বাড়ি ফেরার সময় পান না। তাই অনেকে খাবার বেঁধে নিয়ে আসেন।
খেত থেকে সড়কে আনা হয়েছে ধানের আঁটি। এরপর সেই ধান তোলা হচ্ছে গাড়িতে।
পোকার খোঁজে খেতে শুকনা একটি গাছের ডালে বসেছে এক ফিঙে পাখি।
চলছে ধানমাড়াইয়ের কাজ
মাড়াই শেষে ধান বস্তা করা হয়েছে। বিক্রির জন্য গাড়িতে করে বস্তা নেওয়া হচ্ছে বাজারে।