বাংলাদেশ

ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িয়াল নিশানের মেলা

কয়েক শ বছরের পুরোনো দাঁড়িয়াল নিশানের মেলা। বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের দাঁড়িয়াল গ্রামে প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় রোববার এ মেলা বসে। চলে সাত দিন। মেলায় হরেক রকমের পণ্য কেনাবেচা হয়। তবে এই মেলা ঘুড়ির জন্য প্রসিদ্ধ। তাই দাঁড়িয়ালের মেলা ‘ঘুড়ির মেলা’ নামেও পরিচিত। এ ছাড়া তৈজসপত্র, মিষ্টান্ন, খেলনা, পাখা, প্রসাধনীসহ নানান পণ্য বেচাকেনা হয় ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামীণ মেলায়।

সোয়েল রানা বগুড়া
গ্রামের মাঠ পেরিয়ে মেলায় আসছে অনেক মানুষ।  
গ্রামের মাঠ পেরিয়ে মেলায় আসছে অনেক মানুষ।  
মেলা প্রাঙ্গণে টানানো হয়েছে রংবেরঙের শামিয়ানা। তালপাখা, খেলনা, প্রসাধনী, দা-বঁটিসহ নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
মেলাজুড়ে শোভা পাচ্ছে শিশুদের টমটম গাড়ি, মিষ্টান্ন, কদমা, ছাঁচ, মুড়িমুড়কি, দই-চিড়া, শরবত, জিলাপিসহ নানা পণ্যের দোকান।
ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িয়াল নিশানের মেলার অন্যতম আকর্ষণ রংবেরঙের ঘুড়ি।
মেলায় আকার ও মানভেদে একেকটি ঘুড়ি ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেলায় রয়েছে রংবেরঙের বাজপাখি ও চিলের আদলে বানানো ঘুড়ি।
মেলায় এসে ঘুড়ি কেনা হয়েছে, এখন নাটাই কিনছেন এক ব্যক্তি। প্রতিটি নাটাই ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ মাছ আকৃতির মিষ্টি। একেকটির ওজন ৫ থেকে ১০ কেজি। মানভেদে প্রতি কেজির দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
মেলায় বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি রঙের হাতপাখা। প্রতিটি ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঘুড়ি কেনার আগে সেটি উড়িয়ে দেখছেন একজন ক্রেতা।
মেলায় এসেছে সার্কাস ও জাদু দেখানোর দল। এসবের তাঁবুতে ভিড় করছে অনেকেই।
আরও পড়ুন