লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি এখন  যেমন

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি ফিরে পাচ্ছে এর হারিয়ে যাওয়া আভিজাত্য। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভবনের সংস্কারকাজ। দোতলা ভবনের পুরোনো ছাদ ভেঙে টালির নতুন ছাদ বসানো হচ্ছে। সাতক্ষীরা থেকে আনা হচ্ছে এই  টালি। ভবনের চারপাশে তৈরি হচ্ছে ইটের গোলাকার পিলার, যাতে স্থাপত্যরীতির মূল সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন থাকে। জমিদার রূপচন্দ্র রায় এই জমিদারবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নাতি রাজচন্দ্র রায়ের সময় বাড়ির পরিধি বাড়ে। বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল প্রায় ৪৯ দশমিক ৫০ একর জমির ওপর। ভবনে রয়েছে ৯টি কক্ষ, আর এর উচ্চতা প্রায় ৮.২০ মিটার। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এ স্থাপনা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা এটি সংরক্ষণের উদ্যোগ দেখে আনন্দিত। তাঁদের আশা—পুরো ভবনের পূর্ণাঙ্গ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এই ঐতিহাসিক স্থান পরিণত হবে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রে।

ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি
ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি
সংস্কারকাজ চলমান থাকায় নোটিশ দিয়ে রাখা হয়েছে
ইটের গোলাকার পিলার তৈরি করা হচ্ছে
টালি বসানো হচ্ছে সিলিংয়ে
দেয়ালগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে প্লাস্টার করার জন্য
সংস্কারকাজে ব্যবহারের জন্য সাতক্ষীরা থেকে আনা হয়েছে এসব টালি
স্থাপনার আরেকটি অংশ
রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড
এক শ্রমিক ভবনের মধ্যে বেলচা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন
বাড়ির মাঝখানের অংশে এখনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি
চুন, সুরকি ও খোয়া মিলিয়ে ঢালাইয়ের মিশ্রণ তৈরি করছেন এক শ্রমিক
ভবনের ছাদে কাজ করছেন একজন