ঢাকাই মসলিনের পুনর্জন্ম

প্রায় ২০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ঢাকার মসলিন ফিরে আসছে নতুন প্রাণে। একসময় প্রচলিত ছিল, ব্রিটিশ বেনিয়ারা মসলিন তাঁতিদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যেন তাঁরা আর এই অনন্য সূক্ষ্ম বস্ত্র বুনতে না পারেন। তবে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ‘ঢাকা মসলিন পুনর্জন্ম প্রকল্প’-এর মাধ্যমে সেই সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পকে বাণিজ্যিক রূপ দিতে ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জের তারাবোতে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকাই মসলিন হাউস। এখানে সারি সারি হস্তচালিত তাঁতে নিপুণ হাতে তাঁতিরা বুনছেন মসলিন আর সুতাকাটুনিরা চরকায় কাটছেন সূক্ষ্ম সুতা। তাঁদের কর্মব্যস্ততা আর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম নিয়েই এই ছবির গল্প।

মসলিন প্রস্তুতির সূচনাপর্ব: সুতা কাটার জন্য তুলা আলাদা করা হচ্ছে।
মসলিন প্রস্তুতির সূচনাপর্ব: সুতা কাটার জন্য তুলা আলাদা করা হচ্ছে।
এটা ফুটি কার্পাসগাছের তুলা; সূক্ষ্ম ও বিরল সুতা।
হাতে পাউডার মাখিয়ে অত্যন্ত সতর্কভাবে সুতা কাটছেন।
ঐতিহ্যবাহী চরকায় সুতা প্যাঁচানো হচ্ছে নিখুঁত ছন্দে।
চরকায় সুতা কাটছেন একজন।
ঢাকাই মসলিন হাউসের কর্মশালায় সারিবদ্ধ হয়ে চরকায় সুতা কাটছেন কাটুনিরা।
মিহি সুতা যাতে ছিঁড়ে না যায়, সে জন্য ঘরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখতে মাটির কলসিতে পানি রেখে দেওয়া হয়েছে।
বয়নশিল্পীরা হস্তচালিত গর্ততাঁতে নিপুণ হাতে বুনছেন মসলিন।
বয়নশিল্পীরা নিপুণ হাতে বুনছেন অতি সূক্ষ্ম সুতার অপরূপ কাপড়।
একজন বয়নশিল্পী মনোযোগের সঙ্গে কাপড় বুনছেন মসলিনের মিহি সুতায়।
শাড়ির পাড়ে ফুলের নকশা ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী।
ঢাকাই মসলিন হাউসের আঙিনায় ফুটি কার্পাসগাছ পরিচর্যা করছেন এক কর্মী।