চামড়া থেকে যেভাবে হয় শিরীষ আঠা

রাজধানীর হাজারীবাগে বেড়িবাঁধের ট্যানারিতে কড়াইয়ে ফুটে ওঠা গাঢ় তরল রোদে শুকিয়ে যে পাতলা ও শক্ত স্তর তৈরি হয়, সেটাই শিরীষ আঠা। বহু পুরোনো প্রক্রিয়ায়, সংগ্রহ করা অব্যবহৃত চামড়ার টুকরা থেকে তৈরি হয় এই আঠা, যা এখনো কাঠের কাজ, আসবাব ও শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা হয়। আধুনিক কেমিক্যাল আঠার যুগেও হাজারীবাগের শ্রমিকেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই আঠা তৈরি করছেন। এসব নিয়েই এই ছবির গল্প।

আঠা তৈরির জন্য অব্যবহৃত চামড়ার টুকরা সংগ্রহ করেন শ্রমিকেরা
আঠা তৈরির জন্য অব্যবহৃত চামড়ার টুকরা সংগ্রহ করেন শ্রমিকেরা
চামড়া জ্বাল দেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হয়, যাতে চামড়ার মধ্যে থাকা ময়লা আলাদা হয়ে যায়
চামড়া বড় কড়াইয়ে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এ সময় প্রতিনিয়ত নাড়াতে হয় যেন আবর্জনা থেকে তরল আলাদা হয়ে যায়
জ্বাল দেওয়ার জন্য জ্বালানির সঙ্গে ব্যবহার করা হয় চামড়ায় থাকা আবর্জনা ও পশম
জ্বাল দেওয়ার পর চামড়ার তরল ছেঁকে আবর্জনা আলাদা করা হচ্ছে
চামড়া সেদ্ধ করার পাত্র থেকে অবশিষ্ট উচ্ছিষ্ট ফেলে আবার জ্বাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে
পাতলা আঠা ছোট ছোট ট্রেতে করে রোদে শুকানোর জন্য রাখা হয়েছে
আঠা কয়েক দিন রোদে শুকানো হলে আস্তে আস্তে জলীয় বাষ্প সরে গিয়ে শক্ত হয়ে যায়
রোদে পাতলা তরল শুকিয়ে শক্ত আকার ধারণ করলে সেগুলোকে ভেঙে আবারও রোদে শুকাতে দেওয়া হয়, যেন অবশিষ্ট জলীয় বাষ্প বের হয়ে যায়। এরপর এই আঠা বাজারজাতের জন্য বস্তায় ভরা হয়