ছবিতে গাজায় নৃশংসতার ১৫ মাস

ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস নৃশংসতার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। দফায় দফায় আলোচনা শেষে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। রোববার থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা। তবে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় গতকালও অন্তত ৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। হামলার মুখে শোচনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন সেখানকার ২৩ লাখ বাসিন্দা। মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না ত্রাণসহায়তা। গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা এই নৃশংসতার ১০টি ছবি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। এই ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে সেখানকার মানুষের বিভীষিকাময় জীবনের সামান্য কিছুটাই প্রতিফলিত হয়েছে।  

গাজা নগরীতে বিধ্বস্ত ভবনের সামনে সোফার ওপর বসে আছেন অসহায় এক ফিলিস্তিনি। ২৯ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি: এপি
ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত রাফা এলাকায় একটু ত্রাণের খাবারের জন্য অপেক্ষা। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
রাফা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি মসজিদের কাছে জুমার নামাজ আদায় করছেন ফিলিস্তিনিরা। তখন পবিত্র রমজান মাস ছিল। ২২ মার্চ, ২০২৪
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে বিধ্বস্ত ভবনের পাশ দিয়ে চলাচল করছেন ফিলিস্তিনিরা। ৮ এপ্রিল, ২০২৪।
ইসরায়েলি হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে রাফা ছেড়ে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ২৮ মে, ২০২৪
গাজার দেইর আল বালাহ এলাকায় একটি পানি শোধনাগারের কাছে পানি সংগ্রহের জন্য ফিলিস্তিনিদের অপেক্ষা। ২০ জুন, ২০২৪
খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলার পর ধোঁয়া উড়ছে। ২২ জুলাই, ২০২৪
দেইর আল বালাহ এলাকায় আল আকসা মারটায়ারস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর বিধ্বস্ত জায়গাটি ঘুরে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
দেইর আল বালাহ এলাকায় দুই শিশুর জানাজা পড়াচ্ছেন ইমাম ইসলাম আবু সুয়াইদ। এদের মধ্যে এক শিশু জন্মের সময়ই মৃত ছিল। আর আরেক শিশু প্রচণ্ড শীতের মধ্যে প্রয়োজনীয় আশ্রয় ও গরম কাপড়ের অভাবে মারা গেছে। ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪