আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জেএসডির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এই ঘোষণা আসে। অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম উল্লেখ থাকলেও আয়োজকেরা জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারবেন না।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নামে ফাজলামি করে লাভ হবে না। সরকারের ওপর জনগণের আস্থার সংকট রয়েছে। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রজাতন্ত্রের সাংগঠনিক কাঠামো ধ্বংস করে ফেলেছে। ফলে তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বৃহত্তর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অন্ততপক্ষে দুবছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার। জাতীয় সরকার না হলে এই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে না।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বেঁচে থাকার পরও আমরা সম্মান পাইনি। শেখ হাসিনার সরকার যেমন চাই না, তারেক রহমানের সরকারও চাই না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নতুন নির্বাচন করতে হলে প্রশাসনসহ সামগ্রিকভাবে পুরো ব্যবস্থা বদলাতে হবে।
গণফোরামের (একাংশ) সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া বাংলাদেশ এগোবে না।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক মঞ্চে উপস্থিত অন্য দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘পরে নির্বাচনে গেলে আপনারা ঘৃণিত হবেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।