Thank you for trying Sticky AMP!!

গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরালের পর সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনার দিন প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাঁকে শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে গিয়াস উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর সহযোগী মাঈনউদ্দীনকে। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তুল, একটি রিভলবার এবং ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানান, চন্দনাইশের হাশিমপুরে আলোচনা সভায় গুলি বর্ষণ ও নাশকতার সৃষ্টির ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় গত বৃহস্পিতবার একটি মামলা হয়। এ ঘটনার র‌্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন নাশকতা এবং গুলিবর্ষণের কথা তাঁরা স্বীকার করেছেন। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো অবৈধ বলেও তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ৩০ আগস্ট চন্দনাইশের হাশিমপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এ আয়োজনের দায়িত্ব ছিল গিয়াস উদ্দিনের ওপর। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধের জের ধরে অপর একটি পক্ষ ওই কর্মসূচিতে হামলা করে। তারা চলে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে গিয়াস প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। সেই ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

হামলার ওই ঘটনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ থেকে চন্দনাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে চন্দনাইশ পৌরসভা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি ও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তৈয়বকে। অন্যদিকে আবু তৈয়বের পক্ষে করা মামলায় বাদী হন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. আবুল ফয়সাল। এতে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে গিয়াস উদ্দিনকে।